হবিগঞ্জ ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাংবাদিকতায় যদি সফলতা চান, তাহলে দিন শেষে ভাবেন-সিনিয়র সাংবাদিক আলমগীর হোসেন Logo গণবিপ্লবের মাধ্যমে আমরা মুক্ত হয়েছি- নির্বাসিত সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান Logo সহকারি শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার মাধবপুর উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত Logo ডাক্তারের ছেলে শ্রেণির ছাত্র জিয়াদ নিখোঁজ Logo একটি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ও হবিগঞ্জ-৪ এর রাজনৈতিক ঐতিহ্য Logo চুনারুঘাটে সাংবাদিক নোমান কে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি Logo চুনারুঘাটে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি ও হত্যা মামলার আসামি আব্দুল হক কুটি র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার Logo ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার সময়ে প্রতিটি খুন-গুমের বিচার বাংলার মাটিতে হবে-মামুনুল হক Logo দেশকে অস্থির করার জন্য স্বৈরাচারের দোসরা নানামুখী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, সৈয়দ মোঃ শাহজাহান Logo চুনারুঘাটে টিসিবির পন্য বিক্রি না করে মজুদ: ২ ডিলারের মালিক আটক

নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়ম অভিযোগ

নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সফর আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গত (৬ ডিসেম্বর) নবীগঞ্জ বঙ্গবন্ধু একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হাসান চৌধুরী বাদী হয়ে সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর পরিচালকের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সফর আলীর দুর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বঙ্গবন্ধু একাডেমীর স্বঘোষিত সভাপতি হিসেবে জোড় পূর্বক মাসিক ৭ হাজার টাকা সম্মানি ভাতা আবার কখনও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর ও সীল দিয়ে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম হোসেন আজাদ ২০১৮ সালে ডিসেম্বর মাসে বিজয় দিবস উদযাপন বিরোধী কার্যকলাপের জন্য মোহাম্মদ সফর আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। মোঃ সফল আলী একজন স্বাধীনতা বিরোধী পক্ষের লোক। বর্তমানে তিনি নবীগঞ্জ বঙ্গবন্ধু একাডেমীকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন । কলেজের অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী মোঃ সুনাম উদ্দিন বিগত কয়েক মাস পূর্বে আমেরিকা চলে যান। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তার এমপিও বিল ও কলেজ প্রদত্ত ভাতার বিল করে তা দুজনের মধ্যে ভাগ বাটোরা করে নেয়ার অভিযোগ  রয়েছে । ফলে সরকারি অর্থ ও কলেজের আর্থিক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। কলেজটি সরকারি করনের প্রক্রিয়ার থাকার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা, স্বারক নং- ৩৭.০০.০০০০.০৭০.০০২.০০৪.২০১৮-৮৮ তারিখ-২৭, আগস্ট ২০১৮ সালে পত্রের নির্দেশে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম বিলুপ্ত করেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা, স্মারক নং-৭এ/০৯ সি-২/২০১৩/৬৬৯৪ তারিখে ২৮/০৮/২০১৬ খ্রিঃ পত্রের নির্দেশে নিয়োগ, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর ও অর্থ ব্যয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তা সত্ত্বেও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সফর আলী নিয়োগ বানিজ্য করার লক্ষ্যে বিগত ২৯/০৯/২০২২ তারিখে উনার স্বাক্ষরিত একটি শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ করে বিগত ২৩/১১/২০২২ খ্রিঃ তারিখে স্বাক্ষাতকার গ্রহন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়েছেন যা সম্পূর্ণ বিধি বহির্ভূত এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ডি.জি এর নির্দেশনার পরিপন্থি কাজ। ভারপ্রপ্ত অধ্যক্ষ গুটি কয়েক শিক্ষক নিয়ে একটি বলয় তৈরি করে ঘুরে ফিরে তাদের মধ্য থেকে ৬/৭ জন দিয়ে প্রতিটি আর্থিক সংশ্লিষ্ট কমিটি গঠন করে ইচ্ছেমতো সম্মানি ভাতা নিয়ে কলেজের আর্থিক ক্ষতি সাধন করে চলেছেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একজন অদক্ষ ও লোভী প্রকৃতির লোক বটে। উনার দুর্নীতির কার্যকলাপ পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢালাওভাবে প্রচারিত হয়েছে। উনার অদক্ষতা ও স্বেচ্চাচারিতায় কলেজে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়ে আছে এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের ব্যাঘাত ঘটছে। তার দুর্নীতি  ও সকল অবৈধ  কর্মকান্ডের  বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা  নেয়ার জন্য  সিলেট  মাধ্যমিক  পরিচালক  বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ  দায়ের করা হয়েছে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিকতায় যদি সফলতা চান, তাহলে দিন শেষে ভাবেন-সিনিয়র সাংবাদিক আলমগীর হোসেন

নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়ম অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:৫৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সফর আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গত (৬ ডিসেম্বর) নবীগঞ্জ বঙ্গবন্ধু একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হাসান চৌধুরী বাদী হয়ে সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর পরিচালকের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সফর আলীর দুর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বঙ্গবন্ধু একাডেমীর স্বঘোষিত সভাপতি হিসেবে জোড় পূর্বক মাসিক ৭ হাজার টাকা সম্মানি ভাতা আবার কখনও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর ও সীল দিয়ে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম হোসেন আজাদ ২০১৮ সালে ডিসেম্বর মাসে বিজয় দিবস উদযাপন বিরোধী কার্যকলাপের জন্য মোহাম্মদ সফর আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। মোঃ সফল আলী একজন স্বাধীনতা বিরোধী পক্ষের লোক। বর্তমানে তিনি নবীগঞ্জ বঙ্গবন্ধু একাডেমীকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন । কলেজের অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী মোঃ সুনাম উদ্দিন বিগত কয়েক মাস পূর্বে আমেরিকা চলে যান। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তার এমপিও বিল ও কলেজ প্রদত্ত ভাতার বিল করে তা দুজনের মধ্যে ভাগ বাটোরা করে নেয়ার অভিযোগ  রয়েছে । ফলে সরকারি অর্থ ও কলেজের আর্থিক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। কলেজটি সরকারি করনের প্রক্রিয়ার থাকার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা, স্বারক নং- ৩৭.০০.০০০০.০৭০.০০২.০০৪.২০১৮-৮৮ তারিখ-২৭, আগস্ট ২০১৮ সালে পত্রের নির্দেশে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম বিলুপ্ত করেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা, স্মারক নং-৭এ/০৯ সি-২/২০১৩/৬৬৯৪ তারিখে ২৮/০৮/২০১৬ খ্রিঃ পত্রের নির্দেশে নিয়োগ, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর ও অর্থ ব্যয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তা সত্ত্বেও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সফর আলী নিয়োগ বানিজ্য করার লক্ষ্যে বিগত ২৯/০৯/২০২২ তারিখে উনার স্বাক্ষরিত একটি শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ করে বিগত ২৩/১১/২০২২ খ্রিঃ তারিখে স্বাক্ষাতকার গ্রহন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়েছেন যা সম্পূর্ণ বিধি বহির্ভূত এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ডি.জি এর নির্দেশনার পরিপন্থি কাজ। ভারপ্রপ্ত অধ্যক্ষ গুটি কয়েক শিক্ষক নিয়ে একটি বলয় তৈরি করে ঘুরে ফিরে তাদের মধ্য থেকে ৬/৭ জন দিয়ে প্রতিটি আর্থিক সংশ্লিষ্ট কমিটি গঠন করে ইচ্ছেমতো সম্মানি ভাতা নিয়ে কলেজের আর্থিক ক্ষতি সাধন করে চলেছেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একজন অদক্ষ ও লোভী প্রকৃতির লোক বটে। উনার দুর্নীতির কার্যকলাপ পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢালাওভাবে প্রচারিত হয়েছে। উনার অদক্ষতা ও স্বেচ্চাচারিতায় কলেজে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়ে আছে এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের ব্যাঘাত ঘটছে। তার দুর্নীতি  ও সকল অবৈধ  কর্মকান্ডের  বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা  নেয়ার জন্য  সিলেট  মাধ্যমিক  পরিচালক  বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ  দায়ের করা হয়েছে।