হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট- বাজার প্লান্ট গ্রোথ হরমোন দিয়ে বড়ো করা ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। অতিরিক্ত পরিমাণে হরমোন জাতীয় ঔষধের ব্যবহার করার ফলে এসব ড্রাগন ফল আকারে অনেক বড়ো হচ্ছে।
ফলে ক্রেতারা আকৃষ্ট হয়ে ফল ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছেন, পড়ছেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। জানাযায়, ড্রাগন ফলের অনেক ঔষধি গুণ থাকায় দিনদিন এই ফলটির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু কৃষক অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় প্লান্ট গ্রোথ হরমোন (পিজিআর, কাল্টার, জিব্রলিন্স, জিএ থ্রি) অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করে সময়ের আগেই ড্রাগন ফলকে বড়ো করে বাজারে বিক্রি করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আল মামুন হাসান জানান, এ-সব ফল খাওয়ার ফলে মানুষ ক্যান্সার সহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মাধবপুর উপজেলার কৃষকদের ইতিমধ্যেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এসব ঔষধ ব্যবহার না করার জন্য।
স্থানীয় কৃষকেরা এসব ঔষধ ব্যবহার করেন না। বাজারে এখন যে ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে তা বাহির থেকে আসছে। তিনি ক্রেতাদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, যেসকল ড্রাগন ফল অতিরিক্ত হরমোন দেওয়া হয় সেগুলোর কিছু অংশ লাল কিছু অংশ সবুজ থাকে।
ড্রাগন ফল যখন পাকে তখন একসঙ্গে সম্পুর্ন ফল লাল হয়ে যাবে। অর্ধেক সবুজ অর্ধেক লাল এমন হবে না। স্বাভাবিক ভাবে পাকা ফলের স্বাদ মিস্টি হবে আর হরমোন দিয়ে পাকানো ফলের স্বাদ হালকা টক হবে।
এছাড়া স্বাভাবিক ভাবে পাকা ফলের চামড়া পাতলা হবে আর হরমোন দিয়ে বড়ো করা ফলের চামড়া মোটা হবে। তিনি সবাইকে ড্রাগন ফল ক্রয় করার আগে উল্লেখিত বিষয়গুলো দেখে ক্রয় করার পরামর্শ দেন।