হবিগঞ্জ ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঈদযাত্রায় মহাসড়কে পুলিশের টহল জোরদার, সিলেটবাসীর নির্বিঘ্ন ঘরে ফেরা Logo ঈদে অর্ধশতাধিক এতিমদের মুখে হাসি ফোটালেন ছাত্রদল নেতা আল সাইমুম আহাদ Logo চুনারুঘাটে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন Logo মাধবপুরে ‎হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে Logo মাধবপুরে বেড়েছে, মাদক ও ছিনতাইয়ের সন্ত্রাসে জনজীবন অতিষ্ঠ Logo টানা বৃষ্টিপাতে মাধবপুরে মহাসড়কসহ বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত Logo চুনারুঘাটে পানিতে ডুবে ভাইবোনের এক সাথে মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে তহশিলদার মইনুল ইসলামে সততার ঈর্ষান্বিত হয়ে সংবাদ প্রকাশ Logo চুনারুঘাটে ফের ২২ বাংলাদেশীকে পুশইন করেছে বিএসএফ Logo মাধবপুরে ৪টি লাইসেন্স বিহীন করাতকল উচ্ছেদ অভিযান”

সৌদি আরবে ইয়েমেনের সহকর্মীর হাতে নবীগঞ্জের যুবক খুন

বাংলাদেশি যুবক তুহিন আহমেদ (২১) সৌদি আরবের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করেন।  শুক্রবার (৪মার্চ) তার সহকর্মীর হাতেই সে খুন হন। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের হাতে খুন হন তুহিন।

তুহিন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর গ্রামের মৃত তারেক উদ্দিনের ছেলে।

তুহিন আহমেদের পরিবারের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য রাসেল আহমেদ জানান, ৭/৮ বছর আগে তুহিনের বাবা মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর দুই ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পরেন তুহিনের মা। এক পর্যায়ে জীবিকার তাগিদে তিনি সৌদিআরব পাড়ি জমান।

বছর দেড়েক আগে তিনি বড় ছেলে তুহিনকেও সৌদিআরব নিয়ে যান। সেখানে তুহিন একটি খাবারের দোকানে কর্মচারি হিসেবে চাকরি নেন।

ওই দোকানে আরও তিনজন কর্মচারি রয়েছেন। সততা ও কাজের প্রতি আন্তরিকতার কারণে তুহিনকে তার মালিক খুব ভালোবাসতেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে তুহিনের প্রতি আস্তা রাখতেন তিনি। এ কারণে অন্য তিন কর্মচারি তুহিনকে হিংসে করতে শুরু করেন।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চারজন একসাথে খেতে বসেন। এ সময় তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে তার সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবক তুহিন আহমেদের নাকে ও বুকে ঘুষি মারে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর সৌদি পুলিশ ইয়েমেনের যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নোমান আহমেদ বলেন, ‘সকালে আমি নিহতের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেকানে তার ছোটভাই আর চাচারা রয়েছেন।

তারা জানিয়েছেন তুহিনের মরদেহ দেশে আনা হবে কি না সেটা তার মা সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি দেশে আনতে চান তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যেহেতু এখন জেনেছি অবশ্যই খোঁজ নেয়া হবে ।

তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা যদি লাশ দেশে আনতে চায় তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

ঈদযাত্রায় মহাসড়কে পুলিশের টহল জোরদার, সিলেটবাসীর নির্বিঘ্ন ঘরে ফেরা

সৌদি আরবে ইয়েমেনের সহকর্মীর হাতে নবীগঞ্জের যুবক খুন

আপডেট সময় ১২:৫৬:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২

বাংলাদেশি যুবক তুহিন আহমেদ (২১) সৌদি আরবের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করেন।  শুক্রবার (৪মার্চ) তার সহকর্মীর হাতেই সে খুন হন। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের হাতে খুন হন তুহিন।

তুহিন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর গ্রামের মৃত তারেক উদ্দিনের ছেলে।

তুহিন আহমেদের পরিবারের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য রাসেল আহমেদ জানান, ৭/৮ বছর আগে তুহিনের বাবা মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর দুই ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পরেন তুহিনের মা। এক পর্যায়ে জীবিকার তাগিদে তিনি সৌদিআরব পাড়ি জমান।

বছর দেড়েক আগে তিনি বড় ছেলে তুহিনকেও সৌদিআরব নিয়ে যান। সেখানে তুহিন একটি খাবারের দোকানে কর্মচারি হিসেবে চাকরি নেন।

ওই দোকানে আরও তিনজন কর্মচারি রয়েছেন। সততা ও কাজের প্রতি আন্তরিকতার কারণে তুহিনকে তার মালিক খুব ভালোবাসতেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে তুহিনের প্রতি আস্তা রাখতেন তিনি। এ কারণে অন্য তিন কর্মচারি তুহিনকে হিংসে করতে শুরু করেন।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চারজন একসাথে খেতে বসেন। এ সময় তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে তার সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবক তুহিন আহমেদের নাকে ও বুকে ঘুষি মারে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর সৌদি পুলিশ ইয়েমেনের যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নোমান আহমেদ বলেন, ‘সকালে আমি নিহতের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেকানে তার ছোটভাই আর চাচারা রয়েছেন।

তারা জানিয়েছেন তুহিনের মরদেহ দেশে আনা হবে কি না সেটা তার মা সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি দেশে আনতে চান তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যেহেতু এখন জেনেছি অবশ্যই খোঁজ নেয়া হবে ।

তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা যদি লাশ দেশে আনতে চায় তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।’