বাহুবল উপজেলার লামাতাসী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের প্রত্যক্ষ প্রশ্রয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাপা পুনর্বাসিত হচ্ছে। এমন অভিযোগ করছেন খোদ বিএনপি নেতাসহ সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভ ।
জানা যায়, গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে বাহুবল উপজেলার নন্দনপুর বাজারে লামাতাসী ইউনিয়নের বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাহুবল মডেল থানার এস.আই রায়হান আহমেদের তত্বাবধানে ও লামাতাসী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লামাতাসী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম তাহের, লামাতাসী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির যুগ্ম-আহবায়ক কাওছার মিয়া, জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন লামাতাসী ইউনিয়ন যুবসংহতি নেতা নানু মিয়া সহ ‘লীগ ও জাপা’র বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে লামাতাসী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “সাধারণত বিট পুলিশিং সভায় এলাকার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সচেতন সুশীল সমাজসহ ধর্মীয় নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, গতকালের সভায় পতিত স্বৈরাচারী দলের নেতা ও তাদের দোসরসহ এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী, জুয়াড়ী এবং মাদক সেবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।”
তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে পতিত স্বেরাচারী দল আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর জাপাকে পুনর্বাসিত করা হচ্ছে। এ কাজে প্রত্যক্ষ প্রশ্রয় দিচ্ছেন ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও এলাকার সচেতন মহল সহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ বলছেন স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ৫ জুলাই বিপ্লবের চেতনা ও শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানী করছেন।”
এর আগেও আওয়ামিলীগের ছায়াতলে থাকা বিএনপি নেতা সহিদুলের নেতৃত্বে আওয়ামিলীগকে সাথে নিয়ে একই কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদের উপর নৃশংস হামলা চালানও হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে, অভিযোগে বিষয়ে বক্তব্য জানতে লামাতাসী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সাথে গতকাল রাতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।