হবিগঞ্জ ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকের মৃত্যু Logo অসুস্থ সাবেক কৃতি ফুটবলার আকছিরের পাশে চুনারুঘাট উপজেলা ফুটবল একাডেমি  Logo আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন Logo শহীদ মিনারে আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের শ্রদ্ধা নিবেদন Logo সীমান্তের ত্রাস গণধর্ষণ মামলার আসামী আবুল গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে  স্ত্রীর যৌতুক মামলায় বিয়ে পাগল স্বামী গ্রেপ্তার Logo নবাগত ইউএনওর সাথে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের পরিচিত সভা ও মতবিনিময় Logo মাধবপুরে বিএনপির কর্মী সভা Logo ইউএনও’র পরিচিতি সভা বর্জন করলেন চুনারুঘাটে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ Logo শায়েস্তাগঞ্জে অর্থনৈতিক শুমারির কাজে জনপ্রতিনিধি ও আ’লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মী!

জমিজমা বিরোধ ও নির্বাচনের প্রতিহিংসায় জেরে প্রাণ গেল পাবেলের

হবিগঞ্জের মাধবপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দফায় দফায় সংষর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত এবং পাবেল মিয়া (৩০) নামের এক নৌকা সমর্থক নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ খান সহ কয়েকজনকে গত রাতেই আটক করে পুলিশ।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বেজুড়া সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন- মুর্শেদ মিয়া (৪৫), সুমা আক্তার (২৪), আং হামিদ (৩০), সফিক মিয়া (৪০), মারফতউল্লাহ (৩৫), আউস মিয়া (৪২), জসিম মিয়া (২৪), দুলাল মিয়া (২৫), শিমুল মিয়া (৩০), জাকারিয়া (২৩), শামীম মিয়া (২৭), তাহের মিয়া (৬৫), মাসুদ রানা (৪০), জালাল মিয়া (৩২), খোকন মিয়া (৪৭), আয়েদ আলী (২৬), আলমগীর (২৭), রফিক মিয়া (২৮), জসিম মিয়া (২৭), করিম মিয়া (৩০), শাহজাহান মিয়া (২৫), মিজান মিয়া (২৬), সাইফুল ইসলাম (২০), ইজাজুল (২৪), সফিক মিয়া (২৯), আশিক মিয়া (২৮), সামসুউদ্দিন (৩০) এবং সাইফুল (২৯)।

তাদের মাধবপুর, হবিগঞ্জ, ঢাকা ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ বেজুড়া গ্রামে একটি জমি নিয়ে উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁন ও বেজুড়া গ্রামের মুর্শিদ মিয়ার বিরোধ চলছিল।

গত শনিবার ওই জমিতে মাটি ভরাট করতে যান মুর্শিদ মিয়ার লোকজন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে বেলা ১১টায় উভয় পক্ষের লোকজন দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দফায় দফায় এই সংঘর্ষ চলে।

এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য বেনু মিয়ার বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বসতঘর হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে সংঘর্ষে গুরুতর আহত বেজুড়া গ্রামের পাবেল মিয়া (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।

নিহত পাবেল মিয়া ওই গ্রামের মাতবর মিয়ার ছেলে।সংঘর্ষে আহত পাবেল মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
বলেন, ‘এ ঘটনায় আটককৃতদের কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।অন্যদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

পাবেল হত্যাকান্ডে তার চাচাত ভাই হামিদ বাদী হয়ে ৬৪ জনকে আসামী করে মাধবপুর থানায় মামলা করেছেন।মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ খানকে প্রধান আসামী করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ ৪ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট মাহবুব আলীর সমর্থন করায় প্রতিপক্ষ ঈগল সমর্থক লোকেরা ভিকটিম সহ ভিকটিমের আত্মীয় স্বজনের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল এবং সময় সুযোগে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল।

ঘটনার দিন ১নং বিবাদী মাসুদ খানের নেতৃত্বে আসামীগন ভিকটিমের চাচাত ভাইয়ের বাড়িতে অবস্থানকালীন সময়ে সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে ভিকটিমকে গুরুতর জখম করে।ওইদিন রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকের মৃত্যু

জমিজমা বিরোধ ও নির্বাচনের প্রতিহিংসায় জেরে প্রাণ গেল পাবেলের

আপডেট সময় ০৮:১৮:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হবিগঞ্জের মাধবপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দফায় দফায় সংষর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত এবং পাবেল মিয়া (৩০) নামের এক নৌকা সমর্থক নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ খান সহ কয়েকজনকে গত রাতেই আটক করে পুলিশ।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বেজুড়া সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন- মুর্শেদ মিয়া (৪৫), সুমা আক্তার (২৪), আং হামিদ (৩০), সফিক মিয়া (৪০), মারফতউল্লাহ (৩৫), আউস মিয়া (৪২), জসিম মিয়া (২৪), দুলাল মিয়া (২৫), শিমুল মিয়া (৩০), জাকারিয়া (২৩), শামীম মিয়া (২৭), তাহের মিয়া (৬৫), মাসুদ রানা (৪০), জালাল মিয়া (৩২), খোকন মিয়া (৪৭), আয়েদ আলী (২৬), আলমগীর (২৭), রফিক মিয়া (২৮), জসিম মিয়া (২৭), করিম মিয়া (৩০), শাহজাহান মিয়া (২৫), মিজান মিয়া (২৬), সাইফুল ইসলাম (২০), ইজাজুল (২৪), সফিক মিয়া (২৯), আশিক মিয়া (২৮), সামসুউদ্দিন (৩০) এবং সাইফুল (২৯)।

তাদের মাধবপুর, হবিগঞ্জ, ঢাকা ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ বেজুড়া গ্রামে একটি জমি নিয়ে উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁন ও বেজুড়া গ্রামের মুর্শিদ মিয়ার বিরোধ চলছিল।

গত শনিবার ওই জমিতে মাটি ভরাট করতে যান মুর্শিদ মিয়ার লোকজন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে বেলা ১১টায় উভয় পক্ষের লোকজন দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দফায় দফায় এই সংঘর্ষ চলে।

এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য বেনু মিয়ার বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বসতঘর হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে সংঘর্ষে গুরুতর আহত বেজুড়া গ্রামের পাবেল মিয়া (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।

নিহত পাবেল মিয়া ওই গ্রামের মাতবর মিয়ার ছেলে।সংঘর্ষে আহত পাবেল মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
বলেন, ‘এ ঘটনায় আটককৃতদের কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।অন্যদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

পাবেল হত্যাকান্ডে তার চাচাত ভাই হামিদ বাদী হয়ে ৬৪ জনকে আসামী করে মাধবপুর থানায় মামলা করেছেন।মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ খানকে প্রধান আসামী করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ ৪ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট মাহবুব আলীর সমর্থন করায় প্রতিপক্ষ ঈগল সমর্থক লোকেরা ভিকটিম সহ ভিকটিমের আত্মীয় স্বজনের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল এবং সময় সুযোগে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল।

ঘটনার দিন ১নং বিবাদী মাসুদ খানের নেতৃত্বে আসামীগন ভিকটিমের চাচাত ভাইয়ের বাড়িতে অবস্থানকালীন সময়ে সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে ভিকটিমকে গুরুতর জখম করে।ওইদিন রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।