হবিগঞ্জ ১০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জেলার শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার এসআই রিপটন Logo জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নুর আলম Logo এডভোকেট নজরুল ইসলাম চুনারুঘাট উপজেলার শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত Logo চুনারুঘাটে জমি-জমা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১: গ্রেপ্তার ২ Logo চুনারুঘাটে সেপ্টেম্বরে ১ লাখ শিশু-কিশোরকে টাইফয়েড ভ্যাকসিন প্রদানের সিদ্ধান্ত Logo সাংবাদিক তুহিনকে হত্যার প্রতিবাদে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের মানববন্ধন Logo চুনারুঘাটে ট্রাক শ্রমিকের উপর হামলার ঘটনায় জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিবাদ সভা Logo চুনারুঘাটে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসে অভিজ্ঞতা সনদ ও চেক বিতরণ Logo চুনারুঘাট সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন Logo চুনারুঘাটে ৩ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন

সৌদি আরবে ইয়েমেনের সহকর্মীর হাতে নবীগঞ্জের যুবক খুন

বাংলাদেশি যুবক তুহিন আহমেদ (২১) সৌদি আরবের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করেন।  শুক্রবার (৪মার্চ) তার সহকর্মীর হাতেই সে খুন হন। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের হাতে খুন হন তুহিন।

তুহিন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর গ্রামের মৃত তারেক উদ্দিনের ছেলে।

তুহিন আহমেদের পরিবারের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য রাসেল আহমেদ জানান, ৭/৮ বছর আগে তুহিনের বাবা মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর দুই ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পরেন তুহিনের মা। এক পর্যায়ে জীবিকার তাগিদে তিনি সৌদিআরব পাড়ি জমান।

বছর দেড়েক আগে তিনি বড় ছেলে তুহিনকেও সৌদিআরব নিয়ে যান। সেখানে তুহিন একটি খাবারের দোকানে কর্মচারি হিসেবে চাকরি নেন।

ওই দোকানে আরও তিনজন কর্মচারি রয়েছেন। সততা ও কাজের প্রতি আন্তরিকতার কারণে তুহিনকে তার মালিক খুব ভালোবাসতেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে তুহিনের প্রতি আস্তা রাখতেন তিনি। এ কারণে অন্য তিন কর্মচারি তুহিনকে হিংসে করতে শুরু করেন।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চারজন একসাথে খেতে বসেন। এ সময় তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে তার সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবক তুহিন আহমেদের নাকে ও বুকে ঘুষি মারে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর সৌদি পুলিশ ইয়েমেনের যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নোমান আহমেদ বলেন, ‘সকালে আমি নিহতের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেকানে তার ছোটভাই আর চাচারা রয়েছেন।

তারা জানিয়েছেন তুহিনের মরদেহ দেশে আনা হবে কি না সেটা তার মা সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি দেশে আনতে চান তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যেহেতু এখন জেনেছি অবশ্যই খোঁজ নেয়া হবে ।

তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা যদি লাশ দেশে আনতে চায় তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলার শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার এসআই রিপটন

সৌদি আরবে ইয়েমেনের সহকর্মীর হাতে নবীগঞ্জের যুবক খুন

আপডেট সময় ১২:৫৬:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২

বাংলাদেশি যুবক তুহিন আহমেদ (২১) সৌদি আরবের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করেন।  শুক্রবার (৪মার্চ) তার সহকর্মীর হাতেই সে খুন হন। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের হাতে খুন হন তুহিন।

তুহিন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর গ্রামের মৃত তারেক উদ্দিনের ছেলে।

তুহিন আহমেদের পরিবারের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য রাসেল আহমেদ জানান, ৭/৮ বছর আগে তুহিনের বাবা মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর দুই ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পরেন তুহিনের মা। এক পর্যায়ে জীবিকার তাগিদে তিনি সৌদিআরব পাড়ি জমান।

বছর দেড়েক আগে তিনি বড় ছেলে তুহিনকেও সৌদিআরব নিয়ে যান। সেখানে তুহিন একটি খাবারের দোকানে কর্মচারি হিসেবে চাকরি নেন।

ওই দোকানে আরও তিনজন কর্মচারি রয়েছেন। সততা ও কাজের প্রতি আন্তরিকতার কারণে তুহিনকে তার মালিক খুব ভালোবাসতেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে তুহিনের প্রতি আস্তা রাখতেন তিনি। এ কারণে অন্য তিন কর্মচারি তুহিনকে হিংসে করতে শুরু করেন।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চারজন একসাথে খেতে বসেন। এ সময় তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে তার সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবক তুহিন আহমেদের নাকে ও বুকে ঘুষি মারে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর সৌদি পুলিশ ইয়েমেনের যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নোমান আহমেদ বলেন, ‘সকালে আমি নিহতের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেকানে তার ছোটভাই আর চাচারা রয়েছেন।

তারা জানিয়েছেন তুহিনের মরদেহ দেশে আনা হবে কি না সেটা তার মা সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি দেশে আনতে চান তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যেহেতু এখন জেনেছি অবশ্যই খোঁজ নেয়া হবে ।

তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা যদি লাশ দেশে আনতে চায় তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।’