হবিগঞ্জ ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সুনামগঞ্জ-১ আসনে কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আসাদ মুরাদ তালুকদার প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় Logo আজমিরীগঞ্জে ইঁদুরের বিষ খেয়ে যুবকের আত্মহত্যা Logo চুনারুঘাটে বিএনপির দুই প্রয়াত নেতা রাজন ও জলিলের করব জিয়ারত করলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম Logo মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিএনপি’র পতাকা তলে থেকেই মানুষের জন্য কাজ করতে চাই-সৈয়দ মোঃ ফয়সল Logo সিলেট রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ কোর্ট ইন্সপেক্টর হলেন হবিগঞ্জের শেখ নাজমুল হক Logo চুনারুঘাটে পিতা নিখোঁজ: জীবিত উদ্ধারের দাবিতে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন Logo সিলেট রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান আশিক Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দামী সেগুন গাছ চুরি Logo চুনারুঘাটে দোকানের কর্মচারীকে মারধর ও লুটপাট: মামলা Logo ইসলামী আন্দোলনের মিরাশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড শাখার সম্মেলন ও ঈদ পুনর্মিলনী

কর্তৃব্যরত ডাক্তারদের চিকিৎসা সেবায় অবহেলা, দুর্নীতিতে চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম

আজমিরীগঞ্জের প্রাণ কেন্দ্রে উপস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। লক্ষাধিক মানুষের সেবার একমাত্র আশ্রয়স্থল আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।

কিছু দিন পূর্বে শিশু সন্তান কে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন হরিধর সরকার। উপজেলা শিবপাশা ইউনিয়ন থেকে সকাল আনুমানিক ৮ ঘঠিকায় সেবা নিতে আসেন তিনি।

বাচ্চাকে ভর্তি দেন জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড বয় দায়িত্ব থাকা জুয়েল রায়।ভর্তির ফরম পূরণ করার পর দাবি করেন দুইশত টাকা। না দিলে ভর্তি ফরম দিতে চাননি জুলেয় রায়। বাধ্য হয়ে দুইশত টাকা দেন দিন মজুর হরিধর সরকার।

গত সপ্তাহে চিকিৎসা নিতে আসেন বাক প্রতিবন্ধী মুস্তাকিম মিয়া। দায়িত্ব থাকা ডাক্তার টেস্ট করানোর জন্য বললেন থাকে। টেস্টের জন্য ল্যাবে গেলে দেখা মিলে দুপুর আনুমানিক বারোটায় তালা ঝুলানো। নির্ধারিত সময়ের আগেই দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান ল্যাব টেকনোলজিস্ট।

এবিষয়ে জরুরি বিভাগে থাকা কর্মকর্তা কে জিজ্ঞেস করলে জানান উনি চলে গেছেন। আরো অনিয়মের তথ্য রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যোগদানের পর থেকেই অবহেলা আর অনিয়মে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

২৬ ফেব্রুয়ারী বুধবার সরজমিনে দেখা যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাক্তার শূন্য। ডাক্তার চেম্বারে ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা দিচ্ছেন একজন নার্স। ডাক্তারের সেবা নিতে রোগীরা ঘুরছে এক ভবন থেকে অন্য ভবনে। অনেকেই হতায় ক্লান্ত হয়ে ফিরছে বাড়ী। একজন কনসালটেন্ট প্রতি রবিবার ও বুধবার আসেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে তিনি সকাল দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে আসলেও সিলেট থেকে এসে হাজিরা দিয়ে বারো ঘঠিকার মধ্যেই চলে যান। রিপোর্ট নিয়ে অনেক রোগী উপজেলা বিভিন্ন স্থান থেকে আসলে দেখতে পারিনি উনাকে।

ডেন্টাল বিভাগের সামনে গিয়ে দেখা মিলে বাহিরে দরজা লাগানো। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ডাক্তার থাকলেও তিনি ভিতরে দরজা বন্ধ করে কাজ করেন। হাসপাতালে প্রতিটি সেক্টরে নানা অনিয়ম দূর্নীতিতে চলছে সেবা প্রদান।

কর্মকর্তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে নারাজ সেবা নিতে আসা রোগীরা। নাম গোপন রেখে একজন সেবা নিতে আসা রোগী জানান তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে উনারা সঠিক চিকিৎসা দেননা। কবে এসব থেকে মুক্তি পাব আল্লাহ ভালো জানেন।

এসব বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ইকবাল হোসেন আমার দেশকে মুঠোফোনে জানান আমি টাকা নেওয়ার বিষয়ে প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যাবস্থা নিব। কেউ যদি দায়িত্ব অবহেলা করেন তাদের বিরুদ্ধে উর্ধতন কর্মকর্তা সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ডেন্টাল বিভাগের ডাক্তার নতুন তাকে সঠিক দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ করা হবে। দরজায় থালা ঝুলানো বিষয়ে তিনি অবগত নন,যদি এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় ল্যাব টেকনোলজিস্টের বিরুদ্ধে যাথাযত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

সুনামগঞ্জ-১ আসনে কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আসাদ মুরাদ তালুকদার প্রার্থী হিসেবে আলোচনায়

কর্তৃব্যরত ডাক্তারদের চিকিৎসা সেবায় অবহেলা, দুর্নীতিতে চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম

আপডেট সময় ০৫:৪৪:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আজমিরীগঞ্জের প্রাণ কেন্দ্রে উপস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। লক্ষাধিক মানুষের সেবার একমাত্র আশ্রয়স্থল আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।

কিছু দিন পূর্বে শিশু সন্তান কে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন হরিধর সরকার। উপজেলা শিবপাশা ইউনিয়ন থেকে সকাল আনুমানিক ৮ ঘঠিকায় সেবা নিতে আসেন তিনি।

বাচ্চাকে ভর্তি দেন জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড বয় দায়িত্ব থাকা জুয়েল রায়।ভর্তির ফরম পূরণ করার পর দাবি করেন দুইশত টাকা। না দিলে ভর্তি ফরম দিতে চাননি জুলেয় রায়। বাধ্য হয়ে দুইশত টাকা দেন দিন মজুর হরিধর সরকার।

গত সপ্তাহে চিকিৎসা নিতে আসেন বাক প্রতিবন্ধী মুস্তাকিম মিয়া। দায়িত্ব থাকা ডাক্তার টেস্ট করানোর জন্য বললেন থাকে। টেস্টের জন্য ল্যাবে গেলে দেখা মিলে দুপুর আনুমানিক বারোটায় তালা ঝুলানো। নির্ধারিত সময়ের আগেই দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান ল্যাব টেকনোলজিস্ট।

এবিষয়ে জরুরি বিভাগে থাকা কর্মকর্তা কে জিজ্ঞেস করলে জানান উনি চলে গেছেন। আরো অনিয়মের তথ্য রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যোগদানের পর থেকেই অবহেলা আর অনিয়মে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

২৬ ফেব্রুয়ারী বুধবার সরজমিনে দেখা যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাক্তার শূন্য। ডাক্তার চেম্বারে ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা দিচ্ছেন একজন নার্স। ডাক্তারের সেবা নিতে রোগীরা ঘুরছে এক ভবন থেকে অন্য ভবনে। অনেকেই হতায় ক্লান্ত হয়ে ফিরছে বাড়ী। একজন কনসালটেন্ট প্রতি রবিবার ও বুধবার আসেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে তিনি সকাল দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে আসলেও সিলেট থেকে এসে হাজিরা দিয়ে বারো ঘঠিকার মধ্যেই চলে যান। রিপোর্ট নিয়ে অনেক রোগী উপজেলা বিভিন্ন স্থান থেকে আসলে দেখতে পারিনি উনাকে।

ডেন্টাল বিভাগের সামনে গিয়ে দেখা মিলে বাহিরে দরজা লাগানো। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ডাক্তার থাকলেও তিনি ভিতরে দরজা বন্ধ করে কাজ করেন। হাসপাতালে প্রতিটি সেক্টরে নানা অনিয়ম দূর্নীতিতে চলছে সেবা প্রদান।

কর্মকর্তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে নারাজ সেবা নিতে আসা রোগীরা। নাম গোপন রেখে একজন সেবা নিতে আসা রোগী জানান তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে উনারা সঠিক চিকিৎসা দেননা। কবে এসব থেকে মুক্তি পাব আল্লাহ ভালো জানেন।

এসব বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ইকবাল হোসেন আমার দেশকে মুঠোফোনে জানান আমি টাকা নেওয়ার বিষয়ে প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যাবস্থা নিব। কেউ যদি দায়িত্ব অবহেলা করেন তাদের বিরুদ্ধে উর্ধতন কর্মকর্তা সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ডেন্টাল বিভাগের ডাক্তার নতুন তাকে সঠিক দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ করা হবে। দরজায় থালা ঝুলানো বিষয়ে তিনি অবগত নন,যদি এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় ল্যাব টেকনোলজিস্টের বিরুদ্ধে যাথাযত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।