হবিগঞ্জ ১১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকের মৃত্যু Logo অসুস্থ সাবেক কৃতি ফুটবলার আকছিরের পাশে চুনারুঘাট উপজেলা ফুটবল একাডেমি  Logo আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন Logo শহীদ মিনারে আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের শ্রদ্ধা নিবেদন Logo সীমান্তের ত্রাস গণধর্ষণ মামলার আসামী আবুল গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে  স্ত্রীর যৌতুক মামলায় বিয়ে পাগল স্বামী গ্রেপ্তার Logo নবাগত ইউএনওর সাথে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের পরিচিত সভা ও মতবিনিময় Logo মাধবপুরে বিএনপির কর্মী সভা Logo ইউএনও’র পরিচিতি সভা বর্জন করলেন চুনারুঘাটে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ Logo শায়েস্তাগঞ্জে অর্থনৈতিক শুমারির কাজে জনপ্রতিনিধি ও আ’লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মী!

চুনারুঘাটে শেষ হলো মণিপুরি নববর্ষ উৎসব চৈরাউবা

রাত যত বাড়ছিল, বাড়ছিল মণিপুরিদের বর্ণাঢ্য লোকনৃত্যের পরিবেশনা ‘থাবল চোংবা’য় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে দর্শকও। মণিপুরি অধ্যুষিত গ্রামগুলো থেকে দলবেঁধে আসছিলেন বাসিন্দারা। ছিলেন অন্য সমাজের মানুষও। একটি নির্দিষ্ট সুর ও তালের গানের সঙ্গে মণিপুরি তরুণ-তরুণীরা গোলবৃত্তে হাতে হাত ধরে নাচছিলেন ‘থাবল চোংবা’ নাচ। নববর্ষ উৎসব চৈরাউবার শেষ আয়োজন। আজ (১৯ মার্চ)শনিবার উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের আবাদগাঁও গ্রামে বিশগাঁও মনিপুরী ক্লাব এ উৎসবের আয়োজন করে। স্থানীয় গাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সহ অনেক লোকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই ছিল নানা আয়োজন।মঞ্চে নানা বয়সের মণিপুরী নারীরা উচ্ছ্বাস, চিৎকার, হাসি-হুল্লোড়ের মধ্য দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে আনন্দ ঊপভোগ করেন এর এক ফাঁকে সেরে নেওয়া হলো বন দেবতার পূজাও।

আয়োজকেরা জানান, পৃথিবীর নানা প্রান্তে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে নানা ধরনের বর্ষ গণনার রীতি আছে। মৈতৈ মণিপুরিদেরও ‘মলিয়াফম পালচা কুম’ বা সংক্ষেপে ‘মলিয়াকুম’ নামে পরিচিত একটি বর্ষগণনা রীতি আছে। মণিপুরি ভাষায় ‘কুম’ অর্থ বর্ষ বা সন। এটা প্রচলন করেন মণিপুরের রাজা কাংবার জ্যেষ্ঠ পুত্র ‘কোইকোই’। এই বর্ষ গণনারীতি চান্দ্র পদ্ধতি অনুসরণে। মণিপুরি সমাজেও পয়লা বৈশাখ নববর্ষ হিসেবে প্রচলিত। পাশাপাশি মলিয়াকুমের প্রথম দিনও নববর্ষ হিসেবে উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে নীরবে। মণিপুরি ভাষায় নববর্ষকে বলা হয় ‘অনৌবাকুম’। তবে নববর্ষের উৎসবকে বলা হয় ‘শজিবু চৈরাউবা’ বা শুধুই ‘চৈরাউবা’।

চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, নানা জাতি-ধর্মের মানুষের বাস এই জনপদে। যুগ যুগ ধরে নিজের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি লালন করে সবাই মিলে জীবন যাপন করছে। ধর্ম যার যার হলেও এখানে উৎসব সবার। সবাই মিলে এই বৈচিত্র্যের ভূমির মানুষ উৎসব–পার্বণে দিন যাপন করে। এই সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যই মানুষে মানুষে মেলবন্ধন ঘটিয়ে চলছে। এরপরই শুরু হয় নির্দিষ্ট স্থানে থাবল চোংবা। অনেক রাত পর্যন্ত এই নৃত্যগীত চলে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকের মৃত্যু

চুনারুঘাটে শেষ হলো মণিপুরি নববর্ষ উৎসব চৈরাউবা

আপডেট সময় ১১:২৭:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২

রাত যত বাড়ছিল, বাড়ছিল মণিপুরিদের বর্ণাঢ্য লোকনৃত্যের পরিবেশনা ‘থাবল চোংবা’য় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে দর্শকও। মণিপুরি অধ্যুষিত গ্রামগুলো থেকে দলবেঁধে আসছিলেন বাসিন্দারা। ছিলেন অন্য সমাজের মানুষও। একটি নির্দিষ্ট সুর ও তালের গানের সঙ্গে মণিপুরি তরুণ-তরুণীরা গোলবৃত্তে হাতে হাত ধরে নাচছিলেন ‘থাবল চোংবা’ নাচ। নববর্ষ উৎসব চৈরাউবার শেষ আয়োজন। আজ (১৯ মার্চ)শনিবার উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের আবাদগাঁও গ্রামে বিশগাঁও মনিপুরী ক্লাব এ উৎসবের আয়োজন করে। স্থানীয় গাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সহ অনেক লোকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই ছিল নানা আয়োজন।মঞ্চে নানা বয়সের মণিপুরী নারীরা উচ্ছ্বাস, চিৎকার, হাসি-হুল্লোড়ের মধ্য দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে আনন্দ ঊপভোগ করেন এর এক ফাঁকে সেরে নেওয়া হলো বন দেবতার পূজাও।

আয়োজকেরা জানান, পৃথিবীর নানা প্রান্তে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে নানা ধরনের বর্ষ গণনার রীতি আছে। মৈতৈ মণিপুরিদেরও ‘মলিয়াফম পালচা কুম’ বা সংক্ষেপে ‘মলিয়াকুম’ নামে পরিচিত একটি বর্ষগণনা রীতি আছে। মণিপুরি ভাষায় ‘কুম’ অর্থ বর্ষ বা সন। এটা প্রচলন করেন মণিপুরের রাজা কাংবার জ্যেষ্ঠ পুত্র ‘কোইকোই’। এই বর্ষ গণনারীতি চান্দ্র পদ্ধতি অনুসরণে। মণিপুরি সমাজেও পয়লা বৈশাখ নববর্ষ হিসেবে প্রচলিত। পাশাপাশি মলিয়াকুমের প্রথম দিনও নববর্ষ হিসেবে উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে নীরবে। মণিপুরি ভাষায় নববর্ষকে বলা হয় ‘অনৌবাকুম’। তবে নববর্ষের উৎসবকে বলা হয় ‘শজিবু চৈরাউবা’ বা শুধুই ‘চৈরাউবা’।

চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, নানা জাতি-ধর্মের মানুষের বাস এই জনপদে। যুগ যুগ ধরে নিজের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি লালন করে সবাই মিলে জীবন যাপন করছে। ধর্ম যার যার হলেও এখানে উৎসব সবার। সবাই মিলে এই বৈচিত্র্যের ভূমির মানুষ উৎসব–পার্বণে দিন যাপন করে। এই সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যই মানুষে মানুষে মেলবন্ধন ঘটিয়ে চলছে। এরপরই শুরু হয় নির্দিষ্ট স্থানে থাবল চোংবা। অনেক রাত পর্যন্ত এই নৃত্যগীত চলে।