আন্তার্জাতিক ডেস্ক: মস্কোয় জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলৎজের সঙ্গে বৈঠকের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন জানান ইউক্রেইন সীমান্তে রুশ সেনা সমাবেশ নিয়ে কয়েক সপ্তাহের উত্তেজনার পর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া কোনও যুদ্ধ চায় না। ইউক্রেইন সীমান্ত থেকে কিছু রুশ সেনা সরে যেতে শুরু করার পরই পুতিনের সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলরের এই বৈঠক হয়। এরপর শুলৎজের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, “আমরা (যুদ্ধ) চাই, নাকি চাই না? যুদ্ধ চাই না বলেই আমরা আলোচনা প্রক্রিয়া শুরুর জন্য প্রস্তাব রেখেছি।” কিন্তু রাশিয়ার এই প্রস্তাবে ইতিবাচক কোনও সাড়া মেলেনি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পুতিন বলেন, রাশিয়া নিজেদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখতে যে দাবি তুলেছিল, তার কোনও ইতিবাচক জবাব পায়নি। তারপরও মস্কো যুক্তরাষ্ট্র এবং নেটো জোটের সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সীমা এবং সামরিক সচ্ছ্বতা নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
তাছাড়া, নেটো এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত কিছু বিষয়ও এখনও আছে যেগুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলেও পুতিন উল্লেখ করেন।
তবে বিবিসি জানায়, যুদ্ধ না চাওয়া এবং আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকার কথা বললেও পুতিন সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে মস্কো-সমর্থিত বিদ্রোহী এলাকাগুলোতে ইউক্রেইন গণহত্যা চালাচ্ছে।
“আমাদের দৃষ্টিতে ডনবাসে এখন যা ঘটছে তা গণহত্যা,” বলেন তিনি। পূর্ব ইউক্রেইনে রুষভাষীদের ওপর গণহত্যা চালানোর এমন অভিযোগ রাশিয়া আগেও করেছে। গত ডিসেম্বরে পুতিন বলেছিলেন, গণহত্যার পথে প্রথম ধাপ হচ্ছে রাশিয়াবিদ্বেষ।
আর সম্প্রতি ইউক্রেইন সীমান্তে রাশিয়া একলাখের বেশি সেনা সমাবেশ করে যুদ্ধের দামামা বাজিয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন যুদ্ধের এই আশঙ্কা দূর করতে পারেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জার্মান চ্যান্সেলর শুলৎজের আগের একটি মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, তার প্রজন্ম ইউরোপে যুদ্ধ কল্পনাও করতে পারে না।
তবে ১৯৯০ এর দশকে এই ইউরোপ মহাদেশই যে যুগোস্লাভিয়ায় যুদ্ধের সাক্ষী হয়েছে সেকথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন পুতিন। সেই যুদ্ধ নেটো শুরু করেছিল বলেই দাবি তার।
সূত্র: বিডি নিউজ