হবিগঞ্জ ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নিশানের নিবার্হী পরিচালক মঈনউদ্দিন বেলালসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে ৩৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা! Logo বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়ন কল্পে গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের যে বিষয়ের উপর জোর দেওয়া উচিত-সাখাওয়াত হোসেন  Logo চুনারুঘাটে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ, গ্রেফতার-২ Logo মা—আমার জীবনের প্রথম পাঠশালা, আমার শিক্ষা-সাখাওয়াত হোসেন Logo চুনারুঘাটে ন্যাশনাল ট্রাভেলস্ ও আশরাফ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের উদ্যোগে পবিত্র হজ্ব সেমিনার Logo চুনারুঘাটে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ও হাসনাত আব্দুল্লাহ’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo মাধবপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা Logo মাওলানা রইসের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে চুনারুঘাটে ছাত্রসেনার প্রতিবাদ সভা ও ভিক্ষোভ মিছিল Logo মাধবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী আতিক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাট প্রেসক্লাবে লন্ডন ক্যামডেনের মেয়র সমতা খাতুনকে সংবর্ধনা
পুরোনো শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে করা হয় উন্নয়ন কাজ

হবিগঞ্জে পিটিআই সুপারের বিরুদ্ধে উন্নয়ন কাজের অনিয়মের অভিযোগ

হবিগঞ্জের প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) সুপারিন্টেনডেন্ট শাহজাহান কবীরের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।কিন্ত উন্নয়ন কাজ করা হয় পুরোনো শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে। অথচ দেখিয়েছেন ইট, কংক্রিট ক্রয় করেছেন। বেঞ্চ ডেস্ক নির্মাণেও আছে অনিয়মের অভিযোগ। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এটি ঠিক হয়নি বলে নিজের ভুলও স্বীকার করেছেন পিটিআই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অর্থবছরের শেষ পর্যায় হওয়ায় টাকা ফেরত যাওয়ার আশঙ্কায় কাজ না করে তা বিল ভাউচার করে আটকে রাখা হয়। এরই মধ্যে সেপ্টেম্বরে পিটিআই সুপার (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে যোগদান করেন মো. শাহজাহান কবীর। তিনি যোগদানের পরই ওই টাকার খোঁজ নেন।

এক পর্যায়ে অফিসের কারও সঙ্গে কোনো পরামর্শ ছাড়াই তিনি নিজের মতো করে ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ শুরু করেন। তিনি বিদ্যালয়ের পুরাতন লোহার ১১ জোড়া বেঞ্চ ও ডেস্ক মেরামত করেন। নিম্নমানের কাঠ দিয়ে ১৪ জোড়া বেঞ্চ ডেস্ক নির্মাণ করেন। অথচ নিয়মানুযায়ী কাঠের বেঞ্চ ডেস্ক বানানোর কথা নয়।

এছাড়া বিদ্যালয়ের দুটি শৌচাগারের ভিট কিছুটা উঁচু এবং যাওয়ার জন্য ভবনের পাশ দিয়ে কিছু জায়গা ঢালাই করে রাস্তা নির্মাণ করেন। এ কাজে তিনি ব্যয় দেখিয়েছেন ২ লাখ ১ হাজার টাকা। এর মধ্যে বেঞ্চ তৈরিতে ব্যয় দেখানো হয় ৯৫ হাজার টাকা। অবশিষ্ট প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে শৌচাগারের ভিট উঁচু করা ও যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানান, রাস্তার জন্য সামান্য ইট ক্রয় করে ঢালাইয়ের জন্য পুরাতন শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে কংক্রিট তৈরি করা হয়। অথচ কংক্রিট ক্রয় বাবদ দেখিয়েছেন ২৬ হাজার টাকা। মেরামত কাজ একটি কমিটির মাধ্যমে করার কথা থাকলেও করেননি। তবে কাজ শেষে কয়েকজনকে ডেকে এনে কমিটির সদস্য হিসেবে ব্যয় বিবরণীতে স্বাক্ষর আদায় করেন পিটিআই সুপার।

পুরাতন শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে কংক্রিট তৈরির কথা স্বীকার করে পিটিআই সুপারিন্টেনডেন্ট (চলতি দায়িত্ব) মো. শাহজাহান কবীর এ প্রতিবেদককে  বলেন, ‘এটি ভুল হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

নিশানের নিবার্হী পরিচালক মঈনউদ্দিন বেলালসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে ৩৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা!

পুরোনো শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে করা হয় উন্নয়ন কাজ

হবিগঞ্জে পিটিআই সুপারের বিরুদ্ধে উন্নয়ন কাজের অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট সময় ০১:৩০:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২

হবিগঞ্জের প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) সুপারিন্টেনডেন্ট শাহজাহান কবীরের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।কিন্ত উন্নয়ন কাজ করা হয় পুরোনো শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে। অথচ দেখিয়েছেন ইট, কংক্রিট ক্রয় করেছেন। বেঞ্চ ডেস্ক নির্মাণেও আছে অনিয়মের অভিযোগ। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এটি ঠিক হয়নি বলে নিজের ভুলও স্বীকার করেছেন পিটিআই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অর্থবছরের শেষ পর্যায় হওয়ায় টাকা ফেরত যাওয়ার আশঙ্কায় কাজ না করে তা বিল ভাউচার করে আটকে রাখা হয়। এরই মধ্যে সেপ্টেম্বরে পিটিআই সুপার (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে যোগদান করেন মো. শাহজাহান কবীর। তিনি যোগদানের পরই ওই টাকার খোঁজ নেন।

এক পর্যায়ে অফিসের কারও সঙ্গে কোনো পরামর্শ ছাড়াই তিনি নিজের মতো করে ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ শুরু করেন। তিনি বিদ্যালয়ের পুরাতন লোহার ১১ জোড়া বেঞ্চ ও ডেস্ক মেরামত করেন। নিম্নমানের কাঠ দিয়ে ১৪ জোড়া বেঞ্চ ডেস্ক নির্মাণ করেন। অথচ নিয়মানুযায়ী কাঠের বেঞ্চ ডেস্ক বানানোর কথা নয়।

এছাড়া বিদ্যালয়ের দুটি শৌচাগারের ভিট কিছুটা উঁচু এবং যাওয়ার জন্য ভবনের পাশ দিয়ে কিছু জায়গা ঢালাই করে রাস্তা নির্মাণ করেন। এ কাজে তিনি ব্যয় দেখিয়েছেন ২ লাখ ১ হাজার টাকা। এর মধ্যে বেঞ্চ তৈরিতে ব্যয় দেখানো হয় ৯৫ হাজার টাকা। অবশিষ্ট প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে শৌচাগারের ভিট উঁচু করা ও যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানান, রাস্তার জন্য সামান্য ইট ক্রয় করে ঢালাইয়ের জন্য পুরাতন শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে কংক্রিট তৈরি করা হয়। অথচ কংক্রিট ক্রয় বাবদ দেখিয়েছেন ২৬ হাজার টাকা। মেরামত কাজ একটি কমিটির মাধ্যমে করার কথা থাকলেও করেননি। তবে কাজ শেষে কয়েকজনকে ডেকে এনে কমিটির সদস্য হিসেবে ব্যয় বিবরণীতে স্বাক্ষর আদায় করেন পিটিআই সুপার।

পুরাতন শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল ভেঙে কংক্রিট তৈরির কথা স্বীকার করে পিটিআই সুপারিন্টেনডেন্ট (চলতি দায়িত্ব) মো. শাহজাহান কবীর এ প্রতিবেদককে  বলেন, ‘এটি ভুল হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।’