মাধবপুর উপজেলা সদরের বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মোল্লা মার্কেটের ভিতরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনুমোদনহীন একটি কারখানায় আসবাবপত্র বার্নিশের উপকরণ গালা তৈরী করা হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে এবং কারখানা মালিকের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে এই কারখানাটির কোনো অনুমোদন নেই। তবে শীঘ্রই কারখানা পরিচালনা করতে প্রয়োজনীয় সবকিছুর জন্যই তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবেন বলে বেনামী এই কারখানার মালিক সুভাষ ভৌমিক জানিয়েছে। সরেজমিনে ৫/৭ জন কারিগরকে নিজস্ব প্রযুক্তিতে বার্নিশ তৈরীর গালা উৎপাদনে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।তাদের সাথে আলাপ করে জানা যায় এখানে উৎপাদিত গালা কারখানা মালিক সুভাষ ভৌমিকের মাধবপুর বাজারের কালিমন্দর এলাকার নিজস্ব হার্ডওয়ার দোকানে রয়েছে।সেখান থেকে ফার্নিচার ব্যবসায়ীরা তাদের নিজেদের চাহিদামতো গালা নিয়ে যান।
কারখানা থেকেও বাংলাদেশের নানা স্হানে ডিলারের মাধ্যমে পাইকারি দরে গালা বিক্রি হয় বলে জানিয়েছে কারখানার শ্রমিকেরা।কর্মরত শ্রমিকেরা জানান গালা তৈরীতে বার্লি,সাগুদানার মতো একটি উপাদান ও স্টারিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে।স্টারিক এসিড জাতীয় পদার্থ নয় বলে দাবি করেন কারখানার শ্রমিকেরা।তবে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দায়িত্বরত স্টেশন অফিসার মন্তোষ মল্লিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এ ধরণের কারখানা তৈরী এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যাওয়ার আগেই ফায়ার সার্ভিস বিভাগ থেকে ফায়ার সেফটির অনুমোদন নেওয়া,সার্বক্ষণিত অগ্নি নির্বাপন সিস্টেম সচল রাখা বাধ্যতামুলক।তবে এ কারখানাটি এমন অনুমোদন নিয়েছে বলে তার জানা নেই।তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও বাধ্যতামুলক বলে জানান তিনি।তবে বাস্তবে কোনো অগ্নি নির্বাপন সিস্টেমও চোখে পড়েনি এ প্রতিনিধির।মন্তোষ মল্লিক বলেন,তাদের নানা ধরণের সীমাবদ্ধতা থাকায় তারা সবদিকে ঠিকঠাক নজরদারি করতে পারছেন না।প্রশাসন চাইলে যে-কোনো মুহূর্তে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আরোপ সহ কারখানা সীল গালা করে দিতে পারেন।কারখানা মালিক সুভাষ ভৌমিক স্বীকার করেন যে ট্রেড লাইসেন্স সহ অনুমোদন সংশ্লিষ্ট কোনো কাগজপত্রই তার নেই।তিনি বলেন এ বিষয়ে কিছু লিখবেন না।আমি শীঘ্রই প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থা করবো।