চুনারুঘাটে ডাকাতদলের হামলায় নিহত আব্দুল হামিদ (৫৬) হত্যা মামলার আসামি আব্দুল হক কুটি মিয়া (৩৮) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযার চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। আটককৃত আব্দুল হক কুটি একই ইউনিয়নের পাঁচগাতিয়া গ্রামের হাজী হাফেজ আলীম উল্লার ছেলে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে র্যাব তাকে গ্রেফতার করে। ডাকাত আব্দুল হক কুটি মিয়া এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মাসের ১৪ আগস্ট গভীর রাতে একদল ডাকাত আব্দুল হামিদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতি করতে গিয়ে গৃহকর্তা আব্দুল হামিদকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চুনারুঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় ডাকাতরা গৃহকর্তার ছেলে দুবাই প্রবাসী রাসেল মিয়ার স্ত্রী রিতি আক্তার (২৬)কে বেধরক মারপিট করে। ডাকাদের মারপিটে প্রবাসীর স্ত্রী প্রায় দুইদিন যাবৎ অজ্ঞান ছিলেন। পরে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরেন।
প্রতিবেশী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওইদিন বুধবার রাতে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন নিহত আব্দুল হামিদ ও তার পুত্রবধূ রিতি আক্তার। নিহতের দুই ছেলে দীর্ঘদিন ধরে আরব আমিরাতে বসবাস করছেন। পুত্রবধূ রিতি আক্তারও দুবাই থেকে কয়েক মাস মাস পূর্বে স্বামী রাসেলের কাছ থেকে বাড়িতে এসেছেন। বুধবার রাতে নিহত আব্দুল হামিদের স্ত্রী চলে যান পিত্রালয়ে।
বাড়িতে শুধু আব্দুল হামিদ ও তার পুত্রবধূ রিতা আক্তার ছিলেন। তারা রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। জনশূন্য প্রবাসীর ঘরে রাত অনুমান ৩টায় ৫-৬ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় মুখোশধারী ডাকাত অস্ত্রের মুখে তার হাত-পা বেঁধে ডাকাতির চেষ্টা করে।
এতে আব্দুল হামিদ চিৎকার করলে আব্দুল হামিদকে (৬৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তাণ্ডব চালায়। এ সময় ঘরে থাকা পুত্রবধূ চিৎকার করলে ডাকাতরা প্রবাসী রাসেল মিয়ার সন্তানকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার স্ত্রী রিতি আক্তারের হাত-পা বেঁধে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা হাতি নেয়। এসব তথ্য জানিয়েছেন আহত রিতি আক্তারের বড় বোন রাহেলা আক্তার।