বাহুবলের পুটিজুরীতে অবস্থিত রূপাইছড়া রাবার বাগানের জায়গা নিয়ে জঠিলতা নিরসনে পূর্ব নির্ধারিত শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০ টার দিকে বাহুবল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রুহুল আমিনের কার্যালয়ে রূপাইছড়া রাবার বাগানের ব্যাবস্থাপক মোঃ মনিরুল ইসলাম ও পুটিজুরী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মুদ্দত আলীর উপস্থিতেতে এ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত শুনানীতে রাবার বাগানের দাবী করা জমির কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি বাগান কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, সম্প্রতি রূপাইছড়া রাবার বাগানের ববানপুর মৌজার ২৯৯,৩০০ ও ৩০১ নং দাগের প্রায় সাড়ে ৭ একর জমি পুটিজুরী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মুদ্দত আলী জবর দখল করেছেন বলে বাগানের ব্যাবস্থাপক মোঃ মনিরুল ইসলাম বাহুবল মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত গত ১৪ আগষ্ট উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মোঃ রুহুল আমিন সরজমিন সরকারী সার্ভেয়ারসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে জমির কিছু কাগজপত্র ও ম্যাপ দেখে জমিগুলো মোঃ মুদ্দত আলীর বলে প্রাথমিক একটি ধারনা দিয়ে আসেন। বিষয়টি পরিস্কার করার জন্য তিনি ৩ কার্য দিবসের মধ্যে বাগান কর্তৃপক্ষ ও পুটিজুরী ইউপি চেয়ারম্যানকে তার কার্যালয়ে প্রত্যেকের কাছে থাকা বৈধ কাগজপত্র নিয়ে শুনানীতে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আজ দুপক্ষের উপস্থিতিতে এ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় ঘন্টাখানেক শুনানীতে পুটিজুরী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মুদ্দত আলী তার কাছে থাকা বৈধ কাগজপত্র দেখালেও রূপাইছড়া রাবার বাগান কর্তৃপক্ষ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
এ বিষয়ে বাহুবল উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রুহুল আমীন বলেন, রূপাইছড়া রাবার বাগানের পক্ষে জবর দখলের যে অভিযোগ আনা হয়েছে সে জমিগুলো রাবার বাগানের মর্মে কোনো কাগজপত্র বাগান কর্তৃপক্ষ শুনানী দেখাতে পারেনি। তাই সমস্যা নিরসনে দুই পক্ষের আমিন নিয়ে জায়গার সীমানা নির্ধারণ করতে উপস্থিত থাকার কথা বলা হলে বাগান কর্তৃপক্ষ নানান টালবাহানা শুরু করে। তারা বলে আমরা বাগানের উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে আলাপ না করে কিছু বলতে পারব না। তিনি আরও জানান, সরকারি ১নং খতিয়ানের জায়গায় আমাদের সার্ভেয়ার দ্বারা আমরা নির্ধারণ করে নেব। আমি সমস্যা নিরসনে দুই পক্ষকে ডেকেছি, তবে বাগান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সার্ভেয়ারের বিষয়ে তারা কোনো উত্তর দিতে পারেনাই। তাছাড়া ববানপুর মৌজার উল্লেখিত দাগের জমিগুলো রাবার বাগানের কখনও ছিলনা বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রূপাইছড়া রাবার বাগানের ব্যাবস্থাপক মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, জমিগুলো যেহেতু আমার ব্যাক্তিগত জমি না সে কারনে আমি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবনা। এটা অফিসিয়াল কাজ অফিসিয়ালভাবেই সিদ্ধান্ত হবে। কাগজ পত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, রিজার্ভ ফরেস্টের জায়গার কাগজপত্র আর কি দেখাব, এটাতো সরকারী জায়গা। এটা এসিল্যান্ড এসে সীমানা নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসককে রিপোর্ট দিবেন , তারপর জেলা প্রশাসক সিদ্ধান্ত দিলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকলে আমরা সার্ভেয়ার নিয়ে জায়গাগুলো নির্ধারণ করবো।
পুটিজুরী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মুদ্দত আলী বলেন, এ জমিগুলোর বৈধ কাগজপত্র আমার কাছে আছে। আমি কার কাছ থেকে ক্রয় করেছি, সে কার কাছ থেকে ক্রয় করেছে, সব কাগজপত্র আমার রয়েছে । এখানে সীমানা নির্ধারণ করতে বাগানের পচন্দমত সার্ভেয়ার নিয়ে আসিলেও আমার কোনো আপত্তি নাই। কারন আমার বৈধভাবে ক্রয় করা জমিগুলোর সীমানা নির্ধারণ করতে আমি যে কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নিতে রাজি।