হবিগঞ্জ ০২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মাধবপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো মিলনের বেঁচে থাকার অবলম্বন Logo চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাচনে ১৭ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo বিদ্যুৎপৃষ্ঠে নিহতের পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার সুমন-এমপি Logo টেকনাফের ব্যাবসায়ী ৫শ’ পিছ ইয়াবাসহ চুনারুঘাটে গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে তীব্র দাবদাহে সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ Logo শেখ হাসিনার আধুনিক চিন্তা ধারায় বদলে গেল কৃষিখাত, ব্যারিস্টার সুমন Logo কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তাদের কাম কি? মানুষের টাকা মেরে দেয়া, ব্যারিস্টার সুমন Logo বাহুবলে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন, জরিমানা ৫০ হাজার টাকা Logo বাহুবলে রাতের আধারে প্রবাসীর ১৮ টি ফসলি গাছ কর্তন, লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি

বিচার চাইলে আল্লাহর কাছে চাই: মামলা করবো না-নিহত প্রীতির বাবা

  • আলোকিত ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৩:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
  • ১৬২ বার পড়া হয়েছে

খিলগাঁওয়ের বান্ধবী সুমাইয়ার বাসায় ছিলেন সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯)। রাতে বাসায় ফিরছিলেন। পথে খবর পান মামা এসেছেন বাসায়। নিজেদের দুই রুমের বাসা, থাকায় সমস্যা মনে করে পুনরায় বান্ধবীর সঙ্গে খিলগাঁওয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন। এসময় রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামিয়া হাসপাতালের সামনে গুলিবিদ্ধ হন প্রীতি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবার প্রীতির মৃত্যুর খবর পান রাত ১২ টার দিকে।

প্রীতির বাবা বলেন, মেয়ের হত্যার বিচার চাই না। মামলা চালানোর মতো অবস্থাও নেই। আমরা নিরীহ মানুষ। বিচার চাইলে আল্লাহর কাছে চাই। তিনিই বিচার করবেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রীতিদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। সেখানে যাতায়াত কম। বাবার চাকরিসূত্রে ঢাকায় থাকে তার পরিবার।

প্রীতির বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, মিরপুর-২ এ একটি কোম্পানির ফ্যাক্টরির প্রডাকশনে চাকরি করি। বেতন বেশি পাই না। অনেক কষ্টে মেয়ে প্রীতি ও ছেলে সোহায়েব জামাল সামি ও স্ত্রীকে নিয়ে পশ্চিম শান্তিবাগের একটি বাসায় ভাড়ায় থাকি।

মেয়ে হত্যার বিচার চান কিনা ও মামলা করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা করবো না। মামলা পরিচালনা করার মতো অবস্থা ও সুযোগ আমার নাই৷ কোনো বিবাদে জড়াতে চাই না। কেউ যদি সহযোগিতা করে সেটা ভিন্ন বিষয়।

তিনি বলেন, প্রীতি বদরুন্নেসা কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে পড়ে। পরিবারের অবস্থা বিবেচনা করে প্রীতি নিজে চাকরির চেষ্টা করছিল৷ ১৫ হাজার টাকায় একটা অফিসে চাকরি নিয়েছিল। সামনের মাসে জয়েন করার কথা ছিল মেয়েটার। কিন্তু সেটা আর হলো না।

তিনি বলেন, তিন বছর আগে বাবাকে হারিয়েছে স্ত্রী হোসনে আরা। রাতে মেয়েকেও হারাল। স্ত্রীকে কোনো কিছু বলে বোঝানো যাচ্ছে না। সন্তানহারা স্ত্রীর মুখের দিকে তাকাতে পারছি না।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

মাধবপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো মিলনের বেঁচে থাকার অবলম্বন

বিচার চাইলে আল্লাহর কাছে চাই: মামলা করবো না-নিহত প্রীতির বাবা

আপডেট সময় ০৩:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২

খিলগাঁওয়ের বান্ধবী সুমাইয়ার বাসায় ছিলেন সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯)। রাতে বাসায় ফিরছিলেন। পথে খবর পান মামা এসেছেন বাসায়। নিজেদের দুই রুমের বাসা, থাকায় সমস্যা মনে করে পুনরায় বান্ধবীর সঙ্গে খিলগাঁওয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন। এসময় রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামিয়া হাসপাতালের সামনে গুলিবিদ্ধ হন প্রীতি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবার প্রীতির মৃত্যুর খবর পান রাত ১২ টার দিকে।

প্রীতির বাবা বলেন, মেয়ের হত্যার বিচার চাই না। মামলা চালানোর মতো অবস্থাও নেই। আমরা নিরীহ মানুষ। বিচার চাইলে আল্লাহর কাছে চাই। তিনিই বিচার করবেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রীতিদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। সেখানে যাতায়াত কম। বাবার চাকরিসূত্রে ঢাকায় থাকে তার পরিবার।

প্রীতির বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, মিরপুর-২ এ একটি কোম্পানির ফ্যাক্টরির প্রডাকশনে চাকরি করি। বেতন বেশি পাই না। অনেক কষ্টে মেয়ে প্রীতি ও ছেলে সোহায়েব জামাল সামি ও স্ত্রীকে নিয়ে পশ্চিম শান্তিবাগের একটি বাসায় ভাড়ায় থাকি।

মেয়ে হত্যার বিচার চান কিনা ও মামলা করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা করবো না। মামলা পরিচালনা করার মতো অবস্থা ও সুযোগ আমার নাই৷ কোনো বিবাদে জড়াতে চাই না। কেউ যদি সহযোগিতা করে সেটা ভিন্ন বিষয়।

তিনি বলেন, প্রীতি বদরুন্নেসা কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে পড়ে। পরিবারের অবস্থা বিবেচনা করে প্রীতি নিজে চাকরির চেষ্টা করছিল৷ ১৫ হাজার টাকায় একটা অফিসে চাকরি নিয়েছিল। সামনের মাসে জয়েন করার কথা ছিল মেয়েটার। কিন্তু সেটা আর হলো না।

তিনি বলেন, তিন বছর আগে বাবাকে হারিয়েছে স্ত্রী হোসনে আরা। রাতে মেয়েকেও হারাল। স্ত্রীকে কোনো কিছু বলে বোঝানো যাচ্ছে না। সন্তানহারা স্ত্রীর মুখের দিকে তাকাতে পারছি না।