হবিগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে মামলার হাজিরা যাওয়ার সময় শিক্ষককে ছুরিকাঘাত ১৯ করেছেন বাদী। এ ঘটনায় আহত মো. সাইদুর রহমানকে (৩২) প্রথমে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাইদুর রহমান জেলার সুলতানশী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি বাহুবল উপজেলার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। আটক হওয়া ব্যক্তির নাম হাশিম মহালদার।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মুকিত জানান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের জমিদাতা মো. হাশিম মহালদার। তিনি আগে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২০ সালে স্কুলটি জাতীয়করণ হওয়ার পর থেকে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর পরপরই হাশিম মহালদার জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেন। এ নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বর্তমান শিক্ষকদের মামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন।
আব্দুল মুকিত বলেন, “গতকাল হাশিম মহালদারের করা একটি মামলায় আমি ও সাইদুর রহমান আদালতে হাজিরা দিই। হাজিরা শেষে বার লাইব্রেরির সামনে পৌঁছালে ওত পেতে থাকা হাশিম মহালদার সাইদুর রহমানকে ছুরিকাঘাত করেন। আশপাশের মানুষ তাঁকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ছাড়া জনতা ছুরিসহ হাশিম মহালদারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।’
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বদিউজ্জামান জানান, একজনকে আটক করা হয়েছে।