আজমিরীগঞ্জে মডেল মসজিদের দোহাই দিয়ে কালনী নদী থেকে ধাপে ধাপে চলছে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন।অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে লিপ্ত থাকার দায়ে একজনকে অর্ধলাখ টাকা জরিমানা প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানাযায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদের দোহাই দিয়ে কালনী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে মেতে উঠেছে একদল বালুখেকু চক্র। ফলে বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কিছু দিন নীরব থাকার পর আবারও তারা কালনী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে মেতে উঠে।কালনীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে অনেক পরিবারই সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে।ভূগর্ভে তলীয়ে যাচ্ছে শত শত বর্গ একর ফসলী জমি।
যার ধরুন গেল বছরে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাটের বস্তা এবং বাঁধ নির্মাণে নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পায় কয়েকশ’ত পরিবার।
সূত্রেজানাযায়, বালুখেকো চক্র উপজেলা মডেল মসজিদের দোহাই দিয়ে কালনী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে মসজিদ ও বাজারের বিভিন্ন স্থানে জায়গা ভরাটে মেতে উঠে।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি উত্তোলনে নিমজ্জিত থাকায় কবির মিয়া(২৩)-কে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুসারে ৫০’হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।জরিমানাপ্রাপ্ত কবির মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগর থানার কদমতলীর সা্ত্তার মিয়ার পুত্র।এসময় ড্রেজারে জড়িত থাকা একি জেলার আরো দু’জন শ্রমিক আলাউদ্দীন মিয়া(২২) ও শাহজাহান মিয়া(২০)কে ভবিষ্যতে ড্রেজিংয়ে লিপ্ত থাকবে না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেড সহকারী কর্মকর্তা ভূমি শফিকুল ইসলাম।
সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন আজমিরীগঞ্জ থানার এএসআই প্রদীপ দাশের নেতৃত্বে একটি দল।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম জানান, কালনী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একজন জরিমানা এবং সাথে থাকা দু’জন শ্রমিকের মুচলেকা নিই।