হবিগঞ্জ ০৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে বিএনপির দুই প্রয়াত নেতা রাজন ও জলিলের করব জিয়ারত করলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম Logo মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিএনপি’র পতাকা তলে থেকেই মানুষের জন্য কাজ করতে চাই-সৈয়দ মোঃ ফয়সল Logo সিলেট রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ কোর্ট ইন্সপেক্টর হলেন হবিগঞ্জের শেখ নাজমুল হক Logo চুনারুঘাটে পিতা নিখোঁজ: জীবিত উদ্ধারের দাবিতে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন Logo সিলেট রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান আশিক Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দামী সেগুন গাছ চুরি Logo চুনারুঘাটে দোকানের কর্মচারীকে মারধর ও লুটপাট: মামলা Logo ইসলামী আন্দোলনের মিরাশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড শাখার সম্মেলন ও ঈদ পুনর্মিলনী Logo যুবলীগ নেতা ভূমিখেকো নাসিরের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ Logo চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্র জমিয়তের কর্মী সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন

চুনারুঘাটে রবি ফসল বারি সরিষার হলুদ বিপ্লব

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে এবার বারি সরিষার উন্নত ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।

এ বছর চুনারুঘাটে বারি সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫১০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৫২৫ হেক্টর। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে ১৫ হেক্টর জমিতে বেশী চাষাবাদ হয়েছে। চুনারুঘাটে গ্রাম পল্লীর দিকে নজর পড়লেই দেখা যায় হলুদের সমারোহ। ছবি প্রেমিরা বিকেল বেলায় ছবি তুলতে যান পার্শবর্তী দৃষ্টি নন্দন হলুদ সমারোহে। মনে হয় যেন এটা একটা হলুদ বিপ্লবের মৌসুম।

সয়াবিন নামের ক্ষতিকারক তেল মানুষের কিডনি,হার্ট, কলোস্টোল, গ্যাস্টোলিভার কে মারাত্মক ঝুকির দিকে ধাবিয়ে দিচ্ছে। ফলে মানুষ উল্লেখিত রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আগের দিনের মানুষ সরিষার তেল ব্যবহার করতো বলেই রোগ বালাই কম ছিল বলে অনেকের ধারনা। গ্রাম এলাকার এক গৃহিণী তাসনিম আজাদ বলেন আমি সরিষার তেল ব্যবহার করি।

সরিষার তেল সয়াবিন থেকে কম লাগে এবং রোগ বালাই ও কম হয়। এ বছর চুনারুঘাটে সরিষার উন্নত ফলনে মানুষের ভোজ্যতেলের চাহিহা অনেকটা লাঘব হবে বলে বিজ্ঞ জনের ধারনা। এ বছর রবি মৌসুমে বৃষ্টি না হলে ও গতকাল এ রিপোর্ট লিখার সময় হঠাৎ করে বৃষ্টি নামে। যা এই ফলনের জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল। চুনারুঘাট কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহিদুল ইসলাম জানান রবি মৌসুমের সব চেয়ে কম খরচের ফসল হলো বারি সরিষা। রোগ বালাই ও কম অন্য ফসলের তুলনায়। যাব পোকার কিছুটা আক্রমণ থাকলে ও ইমিটাস কীটনাশক সেবনের মাধ্যমে তা নিধন করা হয়েছে।

মাহিদুল ইসলাম জানান গত বছরের ন্যায় একর প্রতি ১৪.৬৮ মন উৎপাদন হলে এ বছর মোট ৭৬০ টন সরিষা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। ফসল ঘরে তুলার বাকী সময়টুকু প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার কথা জানান কৃষক জাবেদ মিয়া।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাটে বিএনপির দুই প্রয়াত নেতা রাজন ও জলিলের করব জিয়ারত করলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম

চুনারুঘাটে রবি ফসল বারি সরিষার হলুদ বিপ্লব

আপডেট সময় ০৯:২২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে এবার বারি সরিষার উন্নত ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।

এ বছর চুনারুঘাটে বারি সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫১০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৫২৫ হেক্টর। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে ১৫ হেক্টর জমিতে বেশী চাষাবাদ হয়েছে। চুনারুঘাটে গ্রাম পল্লীর দিকে নজর পড়লেই দেখা যায় হলুদের সমারোহ। ছবি প্রেমিরা বিকেল বেলায় ছবি তুলতে যান পার্শবর্তী দৃষ্টি নন্দন হলুদ সমারোহে। মনে হয় যেন এটা একটা হলুদ বিপ্লবের মৌসুম।

সয়াবিন নামের ক্ষতিকারক তেল মানুষের কিডনি,হার্ট, কলোস্টোল, গ্যাস্টোলিভার কে মারাত্মক ঝুকির দিকে ধাবিয়ে দিচ্ছে। ফলে মানুষ উল্লেখিত রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আগের দিনের মানুষ সরিষার তেল ব্যবহার করতো বলেই রোগ বালাই কম ছিল বলে অনেকের ধারনা। গ্রাম এলাকার এক গৃহিণী তাসনিম আজাদ বলেন আমি সরিষার তেল ব্যবহার করি।

সরিষার তেল সয়াবিন থেকে কম লাগে এবং রোগ বালাই ও কম হয়। এ বছর চুনারুঘাটে সরিষার উন্নত ফলনে মানুষের ভোজ্যতেলের চাহিহা অনেকটা লাঘব হবে বলে বিজ্ঞ জনের ধারনা। এ বছর রবি মৌসুমে বৃষ্টি না হলে ও গতকাল এ রিপোর্ট লিখার সময় হঠাৎ করে বৃষ্টি নামে। যা এই ফলনের জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল। চুনারুঘাট কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহিদুল ইসলাম জানান রবি মৌসুমের সব চেয়ে কম খরচের ফসল হলো বারি সরিষা। রোগ বালাই ও কম অন্য ফসলের তুলনায়। যাব পোকার কিছুটা আক্রমণ থাকলে ও ইমিটাস কীটনাশক সেবনের মাধ্যমে তা নিধন করা হয়েছে।

মাহিদুল ইসলাম জানান গত বছরের ন্যায় একর প্রতি ১৪.৬৮ মন উৎপাদন হলে এ বছর মোট ৭৬০ টন সরিষা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। ফসল ঘরে তুলার বাকী সময়টুকু প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার কথা জানান কৃষক জাবেদ মিয়া।