হবিগঞ্জের মাধবপুরে বন্যপাখি উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শ্রীমঙ্গল,তেলমাছড়া বিট কার্যালয়,সাতছড়ির রেঞ্জ কার্যালয়, মনতলা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের অংশগ্রহণে ও পাখী প্রেমিক সোসাইটির তথ্য ও সহযোগিতায় বন্যপাখি উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
সুত্রে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার পৌর এলাকা,আদাঐর ইউপির মিরাশানি,সোনাই ইটভাটা এলাকায় যৌথ অভিযানে বিভিন্ন প্রকার পাখি, শিকারের ফাঁদ ও খাঁচা জব্দ হয়। এসময় ২ টি তিলা ঘুঘু, ৪ টি শালিক, ৩টি দেশী টিয়া,১টি চন্দনা টিয়া,১ টি ডাহুক,১টি দেশী ময়নাসহ পাখি শিকারের অসংখ্য ফাঁদ ও খাঁচা জব্দ করা হয়।
উপজেলা বহরা ইউপির মনতলা বাজারের বন্যপ্রাণী বন্যপাখি ব্যবসায়ী মালু(৫০) মিয়ার বিরুদ্ধে বন বিভাগের মামলা দায়ের প্রক্রিয়াও হচ্ছে বলে জানা যায়।
ওই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের বন্যপ্রাণী ব্যবস্হাপনা প্রকৃতি ও সংরক্ষণ বিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খাঁন,সাতছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল-আমিন,তেলমাছড়ার বিট কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ,ই-প্রেস নিউজের নির্বাহী সম্পাদক মাসুদ লস্কর,পাখি প্রেমিক সোসাইটির আহবায়ক মুজাহিদ মসি, যুগ্ম আহবায়ক বিশ্বজিৎ পাল,সাংবাদিক শেখ মোঃ শাহিন উদ্দিন,সাতছড়ির বিট কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ,জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট তাজুল ইসলাম ও বন বিভাগের সদস্য মোঃ ইব্রাহিম ও মোমেন মিয়া প্রমুখ।
এ ব্যাপারে সহকারি বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খাঁন জানান, আমরা মাধবপুর এলাকায় বেশ কয়েকজন পাখি শিকারির সন্ধান পেয়েছি যারা পাখি শিকার ও বন্যপাখির অবৈধ বাণিজ্য করছে।
ডিএফও মহোদয়ের নির্দেশনায় পরিচালিত অভিযানের দোষীদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণি আইনে খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।