হবিগঞ্জ ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুড়ারবন্দ তাজদারে মাদীনা সুন্নী যুব সংঘের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত Logo জুলাই শহীদ স্মৃতি গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে চুনারুঘাট ফুটবল একাদশের জার্সি উন্মোচন Logo ‘বিউটিফুল চুনারুঘাট’ এর ব্যতিক্রমি উদ্যোগ সৌন্দর্য বর্ধনে একহাজার বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা Logo মাধবপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার, দুই কারবারি গ্রেফতার Logo চুনারুঘাটে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান Logo আইএফআইসি ব্যাংক এবং শক্তি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে “হার পাওয়ার” শীর্ষক স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মশালা Logo চুনারুঘাটে দিনে-দুপুরে সাদাবালু চুরির সময় জনতার হাতে আটক-১ Logo বাহুবল নবীগঞ্জের পর এবার চুনারুঘাটে বিএনপির ঝাড়ু মিছিল Logo নির্মাণ শেষের আগেই ২ বার ধসে পড়লো মডেল মসজিদের ছাদ Logo চুনারুঘাটে চুরি হওয়া কাঠ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ

মাধবপুরে কিশোর-কিশোরী ক্লাবে বরাদ্দের টাকা হরিলুট

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের জন্য নাস্তার বরাদ্দের টাকা হরিলুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে হবিগঞ্জের মাধবপুরের ১১টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভায় একটি করে কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে, শিশুদের আবৃতি ও সংগীত শিখানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

ক্লাবের সদস্যদের নাস্তার জন্য শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাবে ৩০ জনের জন্য ৩০ টাকা করে নাস্তার বরাদ্দ দেয়া হলেও ১/১৫ টাকার নাস্তা সরবরাহ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম থাকলে তাদের বরাদ্দকৃত টাকা হরিলুট করা হয়েছে। বছরে দুইটি সভার জন্য বরাদ্দ থাকলেও তা করা হয়নি। এছাড়াও, কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মহিলা ইউপি সদস্যদের সম্মানীর টাকাও ঠিকমতো দেয়া হয়নি।

আর এসব অভিযোগ বেশিরভাগই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পিয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে কয়েকটি ক্লাব পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, উপস্থিতির হারও খুবই কম। প্রতিটি কেন্দ্রে নাস্তা সরবরাহ করেন প্রকল্পে নিয়োগ প্রাপ্ত জেন্ডার প্রমোটররা।

নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক জেন্ডার প্রমোটর জানান, প্রতিদিন ৩০ জনের জন্য ৩০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও তাদেরকে অফিস থেকে ২০ টাকা করে দেয়া হয়েছে।

সে জন্য কম মূল্যের খাবার সরবরাহ করেছেন তারা। জেন্ডার প্রমোটর বলেন,‘‘প্রতিদিন আমাকে একটি করে কেন্দ্রে যেতে হয়। তার জন্য ভাড়া বাবদ আমাকে কোন টাকা দেয়া হয় না। ভাড়া বাবদও তো কিছু টাকা লাগে।”

প্রতিটি ক্লাবের কো-অর্ডিনেটর হচ্ছে একজন নারী ইউ/পি সদস্য । তাদের সম্মানী হিসেবে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে বরাদ্দ রয়েছে,তারা এই বরাদ্দ পাননি।

ক্লাবের কো-অর্ডিনেটর চৌমুহনী ইউ/পি সদস্য রত্না আক্তার জানান, এ পর্যন্ত ৬ হাজার টাকা পেয়েছি আর কোন টাকা পাইনি।

যোগাযোগ করা হলে বলে টাকা আসলে পাবেন।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মাধবপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পিয়ারা বেগম বলেন,‘উপস্থিতির হার অনুযায়ী সবাইকে নাস্তা এবং সম্মানী বিতরণ করি। নাস্তার খরচ প্রত্যেককে ২০ টাকা দেওয়া হয়েছে আর ১০ টাকা করে রেখে ভ্যাট এবং হিসাব রক্ষন অফিসের খরচ বাবদ দেওয়া হয়।

১০ টাকা না রাখলে ভ্যাট আর হিসাবরক্ষন অফিসের খরচ কই থেকে দিমু? অন্যান্য আরও খরচ আছে। সেই টাকা কি আমার পকেট থেকে দিবো নাকি প্রকল্প থেকে দিবো?”কো-অর্ডিনেটরদের ভাতা করোনাকালীন সময় থেকে আজ পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে ।

একবার তাদের ভাতা পেয়েছি বিতরনও করেছি।
চৌমুহনী কিশোর কিশোরী ক্লাবের গানের শিক্ষক সঞ্জয় দত্ত জানান, ‘‘নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবৃত্তি ও গান শেখানো হয়। প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে। অনেক কিছু শিখতে পারছে।

শিক্ষার্থীদের নাস্তার খরচ ১৫/২০ টাকা করে দেওয়া হয়।মাধবপুর উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন বলেন,আমাদের অফিসে বিল তুলতে কোন রকম টাকা লাগেনা । আমাদের অফিসে কিশোর কিশোরী ক্লাবের নাস্তার বরাদ্ধের টাকা থেকে টাকা কেটে রাখার অভিযোগ মিথ্যা।
মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মনজুর আহসান বলেন,বিষয়টি আমি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

মুড়ারবন্দ তাজদারে মাদীনা সুন্নী যুব সংঘের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত

মাধবপুরে কিশোর-কিশোরী ক্লাবে বরাদ্দের টাকা হরিলুট

আপডেট সময় ১০:১৫:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের জন্য নাস্তার বরাদ্দের টাকা হরিলুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে হবিগঞ্জের মাধবপুরের ১১টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভায় একটি করে কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে, শিশুদের আবৃতি ও সংগীত শিখানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

ক্লাবের সদস্যদের নাস্তার জন্য শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাবে ৩০ জনের জন্য ৩০ টাকা করে নাস্তার বরাদ্দ দেয়া হলেও ১/১৫ টাকার নাস্তা সরবরাহ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম থাকলে তাদের বরাদ্দকৃত টাকা হরিলুট করা হয়েছে। বছরে দুইটি সভার জন্য বরাদ্দ থাকলেও তা করা হয়নি। এছাড়াও, কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মহিলা ইউপি সদস্যদের সম্মানীর টাকাও ঠিকমতো দেয়া হয়নি।

আর এসব অভিযোগ বেশিরভাগই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পিয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে কয়েকটি ক্লাব পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, উপস্থিতির হারও খুবই কম। প্রতিটি কেন্দ্রে নাস্তা সরবরাহ করেন প্রকল্পে নিয়োগ প্রাপ্ত জেন্ডার প্রমোটররা।

নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক জেন্ডার প্রমোটর জানান, প্রতিদিন ৩০ জনের জন্য ৩০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও তাদেরকে অফিস থেকে ২০ টাকা করে দেয়া হয়েছে।

সে জন্য কম মূল্যের খাবার সরবরাহ করেছেন তারা। জেন্ডার প্রমোটর বলেন,‘‘প্রতিদিন আমাকে একটি করে কেন্দ্রে যেতে হয়। তার জন্য ভাড়া বাবদ আমাকে কোন টাকা দেয়া হয় না। ভাড়া বাবদও তো কিছু টাকা লাগে।”

প্রতিটি ক্লাবের কো-অর্ডিনেটর হচ্ছে একজন নারী ইউ/পি সদস্য । তাদের সম্মানী হিসেবে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে বরাদ্দ রয়েছে,তারা এই বরাদ্দ পাননি।

ক্লাবের কো-অর্ডিনেটর চৌমুহনী ইউ/পি সদস্য রত্না আক্তার জানান, এ পর্যন্ত ৬ হাজার টাকা পেয়েছি আর কোন টাকা পাইনি।

যোগাযোগ করা হলে বলে টাকা আসলে পাবেন।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মাধবপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পিয়ারা বেগম বলেন,‘উপস্থিতির হার অনুযায়ী সবাইকে নাস্তা এবং সম্মানী বিতরণ করি। নাস্তার খরচ প্রত্যেককে ২০ টাকা দেওয়া হয়েছে আর ১০ টাকা করে রেখে ভ্যাট এবং হিসাব রক্ষন অফিসের খরচ বাবদ দেওয়া হয়।

১০ টাকা না রাখলে ভ্যাট আর হিসাবরক্ষন অফিসের খরচ কই থেকে দিমু? অন্যান্য আরও খরচ আছে। সেই টাকা কি আমার পকেট থেকে দিবো নাকি প্রকল্প থেকে দিবো?”কো-অর্ডিনেটরদের ভাতা করোনাকালীন সময় থেকে আজ পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে ।

একবার তাদের ভাতা পেয়েছি বিতরনও করেছি।
চৌমুহনী কিশোর কিশোরী ক্লাবের গানের শিক্ষক সঞ্জয় দত্ত জানান, ‘‘নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবৃত্তি ও গান শেখানো হয়। প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে। অনেক কিছু শিখতে পারছে।

শিক্ষার্থীদের নাস্তার খরচ ১৫/২০ টাকা করে দেওয়া হয়।মাধবপুর উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন বলেন,আমাদের অফিসে বিল তুলতে কোন রকম টাকা লাগেনা । আমাদের অফিসে কিশোর কিশোরী ক্লাবের নাস্তার বরাদ্ধের টাকা থেকে টাকা কেটে রাখার অভিযোগ মিথ্যা।
মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মনজুর আহসান বলেন,বিষয়টি আমি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।