বাহুবল উপজেলা সদর এখন যানজটের নগরীতে পরিনত হয়েছে। ফলে জনসাধারণের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। সবচেয়ে বেশি ব্যার্টারী চালিত অটোরিক্সার চালকরা বাহুবল বাজারের উত্তর পাশ ও বাজার থেকে বের হয়ে মৌচাক রোড দিয়ে মহাসড়কে উঠার একমাত্র রাস্তাটি প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি করে রাখে। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে বাজারে আসা পথচারীরা যানজটে পড়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন।চালকদের এমন জঘন্যতম ও অশুভ আচরণ দেখে কেউ কোন প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে দেখানো হয় ক্ষমতার দাপট করা হয়। সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জসীম উদ্দিনের আমলে বাহুবল বাজারের যানজট নিরসনের জন্য তালুকদার টাওয়ারের সামনে সিএনজির জন্য নির্ধারিত জায়গা করে দেয়া হয়। কিন্তু গত বছর খানেক যাবত স্থানীয় অটোরিকশা চালকরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক সিএনজির জন্য নির্ধারিত জায়গাটি দখলে নিয়ে যায়। যার ফলে তালুকদার টাওয়ারের সামনে মৌচাক রোডে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি করে রাখে তারা।
বিষয়টি বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া শারমিন ফাতেমার নজরে আসলে তিনি কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন অভিযানে আসার সাথে সাথেই অটোরিক্সাগুলো বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। প্রশাসন অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পর পরই পুনরায় মৌচাক রোডে অবস্থান নেয় অটোরিকশা চালকরা।
বর্তমানে বাহুবল বাজারের করাঙ্গী নদীর ব্রীজটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য পুরাতন ব্রীজটি ভেঙে ফেলার কারণে বাজার থেকে মৌচাক রোড দিয়েই বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে হয়।কিন্ত মৌচাক রোডে অটোরিকশার যানজটের কারণে উপজেলা সদরে আসা পথচারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এদিকে তালুকদার টাওয়ারের সামনে মৌচাক রোড অবৈধভাবে দখল করে অটোরিকশার স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করছে একটি অসাধু সংঘবদ্ধ চক্র।তারা অটোরিকশার কাছ থেকে প্রতিদিন সিরিয়ালের নামে ও বিভিন্ন কর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। মৌচাক রোড ও বাজারের যানজট নিরসনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া শারমিন ফাতেমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,বাজার এবং রাস্তায় যানজটের বিষয় নিয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে, আমরা একাধিক বার বাজারে ও রাস্তায় অভিযান পরিচালনা করেছি, কিন্তু অটোরিকশা চালকরা অভিযানের পর পরই পুনরায় অবস্থান নেয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।