হবিগঞ্জ ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo এডভোকেট নজরুল ইসলাম চুনারুঘাট উপজেলার শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত Logo চুনারুঘাটে জমি-জমা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১: গ্রেপ্তার ২ Logo চুনারুঘাটে সেপ্টেম্বরে ১ লাখ শিশু-কিশোরকে টাইফয়েড ভ্যাকসিন প্রদানের সিদ্ধান্ত Logo সাংবাদিক তুহিনকে হত্যার প্রতিবাদে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের মানববন্ধন Logo চুনারুঘাটে ট্রাক শ্রমিকের উপর হামলার ঘটনায় জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিবাদ সভা Logo চুনারুঘাটে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসে অভিজ্ঞতা সনদ ও চেক বিতরণ Logo চুনারুঘাট সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন Logo চুনারুঘাটে ৩ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন Logo আগুনে পুড়ে যাওয়া স্বপ্নগুলো: শিক্ষকের চোঁখে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি Logo চুনারুঘাটে পারফরম্যান্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশন স্কিমের পুরস্কার বিতরণ

বাসরঘরে নববুধুকে ধর্ষণ করল জামাইর দুলাভাই

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:১৫:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
  • ২৭৭ বার পড়া হয়েছে

বাসরঘরে নববুধু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় স্বামীর সহযোগিতায় ওই নববধূকে তার দুলাভাই কর্তৃক একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে বগুড়ার ধুনট থানায় মামলা দায়ের করা হয় । ধর্ষণের শিকার ওই নববধূর বাবা বাদি হয়ে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এরপর ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি আলমগীর হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে। আজ শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আলমগীর সিরাজগঞ্জ সদরের ভুরভুড়িয়া গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার নববধূ (১৮) ধুনট উপজেলার বিশ্বহারিগাছা গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে। একই এলাকার সরোয়া-পাঁচথুপি গ্রামের ফেরদৌস আলমের ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী (পাগল) ফরিদুল ইসলামের সাথে ২৩ মার্চ মেয়েটির বিয়ে হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওই রাতেই নববধূকে তার বাবার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নেয় বরপক্ষ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে নববধূ ও তার স্বামী ফরিদুল বাসরঘরে প্রবেশ করে। এ সময় ফরিদুলের ভগ্নিপতি আলমগীর হোসেন সরবতের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে নববধূকে পান করায়। কিছুক্ষণ পর বাসরঘরের বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ে নববধূ।

এরপর ফরিদুলের সহযোগীতায় আলমগীর হোসেন সকাল পর্যন্ত নববধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরের দিন (২৪ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে নববধূ ঘুম থেকে উঠে দেখে আলমগীর হোসেন তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। আর তার স্বামী ফরিদুল ইসলাম একই ঘরের পাশের বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। নববধূ এ বিষয়টি তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে জানালে তারা কোন কর্ণপাত করেনি। উল্টো নববধূকে তারা মারধর করে। এ অবস্থায় ২৫ মার্চ রাতেও একই কৌশল অবলম্বন করতে থাকে আলমগীর হোসেন। তখন টের পেয়ে নববধূ তার বাবাকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি খুলে বললে স্বামীর বাড়ি থেকে তার বাবা তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নববধূর বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আলমগীর হোসেন, নববধূর স্বামী ফরিদুল ইসলাম ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করা হয়েছে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া নববধূর শারীরিক পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরপর আদালতে তার জবানবন্ধী রেকর্ড করা হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

এডভোকেট নজরুল ইসলাম চুনারুঘাট উপজেলার শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত

বাসরঘরে নববুধুকে ধর্ষণ করল জামাইর দুলাভাই

আপডেট সময় ০৭:১৫:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

বাসরঘরে নববুধু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় স্বামীর সহযোগিতায় ওই নববধূকে তার দুলাভাই কর্তৃক একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে বগুড়ার ধুনট থানায় মামলা দায়ের করা হয় । ধর্ষণের শিকার ওই নববধূর বাবা বাদি হয়ে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এরপর ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি আলমগীর হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে। আজ শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আলমগীর সিরাজগঞ্জ সদরের ভুরভুড়িয়া গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার নববধূ (১৮) ধুনট উপজেলার বিশ্বহারিগাছা গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে। একই এলাকার সরোয়া-পাঁচথুপি গ্রামের ফেরদৌস আলমের ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী (পাগল) ফরিদুল ইসলামের সাথে ২৩ মার্চ মেয়েটির বিয়ে হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওই রাতেই নববধূকে তার বাবার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নেয় বরপক্ষ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে নববধূ ও তার স্বামী ফরিদুল বাসরঘরে প্রবেশ করে। এ সময় ফরিদুলের ভগ্নিপতি আলমগীর হোসেন সরবতের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে নববধূকে পান করায়। কিছুক্ষণ পর বাসরঘরের বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ে নববধূ।

এরপর ফরিদুলের সহযোগীতায় আলমগীর হোসেন সকাল পর্যন্ত নববধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরের দিন (২৪ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে নববধূ ঘুম থেকে উঠে দেখে আলমগীর হোসেন তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। আর তার স্বামী ফরিদুল ইসলাম একই ঘরের পাশের বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। নববধূ এ বিষয়টি তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে জানালে তারা কোন কর্ণপাত করেনি। উল্টো নববধূকে তারা মারধর করে। এ অবস্থায় ২৫ মার্চ রাতেও একই কৌশল অবলম্বন করতে থাকে আলমগীর হোসেন। তখন টের পেয়ে নববধূ তার বাবাকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি খুলে বললে স্বামীর বাড়ি থেকে তার বাবা তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নববধূর বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আলমগীর হোসেন, নববধূর স্বামী ফরিদুল ইসলাম ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করা হয়েছে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া নববধূর শারীরিক পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরপর আদালতে তার জবানবন্ধী রেকর্ড করা হবে।