হবিগঞ্জের লাখাইয়ে বিয়ের দাবিতে প্রবাসী প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক তরুণী। তিনি ৩ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
এদিকে প্রেমিকার আসার আগেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেমিক যুবক। ইতোমধ্যে তিনি দেশ ছেড়ে গেছেন বলেও দাবি করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মোড়াকরি গ্রামে।
প্রেমিক রাজিব বণিক (৩০) ওই গ্রামের রবীন্দ্র বণিকের ছেলে। তিনি সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী।
শুক্রবার (৭ মার্চ) স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় ওই তরুণীকে রাজিবের পিশা (ফুফা) সত্য বণিকের বাড়িতে নিয়ে রাখা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পপি বণিক গণমাধ্যমকে বলেন, আট বছর আগে আমার পরিবার অন্য এক জায়গায় বিয়ে দেয়। সেখানে আমি শাশুড়ির মোবাইল ফোন ব্যবহার করতাম। হঠাৎ একদিন সাউথ আফ্রিকা থেকে ভুলে ফোন দেয় রাজিব বণিক। তখন রং নম্বর বলে ফোন কেটে দেই।
এরপর থেকে প্রায় রাজিব ফোন দিতেন। বিরক্ত করতেন। আমাকে সাউথ আফ্রিকা নেওয়ার প্রলোভন দেখাতেন। এক পর্যায়ে আমাকে তিনি পাঠিয়ে ফেলেন। তখন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তিনি আমাকে স্বামীকে ডিভোর্স দিতে বলেন।
তার কথার ওপর ভিত্তি করে আমি ডিভোর্স দিই। কিন্তু এক মাসের কথা বলে আজ ৮ বছর। এখান থেকে যেতে হলে আমার মরদেহ যাবে। না হয় রাজিব বণিককে আমাকে নিয়ে সংসার করতে হবে।
মোড়াকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম মোল্লা গণমাধ্যমকে জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের পরিচয় ও প্রেম। কয়েক বছর ধরে প্রেম চলছে। প্রায় ৬ মাস পূর্বে সে আরও একবার এভাবে চলে এসেছিল। তখন তাকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়। এবার আর বুঝিয়ে রাজি করা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ছেলের পরিবারের মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। মোবাইল ফোন বন্ধ। এখন আসলে সমাধান করা কঠিন। ছেলেকে পাওয়া গেলে হয়তো সমাধান দেওয়া যেতো।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বন্দে আলী গণমাধ্যমকে বলেন, আমি মেয়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। মেয়ের বাবাকে বলেছি তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
কিন্তু তিনি বলছেন, মেয়ে তার কোনো কথা শুনে না। তিনি কান্নাকাটি করছেন। প্রেমিকের জন্য ইতোমধ্যে মেয়ে কয়েকবার বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন। ছেলের পরিবার দাবি করছে তিনি বিদেশ চলে গেছেন।