হবিগঞ্জ ০৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ৬ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়? Logo চুনারুঘাটে ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা পেশার অরবিন্দ দত্তের সমাপ্তি Logo ব্যারিস্টার সুমন এমপিকে সংবর্ধনা দিল চুনারুঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি Logo চুনারুঘাটে ১৭ কেজি গাঁজা সহ কারবারি গ্রেপ্তার Logo ৪র্থ বারের মতো জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন চুনারুঘাট থানার এসআই লিটন রায় Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনাকারী সোহাগ গ্রেফতার Logo ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার আসামি জালাল গ্রেপ্তার Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন Logo চুনারুঘাটে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন তৌফিক মিয়া তালুকদার Logo ব্যারিস্টার সুমনের হত্যার পরিকল্পনারকারীদের গ্রেফতারে দাবীতে চুনারুঘাটে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ 
নবীগঞ্জে বিএনপির সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

দুর্বল নেতৃত্বের কারনে আজকের এই অবস্থা, নবীগঞ্জ বিএনপিকে ঢেলে সাজাঁতে হবে- জিকে গউছ

জ্বালানি তেল, পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ও নারায়নগঞ্জ, ভোলাসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে বিএনপি’র ৩ কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়- বৃহস্পতিবার ( ৮ই সেপ্টেম্বর) বিকেলে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের জন্য বিএনপির বিবদমান দু’গ্রুপ ভিন্ন স্থানে সমবেত হয়। সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়ার নেতৃত্বে শহরের গোল্ডেন প্লাজায় ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরফরাজ চৌধুরীর নেতৃত্বে অপর পক্ষ শেরপুর রোডস্থ বাংলা টাউনের সামনে অবস্থান নেয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জিকে গউছসহ জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ। বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিকাল ৩ টা থেকে গোল্ডেন প্লাজা ও বাংলা টাউনে অবস্থানরত বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় মিছিল নিয়ে বের হতে চাইলে পুলিশের বাধাঁয় আটকা পড়ে। এক পর্যায়ে বিকাল সোয়া ৪ টায় কেন্দ্রীয় নেতা জিকে গউছ বাংলা টাউনে পৌছলে নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিতে থাকে। এদিকে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়ার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা গোল্ডেন প্লাজা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় পৌর মেয়র বিএনপি নেতা ছাবির আহমদ চৌধুরী ও সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া পুলিশের দায়িত্বরত ওসি (অপারেশন) আব্দুল কাইয়ুম ও এসআই স্বপন সরকারের সাথে কথা বলেন। এ সময় বিক্ষোদ্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে পুলিশ গোল্ডেন প্লাজার প্রধান ফটকে তালা দিয়ে রাখেন। ফলে বিএনপি নেতাকর্মীদের অবরোদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে গোল্ডেন প্লাজার পিছনের ফটক দিয়ে বের হয়ে নেতাকর্মীরা মধ্যবাজারে হোটেল এলাহিবাগ এর সামনে  অবস্থান নিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। এ সময় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলাকালে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাঠ বন্ধ করে দেয় এবং সাধারণ মানুষ দিকবেদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এদিকে বাংলা টাউনের  সামনে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরফরাজ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির অপর পক্ষ বিক্ষোভ মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ কঠোরভাবে বাঁধা দেয়। এতে বিক্ষোভ মিছিল করতে না পেরে সেখানেই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব জিকে গউছ। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনরি আহ্বায়ক সরফরাজ চৌধুরী। যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন  যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান শেফ,ু জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক জালাল আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক কাউন্সিলর সফিকুর রহমান সিতুসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। অপর দিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ন সমাবেশে বিনা উস্কানিতে পুলিশ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে এতে আমাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ বলেন, পুলিশের সাথে বিএনপির কোনো সংঘর্ষ হয়নি, বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল ছুড়াছুড়ি হয়েছে। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সতর্ক অবস্থানে ছিল। আমাদের কেউ আহত হয়নি। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জিকে গউছ বলেছেন, বিএনপির দুর্বল নেতৃত্বের কারনে নবীগঞ্জে আজ এই অবস্থা। নবীগঞ্জ বিএনপিকে  ঢেলে সাজাঁতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। তিনি বলেন, পুলিশ আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। আওয়ামীলীগ আমাদের প্রতিপক্ষ। তাই দলকে তৃর্ণমুল পর্যায়ে সুসংঘটিত করে সরকার পতন আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। তিনি বলেন দ্রব্য মুল্যের আগুন নিভানোর জন্যই আজকের এই কর্মসুচী ছিল, সরকার পতনের সভা এটা নয়। সরকার পতনের জন্য ডাক যখন আসবে, কোন ব্যরিকেডই তখন আমাদের রুখতে পারবে না।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়?

নবীগঞ্জে বিএনপির সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

দুর্বল নেতৃত্বের কারনে আজকের এই অবস্থা, নবীগঞ্জ বিএনপিকে ঢেলে সাজাঁতে হবে- জিকে গউছ

আপডেট সময় ০৮:২৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
জ্বালানি তেল, পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ও নারায়নগঞ্জ, ভোলাসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে বিএনপি’র ৩ কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়- বৃহস্পতিবার ( ৮ই সেপ্টেম্বর) বিকেলে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের জন্য বিএনপির বিবদমান দু’গ্রুপ ভিন্ন স্থানে সমবেত হয়। সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়ার নেতৃত্বে শহরের গোল্ডেন প্লাজায় ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরফরাজ চৌধুরীর নেতৃত্বে অপর পক্ষ শেরপুর রোডস্থ বাংলা টাউনের সামনে অবস্থান নেয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জিকে গউছসহ জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ। বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিকাল ৩ টা থেকে গোল্ডেন প্লাজা ও বাংলা টাউনে অবস্থানরত বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় মিছিল নিয়ে বের হতে চাইলে পুলিশের বাধাঁয় আটকা পড়ে। এক পর্যায়ে বিকাল সোয়া ৪ টায় কেন্দ্রীয় নেতা জিকে গউছ বাংলা টাউনে পৌছলে নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিতে থাকে। এদিকে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়ার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা গোল্ডেন প্লাজা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় পৌর মেয়র বিএনপি নেতা ছাবির আহমদ চৌধুরী ও সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া পুলিশের দায়িত্বরত ওসি (অপারেশন) আব্দুল কাইয়ুম ও এসআই স্বপন সরকারের সাথে কথা বলেন। এ সময় বিক্ষোদ্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে পুলিশ গোল্ডেন প্লাজার প্রধান ফটকে তালা দিয়ে রাখেন। ফলে বিএনপি নেতাকর্মীদের অবরোদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে গোল্ডেন প্লাজার পিছনের ফটক দিয়ে বের হয়ে নেতাকর্মীরা মধ্যবাজারে হোটেল এলাহিবাগ এর সামনে  অবস্থান নিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। এ সময় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলাকালে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাঠ বন্ধ করে দেয় এবং সাধারণ মানুষ দিকবেদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এদিকে বাংলা টাউনের  সামনে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরফরাজ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির অপর পক্ষ বিক্ষোভ মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ কঠোরভাবে বাঁধা দেয়। এতে বিক্ষোভ মিছিল করতে না পেরে সেখানেই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব জিকে গউছ। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনরি আহ্বায়ক সরফরাজ চৌধুরী। যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন  যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান শেফ,ু জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক জালাল আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক কাউন্সিলর সফিকুর রহমান সিতুসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। অপর দিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ন সমাবেশে বিনা উস্কানিতে পুলিশ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে এতে আমাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ বলেন, পুলিশের সাথে বিএনপির কোনো সংঘর্ষ হয়নি, বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল ছুড়াছুড়ি হয়েছে। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সতর্ক অবস্থানে ছিল। আমাদের কেউ আহত হয়নি। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জিকে গউছ বলেছেন, বিএনপির দুর্বল নেতৃত্বের কারনে নবীগঞ্জে আজ এই অবস্থা। নবীগঞ্জ বিএনপিকে  ঢেলে সাজাঁতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। তিনি বলেন, পুলিশ আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। আওয়ামীলীগ আমাদের প্রতিপক্ষ। তাই দলকে তৃর্ণমুল পর্যায়ে সুসংঘটিত করে সরকার পতন আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। তিনি বলেন দ্রব্য মুল্যের আগুন নিভানোর জন্যই আজকের এই কর্মসুচী ছিল, সরকার পতনের সভা এটা নয়। সরকার পতনের জন্য ডাক যখন আসবে, কোন ব্যরিকেডই তখন আমাদের রুখতে পারবে না।