হবিগঞ্জ ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুড়ারবন্দ তাজদারে মাদীনা সুন্নী যুব সংঘের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত Logo জুলাই শহীদ স্মৃতি গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে চুনারুঘাট ফুটবল একাদশের জার্সি উন্মোচন Logo ‘বিউটিফুল চুনারুঘাট’ এর ব্যতিক্রমি উদ্যোগ সৌন্দর্য বর্ধনে একহাজার বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা Logo মাধবপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার, দুই কারবারি গ্রেফতার Logo চুনারুঘাটে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান Logo আইএফআইসি ব্যাংক এবং শক্তি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে “হার পাওয়ার” শীর্ষক স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মশালা Logo চুনারুঘাটে দিনে-দুপুরে সাদাবালু চুরির সময় জনতার হাতে আটক-১ Logo বাহুবল নবীগঞ্জের পর এবার চুনারুঘাটে বিএনপির ঝাড়ু মিছিল Logo নির্মাণ শেষের আগেই ২ বার ধসে পড়লো মডেল মসজিদের ছাদ Logo চুনারুঘাটে চুরি হওয়া কাঠ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ

বাহুবলে চেয়ারম্যান শামীমের বিরুদ্ধে নারী মেম্বারে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

  • স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপডেট সময় ০১:১১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
  • ২১৯ বার পড়া হয়েছে

বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামীমের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ দায়ের করেছেন এক নারী ইউপি সদস্য। গত (২৩ নভেম্বর) বুধবার দুপুরে তিনি জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান আজ বৃহস্পতিবার এক উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করেছেন। স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশাদুল হককে৷ এই তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ওই নারী জনপ্রতিনিধির দেয়া অভিযোগে বলেন, বিগত নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমাকে প্রায়ই সুযোগে পেলে কু-প্রস্তাব দিত। আমি আমার মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে ও চেয়ারম্যান প্রভাবশালী হওয়ায় তার কুপ্রস্তাব এড়িয়ে গেছি।
গত ১৯ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামীম আমার বাড়িতে আসেন। আমি, চেয়ারম্যান সাহেবকে সম্মানের সাথে চা নাস্তা দিয়া আপ্যায়ন করি। কিন্তু চেয়ারম্যান হঠাৎ আমাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করতে থাকেন।
অভিযোগে তিনি আরো বলেন, আমি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সম্মান বাঁচাতে বারবার নিজেকে তার কাছ থেকে চেষ্টা করি। নিরুপায় হয়ে একপর্যায়ে শোর চিৎকার করি। যা শুনে ঘটনার দুইজন সাক্ষী পাশের ঘর থেকে এসে আমাকে রক্ষা করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে চেয়ারম্যান ঘর থেকে বের হয়ে যান। ঘটনার পরপরই আমি এলাকার মুরুব্বীদের বিষয়টি অবহিত করি। ঘটনার পরদিন সকাল ১১টার দিকে সময় আমি ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে গেলে বিবাদী ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া আমাকে ইউনিয়ন পরিষদ হইতে বের করে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে ওই নারী জনপ্রতিনিধি বলেন, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামীম এখনও হুমকি দিচ্ছেন। আমার বিরুদ্ধে এখনও অপপ্রচার করে যাচ্ছেন। আমি বিচারপ্রার্থী হয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। আদালতেও মামলা দায়ের করব।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান অভিযোগপ্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তভার দেয়া হয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

মুড়ারবন্দ তাজদারে মাদীনা সুন্নী যুব সংঘের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত

বাহুবলে চেয়ারম্যান শামীমের বিরুদ্ধে নারী মেম্বারে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

আপডেট সময় ০১:১১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামীমের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ দায়ের করেছেন এক নারী ইউপি সদস্য। গত (২৩ নভেম্বর) বুধবার দুপুরে তিনি জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান আজ বৃহস্পতিবার এক উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করেছেন। স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশাদুল হককে৷ এই তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ওই নারী জনপ্রতিনিধির দেয়া অভিযোগে বলেন, বিগত নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমাকে প্রায়ই সুযোগে পেলে কু-প্রস্তাব দিত। আমি আমার মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে ও চেয়ারম্যান প্রভাবশালী হওয়ায় তার কুপ্রস্তাব এড়িয়ে গেছি।
গত ১৯ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামীম আমার বাড়িতে আসেন। আমি, চেয়ারম্যান সাহেবকে সম্মানের সাথে চা নাস্তা দিয়া আপ্যায়ন করি। কিন্তু চেয়ারম্যান হঠাৎ আমাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করতে থাকেন।
অভিযোগে তিনি আরো বলেন, আমি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সম্মান বাঁচাতে বারবার নিজেকে তার কাছ থেকে চেষ্টা করি। নিরুপায় হয়ে একপর্যায়ে শোর চিৎকার করি। যা শুনে ঘটনার দুইজন সাক্ষী পাশের ঘর থেকে এসে আমাকে রক্ষা করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে চেয়ারম্যান ঘর থেকে বের হয়ে যান। ঘটনার পরপরই আমি এলাকার মুরুব্বীদের বিষয়টি অবহিত করি। ঘটনার পরদিন সকাল ১১টার দিকে সময় আমি ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে গেলে বিবাদী ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া আমাকে ইউনিয়ন পরিষদ হইতে বের করে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে ওই নারী জনপ্রতিনিধি বলেন, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামীম এখনও হুমকি দিচ্ছেন। আমার বিরুদ্ধে এখনও অপপ্রচার করে যাচ্ছেন। আমি বিচারপ্রার্থী হয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। আদালতেও মামলা দায়ের করব।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান অভিযোগপ্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তভার দেয়া হয়েছে।