দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর যাবত অন্যের বাড়ীতে আশ্রিত থাকা ভূমি ও গৃহহীন জবেদা খাতুনের পাশে দাঁড়িয়েছেন মাধবপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনজুর আহ্সান।
ফেসবুক লাইভ এবং বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়াই জবেদা খাতুনের অসহায়ত্ব নিয়ে মর্মভেদী ঘটনার কথা জানতে পেরে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ইউএনও আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) জবেদা খাতুনকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে আনেন।
তিনি জবেদার জীবনের কষ্টের কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং জবেদাকে তার পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জবেদাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাইয়ে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন।পরবর্তীতে সুবিধামতো সময়ে জবেদা খাতুনকে সারকারী আশ্রায়ণ প্রকল্পে আবাসনের সুবিধা প্রদান কিংবা খাস জমিতে ঘর নির্মান করে মাথা গোঁজার ঠাই করে দেওয়ার প্রতিশ্রতি দেন।
ইউএনও বলেন,’বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।এই মহিলাকে দেখলে যে কেউই তার দুঃখে দুঃখী হবে।’ তিনি এ বিষয়টি গণমাধ্যমে তুলে ধরায় সাংবাদিকদেরও ধন্যবাদ জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক,দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি মোঃএরশাদ আলী,দৈনিক দেশরুপান্তর প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন লস্কর ও দৈনিক শ্যামল সিলেট প্রতিনিধি তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী।
উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এরশাদ আলী ইউএনও’র মানবিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং দ্রুত সাড়া দিয়ে জবেদার পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইউএনওকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের হবিবপুর গ্রামের হতদরিদ্র বিধবা জবেদা খাতুন নিজের জমিজমা ও ঘর না থাকায় গত ২০/২২ বছর ধরে অন্যের বাড়িতে আশ্রিত থেকে কায়ক্লেশে খেয়ে না খেয়ে একমাত্র প্রতিবন্ধী ছেলে নিয়ে দিনযাপন করছেন।
এ বিষয়টি গত মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিক এরশাদ আলী, জালাল উদ্দিন লস্কর ও নাহিদ মিয়া ফেসবুক লাইভে তুলে ধরেন।
পরদিন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি সামনে আসে। এই প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান সাংবাদিকদের মাধ্যমে জবেদা খাতুনকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে পাঠান।