হবিগঞ্জ ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫, ১৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই শহীদ স্মৃতি গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে চুনারুঘাট ফুটবল একাদশের জার্সি উন্মোচন Logo ‘বিউটিফুল চুনারুঘাট’ এর ব্যতিক্রমি উদ্যোগ সৌন্দর্য বর্ধনে একহাজার বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা Logo মাধবপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার, দুই কারবারি গ্রেফতার Logo চুনারুঘাটে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান Logo আইএফআইসি ব্যাংক এবং শক্তি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে “হার পাওয়ার” শীর্ষক স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মশালা Logo চুনারুঘাটে দিনে-দুপুরে সাদাবালু চুরির সময় জনতার হাতে আটক-১ Logo বাহুবল নবীগঞ্জের পর এবার চুনারুঘাটে বিএনপির ঝাড়ু মিছিল Logo নির্মাণ শেষের আগেই ২ বার ধসে পড়লো মডেল মসজিদের ছাদ Logo চুনারুঘাটে চুরি হওয়া কাঠ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ Logo জেলার শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার এসআই রিপটন

প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানী, অভিযোগ দায়ের

হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে হেনস্তা ও যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।এই অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।

মামলাসূত্রে জানা যায়, উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের রুস্তম আলীর মেয়ে স্কুলছাত্রী সাবিনা আক্তার চৌমুহনী খুর্শিদ হাইস্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য আসামী মিজান মিয়ার বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার সুবাদে মিজান প্রায় সময়ই তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া সহ নানা অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে উত্যক্ত করতো।

মিজানের পিতার নাম আক্কাস আলী।মিজান বিবাহিত।তার দেড় বছর বয়সী একটি মেয়ে শিশু রয়েছে।

বিষয়টি ওই ছাত্রী তার বড়বোন সালমা আক্তার লিজা সহ পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা মিজানের পরিবারকে ঘটনা অবহিত করে এরকম ন্যাক্কারজনক কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন।

এতে মিজান ক্ষিপ্ত হয়ে সুযোগের সন্ধানে থাকে।ঘটনার দিন (২০ জুলাই) বিকালে বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা মিজান সাবিনার পথরোধ করে টানাহেঁচড়া শুরু করে এবং পালিয়ে গিয়ে মিজানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চাপাচাপি শুরু করে।

সাবিনার শোর চিৎকারে তার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে মিজানের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান।

এ সময় মিজানের ভাই মাসুদ মিয়া লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে ভাইয়ের পক্ষ হয়ে সাবিনার স্বজনদের মারধর করে।

বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হলে এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে সালমা আক্তার লিজা বাদি হয়ে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত পিবিআইকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেন।

পিবিআই হবিগঞ্জের ইন্সপেক্টর মুক্তাদির হোসেনের সাথে মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘আমি এখন অফিসের বাইরে আছি। মামলার নম্বর ও আইও’র নাম জানালে খোঁজ নিয়ে দেখবো।’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই শহীদ স্মৃতি গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে চুনারুঘাট ফুটবল একাদশের জার্সি উন্মোচন

প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানী, অভিযোগ দায়ের

আপডেট সময় ০৫:১৭:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে হেনস্তা ও যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।এই অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।

মামলাসূত্রে জানা যায়, উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের রুস্তম আলীর মেয়ে স্কুলছাত্রী সাবিনা আক্তার চৌমুহনী খুর্শিদ হাইস্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য আসামী মিজান মিয়ার বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার সুবাদে মিজান প্রায় সময়ই তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া সহ নানা অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে উত্যক্ত করতো।

মিজানের পিতার নাম আক্কাস আলী।মিজান বিবাহিত।তার দেড় বছর বয়সী একটি মেয়ে শিশু রয়েছে।

বিষয়টি ওই ছাত্রী তার বড়বোন সালমা আক্তার লিজা সহ পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা মিজানের পরিবারকে ঘটনা অবহিত করে এরকম ন্যাক্কারজনক কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন।

এতে মিজান ক্ষিপ্ত হয়ে সুযোগের সন্ধানে থাকে।ঘটনার দিন (২০ জুলাই) বিকালে বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা মিজান সাবিনার পথরোধ করে টানাহেঁচড়া শুরু করে এবং পালিয়ে গিয়ে মিজানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চাপাচাপি শুরু করে।

সাবিনার শোর চিৎকারে তার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে মিজানের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান।

এ সময় মিজানের ভাই মাসুদ মিয়া লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে ভাইয়ের পক্ষ হয়ে সাবিনার স্বজনদের মারধর করে।

বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হলে এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে সালমা আক্তার লিজা বাদি হয়ে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত পিবিআইকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেন।

পিবিআই হবিগঞ্জের ইন্সপেক্টর মুক্তাদির হোসেনের সাথে মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘আমি এখন অফিসের বাইরে আছি। মামলার নম্বর ও আইও’র নাম জানালে খোঁজ নিয়ে দেখবো।’