হবিগঞ্জ ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উদযাপন Logo চুনারুঘাট পৌরসভায় ৪নং ওয়ার্ডবাসীর সাথে জামায়াতের এমপি প্রার্থীর মতবিনিময় Logo চুনারুঘাটে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত Logo হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী পূণর্বিবেচনার দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo চুনারুঘাটে আন্তঃস্কুল বিজ্ঞান মেলা ২০২৫ অনুষ্ঠিত Logo চুনারুঘাটে গাজীপুর ইউনিয়ন প্রবাসী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo হবিগঞ্জে র‍্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত Logo চুনারুঘাটে অবৈধ সিলিকা বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান, ৭ জনের জরিমানা ও কারাদণ্ড Logo চুনারুঘাটে বিয়ের দাওয়াতে এসে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে তিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে শাহ প্রান্ত’র সংবর্ধনা

ইফতারের পর হার্ট অ্যাটাক বাড়ছে : সতর্ক থাকা জরুরি

  • আলোকিত ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় ০৪:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২
  • ২৭৫ বার পড়া হয়েছে

ইফতারের পর হার্ট এটাক বাড়ছে : সতর্ক হতে হবে:
ইফতারের পর হাসপাতালে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে ভর্তি হওয়ার হার অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।অনেকে হার্ট এটাকের ব্যাথা কে ভুল করে এসিডিটির পেইন মনে করে এন্টাসিড বা ইনো খেয়ে আরো বেশী অসুস্থ হয়ে বা তীব্র বুকের ব্যাথা নিয়ে রমজান মাসে সন্ধ্যা বেলা ইফতারির পর চিকিৎসক এর চেম্বারে বা হসপিটালের ইমারজেন্সী বিভাগে চলে আসেন। ইসিজি করার পর প্রতীয়মান হয় যে উনার হার্ট এটাক হয়েছে এবং ততক্ষণে জটিলতা বেড়ে যায়।

যেকোনো ভারী খাবার দাবারের পর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রচুর খাবার একসাথে গেলে সেগুলোকে সামাল দেয়ার জন্য পাকস্থলীকে তার কাজ অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে হয়। বেশি কাজ মানেই বেশি শক্তি। এই অতিরিক্ত শক্তির জন্য তার রক্তও দরকার হয় বেশি। কিন্তু এই রক্ত সে পাবে কই?
পাকস্থলীর মোটামোটি কাছের প্রতিবেশী যেহেতু হার্ট, তখন হার্টকে স্যাক্রিফায়েস করতে হয় বেশ খানিকটা রক্ত। আর ঠিক তখনই ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।

রোজায় সারাদিন না খেয়ে আমরা স্বাভাবিকভাবেই বেশ ক্ষুধার্ত থাকি। ব্রেইন বারবার সিগনাল পাঠাতে থাকে – খাবার দাও, খাবার দাও।
টেবিলে সাজানো সুস্বাদু সব খাবার আর ব্রেইনের সিগনালের ফাঁদে আমরা খুব সহজেই ধরা পড়ে যাই। গোগ্রাসে প্রচুর খাবার গিলতে থাকি।
তারপর আমাদের অজান্তেই শরীরের মধ্যে চলতে থাকে আন্তঃপ্রতিবেশী রক্ত আদান-প্রদান। কখনো কখনো হজম প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে শরীরের বিভিন্ন অর্গান বা অংগ থেকে পাকস্থলী বা স্টম্যাক এর দিকে রক্তের ডাইভারসন হয়, এর মাঝে হৃদপিন্ড বা হার্ট অন্যতম যেখানে রক্ত চলাচলে স্বল্পতা ঘটে।ফলশ্রুতিতে ভারী খাবার দাবারের ২ ঘন্টার মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায় প্রায় চারগুণ।

তাই, ইফতারে খাবার কম খান। দরকার হলে অল্প অল্প করে ২/৩ বারে খান।
নিজের স্বজনদের খাবারের দিকেও খেয়াল রাখুন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

চুনারুঘাটে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উদযাপন

ইফতারের পর হার্ট অ্যাটাক বাড়ছে : সতর্ক থাকা জরুরি

আপডেট সময় ০৪:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২

ইফতারের পর হার্ট এটাক বাড়ছে : সতর্ক হতে হবে:
ইফতারের পর হাসপাতালে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে ভর্তি হওয়ার হার অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।অনেকে হার্ট এটাকের ব্যাথা কে ভুল করে এসিডিটির পেইন মনে করে এন্টাসিড বা ইনো খেয়ে আরো বেশী অসুস্থ হয়ে বা তীব্র বুকের ব্যাথা নিয়ে রমজান মাসে সন্ধ্যা বেলা ইফতারির পর চিকিৎসক এর চেম্বারে বা হসপিটালের ইমারজেন্সী বিভাগে চলে আসেন। ইসিজি করার পর প্রতীয়মান হয় যে উনার হার্ট এটাক হয়েছে এবং ততক্ষণে জটিলতা বেড়ে যায়।

যেকোনো ভারী খাবার দাবারের পর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রচুর খাবার একসাথে গেলে সেগুলোকে সামাল দেয়ার জন্য পাকস্থলীকে তার কাজ অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে হয়। বেশি কাজ মানেই বেশি শক্তি। এই অতিরিক্ত শক্তির জন্য তার রক্তও দরকার হয় বেশি। কিন্তু এই রক্ত সে পাবে কই?
পাকস্থলীর মোটামোটি কাছের প্রতিবেশী যেহেতু হার্ট, তখন হার্টকে স্যাক্রিফায়েস করতে হয় বেশ খানিকটা রক্ত। আর ঠিক তখনই ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।

রোজায় সারাদিন না খেয়ে আমরা স্বাভাবিকভাবেই বেশ ক্ষুধার্ত থাকি। ব্রেইন বারবার সিগনাল পাঠাতে থাকে – খাবার দাও, খাবার দাও।
টেবিলে সাজানো সুস্বাদু সব খাবার আর ব্রেইনের সিগনালের ফাঁদে আমরা খুব সহজেই ধরা পড়ে যাই। গোগ্রাসে প্রচুর খাবার গিলতে থাকি।
তারপর আমাদের অজান্তেই শরীরের মধ্যে চলতে থাকে আন্তঃপ্রতিবেশী রক্ত আদান-প্রদান। কখনো কখনো হজম প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে শরীরের বিভিন্ন অর্গান বা অংগ থেকে পাকস্থলী বা স্টম্যাক এর দিকে রক্তের ডাইভারসন হয়, এর মাঝে হৃদপিন্ড বা হার্ট অন্যতম যেখানে রক্ত চলাচলে স্বল্পতা ঘটে।ফলশ্রুতিতে ভারী খাবার দাবারের ২ ঘন্টার মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায় প্রায় চারগুণ।

তাই, ইফতারে খাবার কম খান। দরকার হলে অল্প অল্প করে ২/৩ বারে খান।
নিজের স্বজনদের খাবারের দিকেও খেয়াল রাখুন।