হবিগঞ্জ ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে দিনে-দুপুরে সাদাবালু চুরির সময় জনতার হাতে আটক-১ Logo বাহুবল নবীগঞ্জের পর এবার চুনারুঘাটে বিএনপির ঝাড়ু মিছিল Logo নির্মাণ শেষের আগেই ২ বার ধসে পড়লো মডেল মসজিদের ছাদ Logo চুনারুঘাটে চুরি হওয়া কাঠ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ Logo জেলার শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার এসআই রিপটন Logo জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নুর আলম Logo এডভোকেট নজরুল ইসলাম চুনারুঘাট উপজেলার শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত Logo চুনারুঘাটে জমি-জমা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১: গ্রেপ্তার ২ Logo চুনারুঘাটে সেপ্টেম্বরে ১ লাখ শিশু-কিশোরকে টাইফয়েড ভ্যাকসিন প্রদানের সিদ্ধান্ত Logo সাংবাদিক তুহিনকে হত্যার প্রতিবাদে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

সিজারের সময় পেটে গজ রেখেই সেলাই করেন হবিগঞ্জের এক ডাক্তার , পরে ভারতের হাসপাতালে গিয়ে অপসারণ

সিজারের সময় পেটে গজ রেখেই সেলাই, ভারতের হাসপাতালে অপসারণ । সূর্যমূখী হাসপাতাল হবিগঞ্জ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারের সময় পেটে গজ রেখেই অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে।

গত শনিবার (১২ আগস্ট) ভারতের বেঙ্গালুরুতে একটি হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে স্মৃতি সূত্রধর নামে সেই নারীর পেট থেকে দুটি গজ বের করা হয়।

স্মৃতি সূত্রধর হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের ওয়ার্কশপ শ্রমিক স্বপন সূত্রধরের স্ত্রী। ফেসবুকে স্মৃতি সূত্রধরের স্বজনরা ভারতে অপারেশন করে বের করা গজের ছবি দিয়ে এ অভিযোগ করেন।

স্মৃতি সূত্রধরের স্বজনদের অভিযোগ, ৮ মাস আগে হবিগঞ্জ শহরের সূর্যমূখী জেনারেল হাসপাতালের ডা. আরশাদ আলী নামে একজন চিকিৎসক স্মৃতি সূত্রধরের সিজার করেন। এরপর থেকে তিনি পেটে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন। পরে আবারও সেই হাসপাতালে গেলে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানানো হয় তার পেটে টিউমার হয়েছে। তাই তাকে অপারেশন করতে হবে।

কিন্তু তাদের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে সিলেটে আবারও আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। সেই রিপোর্টে তার পেটে বাড়তি কিছু থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে।

পরে গত রোববার ভারতের বেঙ্গালুরুতে মজুমদার শাহ হাসপাতালে অপারেশন করে দুটি গজ বের করা হয়। স্মৃতি সূত্রধরের দেবর নয়ন সূত্রধর বলেন, ভারতে চিকিৎসায় সর্বমোট ৫ লাখ ৬৬ হাজার রুপি খরচ হয়েছে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। আমার ভাই একজন দিনমজুর ওয়ার্কশপ শ্রমিক। এখন ভিটেমাটি বিক্রি করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. আরশাদ আলী বলেন, তৃতীয় সিজার হওয়ার কারণে স্মৃতি সূত্রধরের অপারেশনটি জটিল ছিল। সিজারের পর তার সমস্যার বিষয়টি জানার পর আমরা তার চিকিৎসা করতে চেয়েছি।

কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করেননি। বিষয়টি জানতে সূর্যমূখী জেনারেল হাসপাতালের রিসেপশনে ফোন করা হয়। রিসিপসনিস্ট হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। তার কাছে কর্তৃপক্ষের ফোন নাম্বার চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ফোন রেখে দেন।

হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল হক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাটে দিনে-দুপুরে সাদাবালু চুরির সময় জনতার হাতে আটক-১

সিজারের সময় পেটে গজ রেখেই সেলাই করেন হবিগঞ্জের এক ডাক্তার , পরে ভারতের হাসপাতালে গিয়ে অপসারণ

আপডেট সময় ০২:৫৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩

সিজারের সময় পেটে গজ রেখেই সেলাই, ভারতের হাসপাতালে অপসারণ । সূর্যমূখী হাসপাতাল হবিগঞ্জ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারের সময় পেটে গজ রেখেই অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে।

গত শনিবার (১২ আগস্ট) ভারতের বেঙ্গালুরুতে একটি হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে স্মৃতি সূত্রধর নামে সেই নারীর পেট থেকে দুটি গজ বের করা হয়।

স্মৃতি সূত্রধর হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের ওয়ার্কশপ শ্রমিক স্বপন সূত্রধরের স্ত্রী। ফেসবুকে স্মৃতি সূত্রধরের স্বজনরা ভারতে অপারেশন করে বের করা গজের ছবি দিয়ে এ অভিযোগ করেন।

স্মৃতি সূত্রধরের স্বজনদের অভিযোগ, ৮ মাস আগে হবিগঞ্জ শহরের সূর্যমূখী জেনারেল হাসপাতালের ডা. আরশাদ আলী নামে একজন চিকিৎসক স্মৃতি সূত্রধরের সিজার করেন। এরপর থেকে তিনি পেটে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন। পরে আবারও সেই হাসপাতালে গেলে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানানো হয় তার পেটে টিউমার হয়েছে। তাই তাকে অপারেশন করতে হবে।

কিন্তু তাদের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে সিলেটে আবারও আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। সেই রিপোর্টে তার পেটে বাড়তি কিছু থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে।

পরে গত রোববার ভারতের বেঙ্গালুরুতে মজুমদার শাহ হাসপাতালে অপারেশন করে দুটি গজ বের করা হয়। স্মৃতি সূত্রধরের দেবর নয়ন সূত্রধর বলেন, ভারতে চিকিৎসায় সর্বমোট ৫ লাখ ৬৬ হাজার রুপি খরচ হয়েছে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। আমার ভাই একজন দিনমজুর ওয়ার্কশপ শ্রমিক। এখন ভিটেমাটি বিক্রি করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. আরশাদ আলী বলেন, তৃতীয় সিজার হওয়ার কারণে স্মৃতি সূত্রধরের অপারেশনটি জটিল ছিল। সিজারের পর তার সমস্যার বিষয়টি জানার পর আমরা তার চিকিৎসা করতে চেয়েছি।

কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করেননি। বিষয়টি জানতে সূর্যমূখী জেনারেল হাসপাতালের রিসেপশনে ফোন করা হয়। রিসিপসনিস্ট হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। তার কাছে কর্তৃপক্ষের ফোন নাম্বার চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ফোন রেখে দেন।

হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল হক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।