বিচার সালিশের জের ধরে চুনারুঘাট পৌর যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক মাজেদুল হোসাই লুবন ও ইউপি সদস্য সায়েব আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন তেলিউত্তা গ্রামের দুলাল মিয়া। ফলে উপজেলা জুড়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সমালোচনার ঝড় ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গত ৪ জুলাই সন্ধ্যায় তেলিউত্তা গ্রামের কবির মিয়াগং এবং জাকির মিয়াগং এর পারিবারিক বিরোধ নিয়ে বিচার সালিশের দিন তারিখ ধার্য ছিল। কিন্ত কবির মিয়া গংরা সালিশে উপস্থিত হয়নি। উক্ত সালিশে চুনারুঘাটের ৪ গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে ওইদন রাত ১০টায় পূর্ব বিরোধের জের নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি সংঘটিত। এতে কবির মিয়া মারাত্মক আহত হয়। বর্তমানে তিনি আইসিওতে সিলেট ওসামানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং কবির মিয়া অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কিন্ত ওই মারামারি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশের মুরুব্বী যুবলীগ নেতা লুবনকে আসামী করা হয়। এছাড়াও সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সায়েব আলীকেও আসামী করা হয়েছে। এর ফলে উপজেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে।
চুনারুঘাট পৌর যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক মাজেদুল হোসাই লুবন বলেন-দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের মাঝে বিরোধ চলছিল। আমরা মুরুব্বীসহ ঘটনার দিন মীমাংসার লক্ষে দুই পক্ষকে নিয়ে বসার কথা ছিল। কিন্ত কবির মিয়া পক্ষরা ওই দিন বিচারে উপস্থিত হয়নি। পরে শুনি ওইদিন রাতে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। কিন্ত মারামারি বিষয়টি নিয়ে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। তিনি আরো বলেন-একটি কুচক্রী মহল আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার মান ক্ষুন্ন করা করার লক্ষে চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি পুলিশ বাহিনী ও প্রশাসনের কাছে আমি সু-বিচার প্রার্থী।