হবিগঞ্জ ১০:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও মাধবপুর থানায় ও তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধে লাগানো বিকৃত ইতিহাস Logo ভূমি প্রশাসন সহকারী সমিতির জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান Logo চুনারুঘাট প্রাণী সেবা কল্যাণ সমিতির ইফতার মাহফিল ও আত্মপ্রকাশ Logo চুনারুঘাটে সায়হাম গ্রুপের উদ্যোগে ৪ হাজার প্যাকেট ইফতার সামগ্রী বিতরণ Logo তৌহিদীর জনতার নামে তাবলীগের মুসল্লীদের ‘কাফের’ ঘোষণা দিয়ে মসজিদে হামলা Logo চুনারুঘাটে চাঁদাবাজী ও মারপিটের মামলা করায় বাদী ও স্বাক্ষীর ৭০টি ফলজাত গাছ কর্তন  Logo হবিগঞ্জে আইএফআইসি ব্যাংকের সকল শাখা-উপশাখায় উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও এতিম শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ Logo মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পেটানোর ঘটনার আসামী আদালতে হাজির, কারাগারে প্রেরণ Logo লাখাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত Logo বাহুবলে রশিদপুর গ্যাসফিল্ডে গাছ ফেলে ঘন্টাব্যাপী ডাকাতি

সৌদি আরবে ইয়েমেনের সহকর্মীর হাতে নবীগঞ্জের যুবক খুন

বাংলাদেশি যুবক তুহিন আহমেদ (২১) সৌদি আরবের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করেন।  শুক্রবার (৪মার্চ) তার সহকর্মীর হাতেই সে খুন হন। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের হাতে খুন হন তুহিন।

তুহিন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর গ্রামের মৃত তারেক উদ্দিনের ছেলে।

তুহিন আহমেদের পরিবারের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য রাসেল আহমেদ জানান, ৭/৮ বছর আগে তুহিনের বাবা মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর দুই ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পরেন তুহিনের মা। এক পর্যায়ে জীবিকার তাগিদে তিনি সৌদিআরব পাড়ি জমান।

বছর দেড়েক আগে তিনি বড় ছেলে তুহিনকেও সৌদিআরব নিয়ে যান। সেখানে তুহিন একটি খাবারের দোকানে কর্মচারি হিসেবে চাকরি নেন।

ওই দোকানে আরও তিনজন কর্মচারি রয়েছেন। সততা ও কাজের প্রতি আন্তরিকতার কারণে তুহিনকে তার মালিক খুব ভালোবাসতেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে তুহিনের প্রতি আস্তা রাখতেন তিনি। এ কারণে অন্য তিন কর্মচারি তুহিনকে হিংসে করতে শুরু করেন।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চারজন একসাথে খেতে বসেন। এ সময় তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে তার সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবক তুহিন আহমেদের নাকে ও বুকে ঘুষি মারে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর সৌদি পুলিশ ইয়েমেনের যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নোমান আহমেদ বলেন, ‘সকালে আমি নিহতের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেকানে তার ছোটভাই আর চাচারা রয়েছেন।

তারা জানিয়েছেন তুহিনের মরদেহ দেশে আনা হবে কি না সেটা তার মা সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি দেশে আনতে চান তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যেহেতু এখন জেনেছি অবশ্যই খোঁজ নেয়া হবে ।

তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা যদি লাশ দেশে আনতে চায় তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও মাধবপুর থানায় ও তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধে লাগানো বিকৃত ইতিহাস

সৌদি আরবে ইয়েমেনের সহকর্মীর হাতে নবীগঞ্জের যুবক খুন

আপডেট সময় ১২:৫৬:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২

বাংলাদেশি যুবক তুহিন আহমেদ (২১) সৌদি আরবের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করেন।  শুক্রবার (৪মার্চ) তার সহকর্মীর হাতেই সে খুন হন। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের হাতে খুন হন তুহিন।

তুহিন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর গ্রামের মৃত তারেক উদ্দিনের ছেলে।

তুহিন আহমেদের পরিবারের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য রাসেল আহমেদ জানান, ৭/৮ বছর আগে তুহিনের বাবা মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর দুই ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পরেন তুহিনের মা। এক পর্যায়ে জীবিকার তাগিদে তিনি সৌদিআরব পাড়ি জমান।

বছর দেড়েক আগে তিনি বড় ছেলে তুহিনকেও সৌদিআরব নিয়ে যান। সেখানে তুহিন একটি খাবারের দোকানে কর্মচারি হিসেবে চাকরি নেন।

ওই দোকানে আরও তিনজন কর্মচারি রয়েছেন। সততা ও কাজের প্রতি আন্তরিকতার কারণে তুহিনকে তার মালিক খুব ভালোবাসতেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে তুহিনের প্রতি আস্তা রাখতেন তিনি। এ কারণে অন্য তিন কর্মচারি তুহিনকে হিংসে করতে শুরু করেন।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চারজন একসাথে খেতে বসেন। এ সময় তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে তার সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবক তুহিন আহমেদের নাকে ও বুকে ঘুষি মারে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর সৌদি পুলিশ ইয়েমেনের যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নোমান আহমেদ বলেন, ‘সকালে আমি নিহতের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেকানে তার ছোটভাই আর চাচারা রয়েছেন।

তারা জানিয়েছেন তুহিনের মরদেহ দেশে আনা হবে কি না সেটা তার মা সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি দেশে আনতে চান তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যেহেতু এখন জেনেছি অবশ্যই খোঁজ নেয়া হবে ।

তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা যদি লাশ দেশে আনতে চায় তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।’