হবিগঞ্জ ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুড়ারবন্দ তাজদারে মাদীনা সুন্নী যুব সংঘের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত Logo জুলাই শহীদ স্মৃতি গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে চুনারুঘাট ফুটবল একাদশের জার্সি উন্মোচন Logo ‘বিউটিফুল চুনারুঘাট’ এর ব্যতিক্রমি উদ্যোগ সৌন্দর্য বর্ধনে একহাজার বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা Logo মাধবপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার, দুই কারবারি গ্রেফতার Logo চুনারুঘাটে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান Logo আইএফআইসি ব্যাংক এবং শক্তি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে “হার পাওয়ার” শীর্ষক স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মশালা Logo চুনারুঘাটে দিনে-দুপুরে সাদাবালু চুরির সময় জনতার হাতে আটক-১ Logo বাহুবল নবীগঞ্জের পর এবার চুনারুঘাটে বিএনপির ঝাড়ু মিছিল Logo নির্মাণ শেষের আগেই ২ বার ধসে পড়লো মডেল মসজিদের ছাদ Logo চুনারুঘাটে চুরি হওয়া কাঠ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ

সৌদি আরবে ইয়েমেনের সহকর্মীর হাতে নবীগঞ্জের যুবক খুন

বাংলাদেশি যুবক তুহিন আহমেদ (২১) সৌদি আরবের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করেন।  শুক্রবার (৪মার্চ) তার সহকর্মীর হাতেই সে খুন হন। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের হাতে খুন হন তুহিন।

তুহিন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর গ্রামের মৃত তারেক উদ্দিনের ছেলে।

তুহিন আহমেদের পরিবারের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য রাসেল আহমেদ জানান, ৭/৮ বছর আগে তুহিনের বাবা মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর দুই ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পরেন তুহিনের মা। এক পর্যায়ে জীবিকার তাগিদে তিনি সৌদিআরব পাড়ি জমান।

বছর দেড়েক আগে তিনি বড় ছেলে তুহিনকেও সৌদিআরব নিয়ে যান। সেখানে তুহিন একটি খাবারের দোকানে কর্মচারি হিসেবে চাকরি নেন।

ওই দোকানে আরও তিনজন কর্মচারি রয়েছেন। সততা ও কাজের প্রতি আন্তরিকতার কারণে তুহিনকে তার মালিক খুব ভালোবাসতেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে তুহিনের প্রতি আস্তা রাখতেন তিনি। এ কারণে অন্য তিন কর্মচারি তুহিনকে হিংসে করতে শুরু করেন।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চারজন একসাথে খেতে বসেন। এ সময় তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে তার সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবক তুহিন আহমেদের নাকে ও বুকে ঘুষি মারে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর সৌদি পুলিশ ইয়েমেনের যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নোমান আহমেদ বলেন, ‘সকালে আমি নিহতের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেকানে তার ছোটভাই আর চাচারা রয়েছেন।

তারা জানিয়েছেন তুহিনের মরদেহ দেশে আনা হবে কি না সেটা তার মা সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি দেশে আনতে চান তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যেহেতু এখন জেনেছি অবশ্যই খোঁজ নেয়া হবে ।

তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা যদি লাশ দেশে আনতে চায় তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

মুড়ারবন্দ তাজদারে মাদীনা সুন্নী যুব সংঘের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত

সৌদি আরবে ইয়েমেনের সহকর্মীর হাতে নবীগঞ্জের যুবক খুন

আপডেট সময় ১২:৫৬:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২

বাংলাদেশি যুবক তুহিন আহমেদ (২১) সৌদি আরবের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করেন।  শুক্রবার (৪মার্চ) তার সহকর্মীর হাতেই সে খুন হন। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের হাতে খুন হন তুহিন।

তুহিন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর গ্রামের মৃত তারেক উদ্দিনের ছেলে।

তুহিন আহমেদের পরিবারের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য রাসেল আহমেদ জানান, ৭/৮ বছর আগে তুহিনের বাবা মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর দুই ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পরেন তুহিনের মা। এক পর্যায়ে জীবিকার তাগিদে তিনি সৌদিআরব পাড়ি জমান।

বছর দেড়েক আগে তিনি বড় ছেলে তুহিনকেও সৌদিআরব নিয়ে যান। সেখানে তুহিন একটি খাবারের দোকানে কর্মচারি হিসেবে চাকরি নেন।

ওই দোকানে আরও তিনজন কর্মচারি রয়েছেন। সততা ও কাজের প্রতি আন্তরিকতার কারণে তুহিনকে তার মালিক খুব ভালোবাসতেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে তুহিনের প্রতি আস্তা রাখতেন তিনি। এ কারণে অন্য তিন কর্মচারি তুহিনকে হিংসে করতে শুরু করেন।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চারজন একসাথে খেতে বসেন। এ সময় তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে তার সহকর্মী ইয়েমেনের এক যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবক তুহিন আহমেদের নাকে ও বুকে ঘুষি মারে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর সৌদি পুলিশ ইয়েমেনের যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নোমান আহমেদ বলেন, ‘সকালে আমি নিহতের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেকানে তার ছোটভাই আর চাচারা রয়েছেন।

তারা জানিয়েছেন তুহিনের মরদেহ দেশে আনা হবে কি না সেটা তার মা সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি দেশে আনতে চান তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যেহেতু এখন জেনেছি অবশ্যই খোঁজ নেয়া হবে ।

তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা যদি লাশ দেশে আনতে চায় তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।’