চুনারুঘাটের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, পরিবেশ বিপর্যয়, অবৈধ বালু উত্তোলন, যানজট নিরসন ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছে খেলাফত মজলিস উপজেলা শাখার।
আজ (৩০ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় স্থানীয় একটি কনফারেন্স রুমে খেলাফত মজলিসের আয়োজনে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় চুনারুঘাট উপজেলা সভাপতি হাফিজ মাওলানা আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও শ্রমিক মজলিসের সভাপতি প্রভাষক মুহাম্মদ আব্দুল করিম।
এসময় চুনারুঘাটে কর্মরত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রভাষক আব্দুল করিম বলেন-আমরা ৭১এ রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, ২৪এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনামলের অবসান ঘটিয়েছি।
কয়েক হাজার ছাত্র-জনতার রক্তদানের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে আমরা যে স্বপ্ন দেখেছিলাম তার সাথে বর্তমান বাস্তবতার কোন মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
চুনারুঘাট উপজেলায় আগের চাইতে কয়েকগুণ বেশি অবৈধ বালু উত্তোলন বেড়েছে। যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
অবৈধ দোকানপাট বসিয়ে ফুটপাথ দখল করে মানুষ চলাচলের রাস্তা সংকুচিত করা হয়েছে।
বাতাসে দূষণ বাড়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেড়েছ স্বাস্থ্যঝুঁকি। ময়লা ফেলে নদীকে দূষিত করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে না।
শহরে টমটমের আধিক্য, যত্রতত্র দোকানপাট, নির্ধারিত স্ট্যান্ডের বাইরে সিএনজি রাখাকেও দায়ী করেছেন প্রভাষক আব্দুল করিম।
এছাড়া সাতছড়ি ও রেমা-কালেঙ্গায় গাছ কেটে বিক্রি করা প্রসঙ্গে প্রশাসনের ঘুমঘুমভাবকে দায়ী করে সচেতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় এ সভায়।
খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, ৫লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যে পরিমাণ ডাক্তার থাকার কথা বাস্তবে তা নেই, ১৮জনের বিপরীতে মাত্র ২জন চিকিৎসক দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালনার তীব্র নিন্দা জানানো হয় মতবিনিময় সভায়।
সাব-রেজিস্টার অফিসের দুর্নীতির প্রতি নজর রাখতে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান করা হয়। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সকলে এক থাকার আহবান জানান।
এছাড়াও শহরে যানজট নিরসনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সকল প্রকার বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার দাবী জানানো হয় খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে।