হবিগঞ্জ ১২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটের এ.জেট.টি মডেল একাডেমির জমজ দুই বোনের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন Logo প্রাথমিকের স্কুলে পবিত্র আল-কোরআনের ভাস্কর্য Logo সুনামগঞ্জ-১ আসনে কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আসাদ মুরাদ তালুকদার প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় Logo আজমিরীগঞ্জে ইঁদুরের বিষ খেয়ে যুবকের আত্মহত্যা Logo চুনারুঘাটে বিএনপির দুই প্রয়াত নেতা রাজন ও জলিলের করব জিয়ারত করলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম Logo মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিএনপি’র পতাকা তলে থেকেই মানুষের জন্য কাজ করতে চাই-সৈয়দ মোঃ ফয়সল Logo সিলেট রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ কোর্ট ইন্সপেক্টর হলেন হবিগঞ্জের শেখ নাজমুল হক Logo চুনারুঘাটে পিতা নিখোঁজ: জীবিত উদ্ধারের দাবিতে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন Logo সিলেট রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান আশিক Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দামী সেগুন গাছ চুরি

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৪ কোটি টাকার লেনদেন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৪৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লাক মিয়ার অর্ধশত ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৫০১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এছাড়া আরও ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য দুদকের অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) একটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যান লাক মিয়ার বিরুদ্ধে ভিজিডি, ভিজিএফ, এলজিএসপি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক ভূমি দখল ও মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

অপরদিকে, চেয়ারম্যান লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের নামের ১৪টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৪৬১ কোটি ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ১৪৬ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক। এছাড়া মাহমুদা বেগমের নামে ১৪ কোটি ৫০ লাখ ২৩ হাজার ১৯৭ টাকার সম্পদের কোনও বৈধ উৎস খুঁজে পায়নি দুদক।

দুদকের এই শীর্ষ কর্মকর্তা আরও জানান, চেয়ারম্যান লাক মিয়ার নামের ২৬৫ দশমিক ৬১ বিঘা জমি আদালতের মাধ্যমে ক্রোক করা হয়েছে—যার দালিলিক মূল্য ৭৫ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার ৮০০ টাকা। তার দুটি গাড়িও জব্দ করা হয়েছে। যেগুলোর মূল্য দুই কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এছাড়া ব্যাংক হিসাবে থাকা ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৩২২ টাকা অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করা হয়েছে।

১৯৯০-৯১ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী দুদকের অনুসন্ধানে চেয়ারম্যান লাক মিয়ার এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। আর ২০০৭-২০০৮ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী তার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন জানান, আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লাক মিয়ার একজন কর্মচারী হচ্ছেন মো. মহসিন মোল্লা।

তার মাসিক বেতন ছিল ১২ হাজার টাকা। তার রয়েছে ১৪টি ব্যাংক হিসাব। এসব হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন করেছেন ১০ হাজার ৩২২ কোটি ৭৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬২ টাকা। ১২ হাজার টাকা বেতনের কর্মচারী হলেও তিনি এনআরবি টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড এবং মেসার্স এনআরবি ট্রেডার্সের মালিক।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসার পর মহসিন মোল্লা ও তার স্ত্রীর নামে নতুন অনুসন্ধান ফাইল খুলে বিস্তারিত অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

চুনারুঘাটের এ.জেট.টি মডেল একাডেমির জমজ দুই বোনের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৪ কোটি টাকার লেনদেন

আপডেট সময় ১১:৪৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লাক মিয়ার অর্ধশত ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৫০১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এছাড়া আরও ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য দুদকের অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) একটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যান লাক মিয়ার বিরুদ্ধে ভিজিডি, ভিজিএফ, এলজিএসপি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক ভূমি দখল ও মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

অপরদিকে, চেয়ারম্যান লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের নামের ১৪টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৪৬১ কোটি ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ১৪৬ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক। এছাড়া মাহমুদা বেগমের নামে ১৪ কোটি ৫০ লাখ ২৩ হাজার ১৯৭ টাকার সম্পদের কোনও বৈধ উৎস খুঁজে পায়নি দুদক।

দুদকের এই শীর্ষ কর্মকর্তা আরও জানান, চেয়ারম্যান লাক মিয়ার নামের ২৬৫ দশমিক ৬১ বিঘা জমি আদালতের মাধ্যমে ক্রোক করা হয়েছে—যার দালিলিক মূল্য ৭৫ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার ৮০০ টাকা। তার দুটি গাড়িও জব্দ করা হয়েছে। যেগুলোর মূল্য দুই কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এছাড়া ব্যাংক হিসাবে থাকা ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৩২২ টাকা অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করা হয়েছে।

১৯৯০-৯১ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী দুদকের অনুসন্ধানে চেয়ারম্যান লাক মিয়ার এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। আর ২০০৭-২০০৮ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী তার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন জানান, আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লাক মিয়ার একজন কর্মচারী হচ্ছেন মো. মহসিন মোল্লা।

তার মাসিক বেতন ছিল ১২ হাজার টাকা। তার রয়েছে ১৪টি ব্যাংক হিসাব। এসব হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন করেছেন ১০ হাজার ৩২২ কোটি ৭৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬২ টাকা। ১২ হাজার টাকা বেতনের কর্মচারী হলেও তিনি এনআরবি টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড এবং মেসার্স এনআরবি ট্রেডার্সের মালিক।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসার পর মহসিন মোল্লা ও তার স্ত্রীর নামে নতুন অনুসন্ধান ফাইল খুলে বিস্তারিত অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।