চুনারুঘাটে স্ত্রীর প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন এক প্রবাসী স্বামী। প্রতারণা করেও উল্টো স্বামীর পরিবারের উপর যৌতুকের কাউন্টার মামলা করে হয়রানি করছেন। অথচ ওই স্ত্রী স্বামীর বাড়িতে খুব একটা থাকতেন না। থাকতেন তার পিতার বাড়িতে।
জানা যায়- গভীর প্রেমের সুবাদে ২০১৯ ইংরেজি সালে চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের কাপুরিয়া গ্রামের জলফু মিয়ার ছেলে সৌদিআরব প্রবাসী আইমানের সাথে পাশের গ্রাম কেউন্দার বাচ্চু মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে হয় ভিডিও কলের মাধ্যমে। পরে স্বামীর বাড়ির চেয়ে পিত্রালয়েই বেশি থাকতেন সুমাইয়া আক্তার।
মামলা ও পুলিশের তদন্ত সূত্রে জানা যায়- পিত্রালয়ে থাকলেও স্ত্রী হওয়ায় সঙ্গত কারণে সুমাইয়া আক্তারের ভরণপোষণ ও যাবতীয় খরচ স্বামী আইমান বহন করতেন। ভরণপোষণ ছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অঙ্কের টাকা স্ত্রী সুমাইয়ার কাছে পাঠিয়েছেন আইমান। স্বামীর সরলতার সুযোগ নিয়ে ও প্রবাসে থাকার কারণে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন সুমাইয়া আক্তার। পরে অবাধে মেলামেশা শুরু করেন পরকীয়া প্রেমিক সালাউদ্দিন নিরব ওরফে ফোয়াদের সাথে। সালাউদ্দিন নিরব ওরফে ফোয়াদ মিয়া উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের সাবেক মেম্বার রফিক মিয়ার ছেলে। এতোকিছুর পরও সুমাইয়া সৌদিআরব যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে তার স্বামী আইমান ভিসা ও বিমান টিকেটের ব্যবস্থা করে। প্লাইটের দিন বিমানবন্দর থেকে সুমাইয়া ও ফোয়াদ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে হাতেনাতে দুজনকে ধরলে পরকীয়া প্রেমিক দৌড়ে পালিয়ে যায়। উল্লেখ যে, সংসার ভাঙ্গার জন্য ফোয়াদ তার ও সুমাইয়ার বিভিন্ন অশ্লীল ছবি আইমানের ইমুতে পাঠায়। আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন আইমানের বাবা।