হবিগঞ্জ ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে সাংবাদিক নোমান কে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি Logo চুনারুঘাটে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি ও হত্যা মামলার আসামি আব্দুল হক কুটি র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার Logo ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার সময়ে প্রতিটি খুন-গুমের বিচার বাংলার মাটিতে হবে-মামুনুল হক Logo দেশকে অস্থির করার জন্য স্বৈরাচারের দোসরা নানামুখী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, সৈয়দ মোঃ শাহজাহান Logo চুনারুঘাটে টিসিবির পন্য বিক্রি না করে মজুদ: ২ ডিলারের মালিক আটক Logo মাধবপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo চুনারুঘাটে পৃথক স্থান থেকে নারী সহ ৩ মরদেহ উদ্ধার Logo ফ্যাসিবাদ আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছে! মোহাম্মদ সুমন Logo চুনারুঘাটে বেপরোয়া মোটরসাইকেলের চালকের ধাক্কায় অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট গুরুত : আহত ঢাকায় সিএমএইচে ভর্তি Logo চুনারুঘাটে ৭ বছর পর প্রশসানের সহযোগিতায় সরকারি রাস্তা দখলমুক্ত

পথের কাঁটা সরাতে পরকীয়া প্রেমিকার স্বামীকে খুন করে প্রেমিক রবিউল

  • পাবনা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ১২:২৯:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

পথের কাঁটা সরাতে পরকীয়া প্রেমিকার স্বামীকে খুন।পাবনার চাটমোহর উপজেলার চাঞ্চল্যকর মুরগি ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনার মূল আসামি রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার ও হত্যায় ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতার রবিউল ইসলামের সঙ্গে ব্যবসায়ী ইসমাইলের স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে ওই ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়। আজ সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে পাবনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতার রবিউল ইসলাম পাবনার চাটমোহর উপজেলার ধুলাউড়ি কুঠিপাড়া গ্রামের আরদোস আলী মৃধার ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনশী বলেন, চাটমোহর উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে ধুলাউড়ি কুঠিপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের।

নিজের পথের কাঁটা সরাতে ইসমাইলকে সোনার মূর্তি ব্যবসার মিথ্যা প্রলোভন দেন রবিউল। এরই এক পর্যায়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে সোনার মূর্তি দেওয়ার কথা বলে ইসমাইলকে ডেকে নিয়ে যান রবিউল।

সেখানে ভিকটিম ইসমাইলকে সোনার মূর্তি দেখানোর কথা বলে রবিউল রাত অনুমান সাড়ে আটটায় তার বাইসাইকেলের পেছনে উঠিয়ে নিয়ে যান। তাকে ঘটনাস্থল চাটমোহর উপজেলার ধুলাউড়ি গ্রামের নলগাড়ী বিলে একটি ভুট্টাক্ষেতের পাশে নিয়ে যান।

ভুট্টাক্ষেতের ফাঁকা জায়গায় বসে কথা বলার একপর্যায়ে আসামি রবিউল ইসলাম ভিকটিমের পেছনে গিয়ে কাছে থাকা গামছা দিয়ে তার গলা পেঁচিয়ে ধরেন। এতে তিনি শ্বাসরোধ হয়ে মারা যান। হত্যার পর মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে ইসমাইল মরদেহ ভুট্টাক্ষেতের মাঝখানে রেখে দেন।

এর পাঁচদিন পর ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ভুট্টাক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

চুনারুঘাটে সাংবাদিক নোমান কে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

পথের কাঁটা সরাতে পরকীয়া প্রেমিকার স্বামীকে খুন করে প্রেমিক রবিউল

আপডেট সময় ১২:২৯:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩

পথের কাঁটা সরাতে পরকীয়া প্রেমিকার স্বামীকে খুন।পাবনার চাটমোহর উপজেলার চাঞ্চল্যকর মুরগি ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনার মূল আসামি রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার ও হত্যায় ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতার রবিউল ইসলামের সঙ্গে ব্যবসায়ী ইসমাইলের স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে ওই ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়। আজ সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে পাবনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতার রবিউল ইসলাম পাবনার চাটমোহর উপজেলার ধুলাউড়ি কুঠিপাড়া গ্রামের আরদোস আলী মৃধার ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনশী বলেন, চাটমোহর উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে ধুলাউড়ি কুঠিপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের।

নিজের পথের কাঁটা সরাতে ইসমাইলকে সোনার মূর্তি ব্যবসার মিথ্যা প্রলোভন দেন রবিউল। এরই এক পর্যায়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে সোনার মূর্তি দেওয়ার কথা বলে ইসমাইলকে ডেকে নিয়ে যান রবিউল।

সেখানে ভিকটিম ইসমাইলকে সোনার মূর্তি দেখানোর কথা বলে রবিউল রাত অনুমান সাড়ে আটটায় তার বাইসাইকেলের পেছনে উঠিয়ে নিয়ে যান। তাকে ঘটনাস্থল চাটমোহর উপজেলার ধুলাউড়ি গ্রামের নলগাড়ী বিলে একটি ভুট্টাক্ষেতের পাশে নিয়ে যান।

ভুট্টাক্ষেতের ফাঁকা জায়গায় বসে কথা বলার একপর্যায়ে আসামি রবিউল ইসলাম ভিকটিমের পেছনে গিয়ে কাছে থাকা গামছা দিয়ে তার গলা পেঁচিয়ে ধরেন। এতে তিনি শ্বাসরোধ হয়ে মারা যান। হত্যার পর মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে ইসমাইল মরদেহ ভুট্টাক্ষেতের মাঝখানে রেখে দেন।

এর পাঁচদিন পর ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ভুট্টাক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।