হবিগঞ্জ ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দৈনিক আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে হবিগঞ্জে মানববন্ধন Logo হবিগঞ্জের কোর্ট ইন্সপেক্টর শেখ নাজমুল হক সিলেট রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত Logo বিএনপি নেতা সহিদুলের প্রশ্রয়ে পুনর্বাসিত হচ্ছে ‘লীগ-জাপা’ Logo চুনারুঘাটে দাখিল পরীক্ষার এক কেন্দ্রের ২৩ শিক্ষক কে অব্যাহতি Logo ভাষার সর্বজনীনতা- সুলতানা রাজিয়া Logo হবিগঞ্জে খোয়াই এয়ার ট্রাভেলসের হজ্জ প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন  Logo আগামীকাল শায়েস্তাগঞ্জে খোয়াই এয়ার ট্রাভেলসের হজ্জ প্রশিক্ষণ কর্মশালা Logo চুনারুঘাটে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন Logo মাধবপুরে এনজিও নিশান গ্রাহকের ২শ’ কোটি টাকা নিয়ে ৩ পরিচালক উধাও ! Logo চুনারুঘাটে জোরপূর্বক রাস্তা নিমার্ণের অভিযোগে আদালত ১৪৪ ধারা জারি

চুনারুঘাটে শেষ হলো মণিপুরি নববর্ষ উৎসব চৈরাউবা

রাত যত বাড়ছিল, বাড়ছিল মণিপুরিদের বর্ণাঢ্য লোকনৃত্যের পরিবেশনা ‘থাবল চোংবা’য় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে দর্শকও। মণিপুরি অধ্যুষিত গ্রামগুলো থেকে দলবেঁধে আসছিলেন বাসিন্দারা। ছিলেন অন্য সমাজের মানুষও। একটি নির্দিষ্ট সুর ও তালের গানের সঙ্গে মণিপুরি তরুণ-তরুণীরা গোলবৃত্তে হাতে হাত ধরে নাচছিলেন ‘থাবল চোংবা’ নাচ। নববর্ষ উৎসব চৈরাউবার শেষ আয়োজন। আজ (১৯ মার্চ)শনিবার উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের আবাদগাঁও গ্রামে বিশগাঁও মনিপুরী ক্লাব এ উৎসবের আয়োজন করে। স্থানীয় গাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সহ অনেক লোকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই ছিল নানা আয়োজন।মঞ্চে নানা বয়সের মণিপুরী নারীরা উচ্ছ্বাস, চিৎকার, হাসি-হুল্লোড়ের মধ্য দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে আনন্দ ঊপভোগ করেন এর এক ফাঁকে সেরে নেওয়া হলো বন দেবতার পূজাও।

আয়োজকেরা জানান, পৃথিবীর নানা প্রান্তে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে নানা ধরনের বর্ষ গণনার রীতি আছে। মৈতৈ মণিপুরিদেরও ‘মলিয়াফম পালচা কুম’ বা সংক্ষেপে ‘মলিয়াকুম’ নামে পরিচিত একটি বর্ষগণনা রীতি আছে। মণিপুরি ভাষায় ‘কুম’ অর্থ বর্ষ বা সন। এটা প্রচলন করেন মণিপুরের রাজা কাংবার জ্যেষ্ঠ পুত্র ‘কোইকোই’। এই বর্ষ গণনারীতি চান্দ্র পদ্ধতি অনুসরণে। মণিপুরি সমাজেও পয়লা বৈশাখ নববর্ষ হিসেবে প্রচলিত। পাশাপাশি মলিয়াকুমের প্রথম দিনও নববর্ষ হিসেবে উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে নীরবে। মণিপুরি ভাষায় নববর্ষকে বলা হয় ‘অনৌবাকুম’। তবে নববর্ষের উৎসবকে বলা হয় ‘শজিবু চৈরাউবা’ বা শুধুই ‘চৈরাউবা’।

চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, নানা জাতি-ধর্মের মানুষের বাস এই জনপদে। যুগ যুগ ধরে নিজের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি লালন করে সবাই মিলে জীবন যাপন করছে। ধর্ম যার যার হলেও এখানে উৎসব সবার। সবাই মিলে এই বৈচিত্র্যের ভূমির মানুষ উৎসব–পার্বণে দিন যাপন করে। এই সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যই মানুষে মানুষে মেলবন্ধন ঘটিয়ে চলছে। এরপরই শুরু হয় নির্দিষ্ট স্থানে থাবল চোংবা। অনেক রাত পর্যন্ত এই নৃত্যগীত চলে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

দৈনিক আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে হবিগঞ্জে মানববন্ধন

চুনারুঘাটে শেষ হলো মণিপুরি নববর্ষ উৎসব চৈরাউবা

আপডেট সময় ১১:২৭:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২

রাত যত বাড়ছিল, বাড়ছিল মণিপুরিদের বর্ণাঢ্য লোকনৃত্যের পরিবেশনা ‘থাবল চোংবা’য় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে দর্শকও। মণিপুরি অধ্যুষিত গ্রামগুলো থেকে দলবেঁধে আসছিলেন বাসিন্দারা। ছিলেন অন্য সমাজের মানুষও। একটি নির্দিষ্ট সুর ও তালের গানের সঙ্গে মণিপুরি তরুণ-তরুণীরা গোলবৃত্তে হাতে হাত ধরে নাচছিলেন ‘থাবল চোংবা’ নাচ। নববর্ষ উৎসব চৈরাউবার শেষ আয়োজন। আজ (১৯ মার্চ)শনিবার উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের আবাদগাঁও গ্রামে বিশগাঁও মনিপুরী ক্লাব এ উৎসবের আয়োজন করে। স্থানীয় গাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সহ অনেক লোকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই ছিল নানা আয়োজন।মঞ্চে নানা বয়সের মণিপুরী নারীরা উচ্ছ্বাস, চিৎকার, হাসি-হুল্লোড়ের মধ্য দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে আনন্দ ঊপভোগ করেন এর এক ফাঁকে সেরে নেওয়া হলো বন দেবতার পূজাও।

আয়োজকেরা জানান, পৃথিবীর নানা প্রান্তে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে নানা ধরনের বর্ষ গণনার রীতি আছে। মৈতৈ মণিপুরিদেরও ‘মলিয়াফম পালচা কুম’ বা সংক্ষেপে ‘মলিয়াকুম’ নামে পরিচিত একটি বর্ষগণনা রীতি আছে। মণিপুরি ভাষায় ‘কুম’ অর্থ বর্ষ বা সন। এটা প্রচলন করেন মণিপুরের রাজা কাংবার জ্যেষ্ঠ পুত্র ‘কোইকোই’। এই বর্ষ গণনারীতি চান্দ্র পদ্ধতি অনুসরণে। মণিপুরি সমাজেও পয়লা বৈশাখ নববর্ষ হিসেবে প্রচলিত। পাশাপাশি মলিয়াকুমের প্রথম দিনও নববর্ষ হিসেবে উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে নীরবে। মণিপুরি ভাষায় নববর্ষকে বলা হয় ‘অনৌবাকুম’। তবে নববর্ষের উৎসবকে বলা হয় ‘শজিবু চৈরাউবা’ বা শুধুই ‘চৈরাউবা’।

চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, নানা জাতি-ধর্মের মানুষের বাস এই জনপদে। যুগ যুগ ধরে নিজের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি লালন করে সবাই মিলে জীবন যাপন করছে। ধর্ম যার যার হলেও এখানে উৎসব সবার। সবাই মিলে এই বৈচিত্র্যের ভূমির মানুষ উৎসব–পার্বণে দিন যাপন করে। এই সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যই মানুষে মানুষে মেলবন্ধন ঘটিয়ে চলছে। এরপরই শুরু হয় নির্দিষ্ট স্থানে থাবল চোংবা। অনেক রাত পর্যন্ত এই নৃত্যগীত চলে।