হবিগঞ্জ ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে ৮ম শ্রেণির ছাত্রকে মারপিট করে বাইসাইকেল ছিনতাই করে একদল কিশোর গ্যাংক Logo সৃষ্টি নাকি ধ্বংস : শিক্ষাঙ্গন যাচ্ছে কোন পথে?  Logo হবিগঞ্জে ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি সারাদেশ ও হবিগঞ্জে খেলার মাঠ দখলমুক্ত-সুরক্ষার দাবি ক্রিকেটারদের Logo মাধবপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাশকতা মামলায় আসামী হলেন ৬ সাংবাদিক! Logo দৈনিক আমাদের দেশ পাঠক ফোরামের পক্ষে নির্বাসিত সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান কে সংবর্ধনা Logo সাংবাদিকতায় যদি সফলতা চান, তাহলে দিন শেষে ভাবেন-সিনিয়র সাংবাদিক আলমগীর হোসেন Logo গণবিপ্লবের মাধ্যমে আমরা মুক্ত হয়েছি- নির্বাসিত সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান Logo সহকারি শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার মাধবপুর উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত Logo ডাক্তারের ছেলে শ্রেণির ছাত্র জিয়াদ নিখোঁজ Logo একটি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ও হবিগঞ্জ-৪ এর রাজনৈতিক ঐতিহ্য
পুরোনো শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে করা হয় উন্নয়ন কাজ

হবিগঞ্জে পিটিআই সুপারের বিরুদ্ধে উন্নয়ন কাজের অনিয়মের অভিযোগ

হবিগঞ্জের প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) সুপারিন্টেনডেন্ট শাহজাহান কবীরের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।কিন্ত উন্নয়ন কাজ করা হয় পুরোনো শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে। অথচ দেখিয়েছেন ইট, কংক্রিট ক্রয় করেছেন। বেঞ্চ ডেস্ক নির্মাণেও আছে অনিয়মের অভিযোগ। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এটি ঠিক হয়নি বলে নিজের ভুলও স্বীকার করেছেন পিটিআই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অর্থবছরের শেষ পর্যায় হওয়ায় টাকা ফেরত যাওয়ার আশঙ্কায় কাজ না করে তা বিল ভাউচার করে আটকে রাখা হয়। এরই মধ্যে সেপ্টেম্বরে পিটিআই সুপার (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে যোগদান করেন মো. শাহজাহান কবীর। তিনি যোগদানের পরই ওই টাকার খোঁজ নেন।

এক পর্যায়ে অফিসের কারও সঙ্গে কোনো পরামর্শ ছাড়াই তিনি নিজের মতো করে ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ শুরু করেন। তিনি বিদ্যালয়ের পুরাতন লোহার ১১ জোড়া বেঞ্চ ও ডেস্ক মেরামত করেন। নিম্নমানের কাঠ দিয়ে ১৪ জোড়া বেঞ্চ ডেস্ক নির্মাণ করেন। অথচ নিয়মানুযায়ী কাঠের বেঞ্চ ডেস্ক বানানোর কথা নয়।

এছাড়া বিদ্যালয়ের দুটি শৌচাগারের ভিট কিছুটা উঁচু এবং যাওয়ার জন্য ভবনের পাশ দিয়ে কিছু জায়গা ঢালাই করে রাস্তা নির্মাণ করেন। এ কাজে তিনি ব্যয় দেখিয়েছেন ২ লাখ ১ হাজার টাকা। এর মধ্যে বেঞ্চ তৈরিতে ব্যয় দেখানো হয় ৯৫ হাজার টাকা। অবশিষ্ট প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে শৌচাগারের ভিট উঁচু করা ও যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানান, রাস্তার জন্য সামান্য ইট ক্রয় করে ঢালাইয়ের জন্য পুরাতন শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে কংক্রিট তৈরি করা হয়। অথচ কংক্রিট ক্রয় বাবদ দেখিয়েছেন ২৬ হাজার টাকা। মেরামত কাজ একটি কমিটির মাধ্যমে করার কথা থাকলেও করেননি। তবে কাজ শেষে কয়েকজনকে ডেকে এনে কমিটির সদস্য হিসেবে ব্যয় বিবরণীতে স্বাক্ষর আদায় করেন পিটিআই সুপার।

পুরাতন শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে কংক্রিট তৈরির কথা স্বীকার করে পিটিআই সুপারিন্টেনডেন্ট (চলতি দায়িত্ব) মো. শাহজাহান কবীর এ প্রতিবেদককে  বলেন, ‘এটি ভুল হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাটে ৮ম শ্রেণির ছাত্রকে মারপিট করে বাইসাইকেল ছিনতাই করে একদল কিশোর গ্যাংক

পুরোনো শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে করা হয় উন্নয়ন কাজ

হবিগঞ্জে পিটিআই সুপারের বিরুদ্ধে উন্নয়ন কাজের অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট সময় ০১:৩০:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২

হবিগঞ্জের প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) সুপারিন্টেনডেন্ট শাহজাহান কবীরের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।কিন্ত উন্নয়ন কাজ করা হয় পুরোনো শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে। অথচ দেখিয়েছেন ইট, কংক্রিট ক্রয় করেছেন। বেঞ্চ ডেস্ক নির্মাণেও আছে অনিয়মের অভিযোগ। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এটি ঠিক হয়নি বলে নিজের ভুলও স্বীকার করেছেন পিটিআই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অর্থবছরের শেষ পর্যায় হওয়ায় টাকা ফেরত যাওয়ার আশঙ্কায় কাজ না করে তা বিল ভাউচার করে আটকে রাখা হয়। এরই মধ্যে সেপ্টেম্বরে পিটিআই সুপার (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে যোগদান করেন মো. শাহজাহান কবীর। তিনি যোগদানের পরই ওই টাকার খোঁজ নেন।

এক পর্যায়ে অফিসের কারও সঙ্গে কোনো পরামর্শ ছাড়াই তিনি নিজের মতো করে ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ শুরু করেন। তিনি বিদ্যালয়ের পুরাতন লোহার ১১ জোড়া বেঞ্চ ও ডেস্ক মেরামত করেন। নিম্নমানের কাঠ দিয়ে ১৪ জোড়া বেঞ্চ ডেস্ক নির্মাণ করেন। অথচ নিয়মানুযায়ী কাঠের বেঞ্চ ডেস্ক বানানোর কথা নয়।

এছাড়া বিদ্যালয়ের দুটি শৌচাগারের ভিট কিছুটা উঁচু এবং যাওয়ার জন্য ভবনের পাশ দিয়ে কিছু জায়গা ঢালাই করে রাস্তা নির্মাণ করেন। এ কাজে তিনি ব্যয় দেখিয়েছেন ২ লাখ ১ হাজার টাকা। এর মধ্যে বেঞ্চ তৈরিতে ব্যয় দেখানো হয় ৯৫ হাজার টাকা। অবশিষ্ট প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে শৌচাগারের ভিট উঁচু করা ও যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানান, রাস্তার জন্য সামান্য ইট ক্রয় করে ঢালাইয়ের জন্য পুরাতন শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে কংক্রিট তৈরি করা হয়। অথচ কংক্রিট ক্রয় বাবদ দেখিয়েছেন ২৬ হাজার টাকা। মেরামত কাজ একটি কমিটির মাধ্যমে করার কথা থাকলেও করেননি। তবে কাজ শেষে কয়েকজনকে ডেকে এনে কমিটির সদস্য হিসেবে ব্যয় বিবরণীতে স্বাক্ষর আদায় করেন পিটিআই সুপার।

পুরাতন শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে কংক্রিট তৈরির কথা স্বীকার করে পিটিআই সুপারিন্টেনডেন্ট (চলতি দায়িত্ব) মো. শাহজাহান কবীর এ প্রতিবেদককে  বলেন, ‘এটি ভুল হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।’