সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ: ঢামেক হাসপাতালে ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীর গুলিস্তানের পাশে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে দুটি ভবন বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আজ মঙ্গলবার রাত ১১টা পর্যন্ত মোট ১৭টি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে নেওয়া হয়েছে।
নিহতরা হলেন- নদী (৩৫) ও তাঁর স্বামী মমিনুল (৩৮), বংশাল সুরিটোলার সুমন (২১),যাত্রাবাড়ীর শেখদির মনসুর হোসাইন (৪০), কেরানীগঞ্জ চুনকুটিয়ার রাহাত (১৮), চাঁদপুর মতলবের আল আমীন (২৩), কলাবাগান গ্রিন রোডের ইশহাক মৃধা (৩৫), বংশাল আলু বাজারের ইসমাইল (৪২), কদমতলী মাতুয়াইলের মাইনুদ্দীন (৫০), হৃদয় (২০), ইদ্রিস মিয়া (৬০), আবৃত্তি বেগম (৭০), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), নাজমুল হোসেন (২৫), সিয়াম (১৮) এবং সম্রাট।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, গুলিস্তান বিআরটিসি বাস স্ট্যান্ডের পাশে সিদ্দিকবাজারে বহুতল ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় হাসপাতালে এখন মোট ১৭ জনের মরদেহ রয়েছে। তাঁদের কাউকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে, আবার কারো অবস্থা গুরুতর ছিল, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
দুটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, ভেতরে ঢুকতে পারছে না ফায়ার সার্ভিসদুটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, ভেতরে ঢুকতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস
এর আগে অর্ধশতাধিক আহত ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়।
আজ বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে সিদ্দিকবাজারে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণির ৫ ও ৬ নম্বর ভবনে বিস্ফোরণ হয়। ভবন দুটির পাশেই একটি বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার ছিল, সেটিও বিস্ফোরিত হয়।
‘পরপর বিকট বিস্ফোরণে ভবন কেঁপে উঠে, সিঁড়ি ভেঙে যায়’‘পরপর বিকট বিস্ফোরণে ভবন কেঁপে উঠে, সিঁড়ি ভেঙে যায়’
৫ নম্বর ভবনটি পাঁচতলা, আর কুইন সেনিটেরি মার্কেট নামে পরিচিতি ৬ নম্বর ভবনটি আট তলা। এই ভবনের বেসমেন্টে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।