হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে হারিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হওয়া আলোচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্রবার ডিসিপি হাইস্কুল মাঠে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি বনাম কসবা আলহাজ্ব শাহ আলম খান ফুটবল একাদশ ক্লাবের খেলায় অংশগ্রহণে এসে এমপি সুমন তার বক্তব্যে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্রের কথা জানিয়ে বলেন, দুই তিন ধরে একটি গ্রুফ ঘুরতেছে আমাকে মেরে ফেলার জন্য।
যেভাবেই হোক আমি খবর পাইছি। এমন খবর জানার পর মাঠে কেউ খেলার কথা নয়। আমি দেইকা আসছি। আমি চাই চুনারুঘাটে মরলেই সবচেয়ে বেশি খুশি হইমু।
যাহাতে আমি মরলে আমার মাটিটা চুনারুঘাটের মাটিতেই হয়। তাও আমি ভয়ে আমার কোন কাজ বন্ধ করবনা। আমি এ খবর শোনার পর আপাতত এক্সট্রা সিকিউরিটি রাখছি আমার কাছে কাউকে এলাও করছি না এবং আপনারা কয়েকদিন সেল্ফি তুলতে আসবেননা।
কারণ কে কোন মন নিয়ে আসে সেটা বুঝা জায়না। এমন খবর শুনে তার ভক্তবৃন্দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
চুনারুঘাট পৌর শহরের বাসিন্দা তার ঘনিষ্ঠ ভক্ত তাজুল বাহার জানান, এমপি সুমন ভাইয়ের কিছু হলে আমরা ঘরে বসে থাকবোনা।
আমি সহ সকল ভক্ত বৃন্দ মিলে কাউকে ছাড় দিবোনা এমন হুশিয়ারী দেন তিনি। পৌর শহরের আরেক বাসিন্দা তার ভক্ত হাজ্বী দুলাল বলেন, এই সৎ সাহসী এমপির উন্নয়ন কাজ কে ব্যাহত করতে অজ্ঞাত একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। কুচক্রী মহল যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন কোন লাভ হবে না, সততার সাথে তিনি এগিয়ে যাবেন আমরা তার সাথে আছি।
খেলা শেষে আরেক ভক্ত মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বলেন, যারা সুমন ভাইকে মারতে চায় তাদের হাত ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিবো। সুমন ভাইকে মারা চলবেনা। এবিষয়ে রাতে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হিল্লোল রায় জানান, আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি।
বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনুসন্ধানক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে।
খন্দকার আলাউদ্দিন
চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ।