বরিশালকে ১ রানে হারিয়ে তৃতীয়বারের মত বিপিএল জয়ী হয়েছে কুমিল্লা.
ক্রিড়া প্রতিবেদক: এভাবেও ম্যাচ হারা যায়! ৪৩ বলে প্রয়োজন মাত্র ৪৫ রান, হাতে ৮ উইকেট। ক্রিজে সেট দুই ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল আর নুরুল হাসান সোহান। অথচ এই ম্যাচও কি-না হেরে বসলো তারকা দিয়ে ঠাসা ফরচুন বরিশাল। ম্যাচের সঙ্গে শিরোপাও হারালো সাকিব আল হাসানের দল। ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে মাত্র ১৫১ রানের পুঁজি। এরপর আবার ব্যাট হাতে সৈকত আলির তাণ্ডব। তবুও বরিশালকে ১৫০ রানে থামিয়ে ১ রানে জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা।
এ নিয়ে বিপিএলে ৮ মৌসুমে ৩ বার ফাইনাল খেলে তিনবারই শিরোপা জিতল কুমিল্লা। ব্যাট হাতে ২৩ বলে ৫৭ রানের ইনিংসের পর বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন কুমিল্লার সুনীল নারাইন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা কুমিল্লাকে দারুণ শুরু এনে দেন ওপেনার সুনীল নারাইন। লিটন দাসকে একপাশে রেখে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান তিনি। চার-ছক্কার ফুলঝুরি সাজানো নারাইনকে থামাতে মরিয়া সাকিব আল হাসান পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ব্যবহার করেন ৫ জন বোলারকে। সে টোপ নারাইন গেলার আগেই সাজঘরে লিটন। সুবিধা করতে পারেননি, ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ফেরেন সাকিবের শিকার হয়ে। ৬ বলে ৪ রান করেন তিনি।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে মেহেদী হাসান রানাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শান্তর হাতে ধরা পড়েন নারাইন। তার আগে অবশ্য গড়ে ফেলেছেন আরো এক রেকর্ড। আগের দিন ১৩ বলে ফিফটির পর আজ তার ২১ বলে করা ফিফটি বিপিএলে ইতিহাসে ফাইনালে সবচেয়ে দ্রুতগতির। থামেন ৫৭ রানে। ২৩ বলের ইনিংটি সমান ৫টি চার-ছয়ের মারে।
নারাইনের আউটের পর আবার মুজিবকে বোলিংয়ে আনেন সাকিব। অধিনায়কের আস্থার মান রাখেন এই আফগান স্পিনার। পরে ৩ ওভারে স্পেলে ফেরান ফাফ ডু প্লেসি (৪) আর আরিফুল হককে (০)। তার আগে ব্রাভোর দুর্দান্ত এক থ্রোতে রান আউটে কাটা পড়েন মাহমুদুল হাসান জয়। ৭ বল খেলে ৮ রান করেন তিনি। বল হাতেও সাফল্য পেয়েছেন ব্রাভো। ইমরুল কায়েসকে আউট করেন ব্যক্তিগত ১২ রানে। উড়তে থাকা কুমিল্লা হঠাৎই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
৯৫ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন মঈন আলি আর আবু হায়দার রনি। তাদের সপ্তম উইকেটে ৫২ বলে ৫৪ রানের পার্টনারশিপে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় কুমিল্লা। যদিও রনির ব্যাটিং একেবারেই টি-টোয়েন্টিসুলভ ছিল না। ২৭ বলে ১৯ রান করেন তিনি। মঈনের ৩২ বলে ৩৮ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের সংগ্রহ পেয়েছে কুমিল্লা। বরিশালের মুজিব ও শফিকুল ২টি করে উইকেট নেন মুজিব।
সূত্রঃ ঢাকা পোস্ট।