হবিগঞ্জ ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঈদে অর্ধশতাধিক এতিমদের মুখে হাসি ফোটালেন ছাত্রদল নেতা আল সাইমুম আহাদ Logo চুনারুঘাটে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন Logo মাধবপুরে ‎হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে Logo মাধবপুরে বেড়েছে, মাদক ও ছিনতাইয়ের সন্ত্রাসে জনজীবন অতিষ্ঠ Logo টানা বৃষ্টিপাতে মাধবপুরে মহাসড়কসহ বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত Logo চুনারুঘাটে পানিতে ডুবে ভাইবোনের এক সাথে মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে তহশিলদার মইনুল ইসলামে সততার ঈর্ষান্বিত হয়ে সংবাদ প্রকাশ Logo চুনারুঘাটে ফের ২২ বাংলাদেশীকে পুশইন করেছে বিএসএফ Logo মাধবপুরে ৪টি লাইসেন্স বিহীন করাতকল উচ্ছেদ অভিযান” Logo চুনারুঘাটের কালেঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের পুশ-ইন: নারী শিশুসহ ১৯ বাংলাদেশী

বাহুবলে চেয়ারম্যান শামীমের বিরুদ্ধে নারী মেম্বারে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

  • স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপডেট সময় ০১:১১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
  • ২০২ বার পড়া হয়েছে

বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামীমের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ দায়ের করেছেন এক নারী ইউপি সদস্য। গত (২৩ নভেম্বর) বুধবার দুপুরে তিনি জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান আজ বৃহস্পতিবার এক উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করেছেন। স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশাদুল হককে৷ এই তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ওই নারী জনপ্রতিনিধির দেয়া অভিযোগে বলেন, বিগত নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমাকে প্রায়ই সুযোগে পেলে কু-প্রস্তাব দিত। আমি আমার মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে ও চেয়ারম্যান প্রভাবশালী হওয়ায় তার কুপ্রস্তাব এড়িয়ে গেছি।
গত ১৯ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামীম আমার বাড়িতে আসেন। আমি, চেয়ারম্যান সাহেবকে সম্মানের সাথে চা নাস্তা দিয়া আপ্যায়ন করি। কিন্তু চেয়ারম্যান হঠাৎ আমাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করতে থাকেন।
অভিযোগে তিনি আরো বলেন, আমি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সম্মান বাঁচাতে বারবার নিজেকে তার কাছ থেকে চেষ্টা করি। নিরুপায় হয়ে একপর্যায়ে শোর চিৎকার করি। যা শুনে ঘটনার দুইজন সাক্ষী পাশের ঘর থেকে এসে আমাকে রক্ষা করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে চেয়ারম্যান ঘর থেকে বের হয়ে যান। ঘটনার পরপরই আমি এলাকার মুরুব্বীদের বিষয়টি অবহিত করি। ঘটনার পরদিন সকাল ১১টার দিকে সময় আমি ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে গেলে বিবাদী ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া আমাকে ইউনিয়ন পরিষদ হইতে বের করে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে ওই নারী জনপ্রতিনিধি বলেন, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামীম এখনও হুমকি দিচ্ছেন। আমার বিরুদ্ধে এখনও অপপ্রচার করে যাচ্ছেন। আমি বিচারপ্রার্থী হয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। আদালতেও মামলা দায়ের করব।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান অভিযোগপ্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তভার দেয়া হয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

ঈদে অর্ধশতাধিক এতিমদের মুখে হাসি ফোটালেন ছাত্রদল নেতা আল সাইমুম আহাদ

বাহুবলে চেয়ারম্যান শামীমের বিরুদ্ধে নারী মেম্বারে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

আপডেট সময় ০১:১১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামীমের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ দায়ের করেছেন এক নারী ইউপি সদস্য। গত (২৩ নভেম্বর) বুধবার দুপুরে তিনি জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান আজ বৃহস্পতিবার এক উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করেছেন। স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশাদুল হককে৷ এই তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ওই নারী জনপ্রতিনিধির দেয়া অভিযোগে বলেন, বিগত নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমাকে প্রায়ই সুযোগে পেলে কু-প্রস্তাব দিত। আমি আমার মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে ও চেয়ারম্যান প্রভাবশালী হওয়ায় তার কুপ্রস্তাব এড়িয়ে গেছি।
গত ১৯ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামীম আমার বাড়িতে আসেন। আমি, চেয়ারম্যান সাহেবকে সম্মানের সাথে চা নাস্তা দিয়া আপ্যায়ন করি। কিন্তু চেয়ারম্যান হঠাৎ আমাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করতে থাকেন।
অভিযোগে তিনি আরো বলেন, আমি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সম্মান বাঁচাতে বারবার নিজেকে তার কাছ থেকে চেষ্টা করি। নিরুপায় হয়ে একপর্যায়ে শোর চিৎকার করি। যা শুনে ঘটনার দুইজন সাক্ষী পাশের ঘর থেকে এসে আমাকে রক্ষা করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে চেয়ারম্যান ঘর থেকে বের হয়ে যান। ঘটনার পরপরই আমি এলাকার মুরুব্বীদের বিষয়টি অবহিত করি। ঘটনার পরদিন সকাল ১১টার দিকে সময় আমি ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে গেলে বিবাদী ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া আমাকে ইউনিয়ন পরিষদ হইতে বের করে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে ওই নারী জনপ্রতিনিধি বলেন, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামীম এখনও হুমকি দিচ্ছেন। আমার বিরুদ্ধে এখনও অপপ্রচার করে যাচ্ছেন। আমি বিচারপ্রার্থী হয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। আদালতেও মামলা দায়ের করব।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান অভিযোগপ্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তভার দেয়া হয়েছে।