হবিগঞ্জ ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ৮ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়? Logo চুনারুঘাটে ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা পেশার অরবিন্দ দত্তের সমাপ্তি Logo ব্যারিস্টার সুমন এমপিকে সংবর্ধনা দিল চুনারুঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি Logo চুনারুঘাটে ১৭ কেজি গাঁজা সহ কারবারি গ্রেপ্তার Logo ৪র্থ বারের মতো জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন চুনারুঘাট থানার এসআই লিটন রায় Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনাকারী সোহাগ গ্রেফতার Logo ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার আসামি জালাল গ্রেপ্তার Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন Logo চুনারুঘাটে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন তৌফিক মিয়া তালুকদার Logo ব্যারিস্টার সুমনের হত্যার পরিকল্পনারকারীদের গ্রেফতারে দাবীতে চুনারুঘাটে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ 

‘খালেদা জিয়া একজন দায়িত্বরত বিচারপতিকে কীভাবে সিইসি নিয়োগ দিয়েছিলেন!’

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৯৯ বার পড়া হয়েছে

আলোকিত ডেস্ক:সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কীভাবে আপিল বিভাগের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় বিচারপতি এমএ আজিজকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন- এমন প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় সার্চ কমিটি গঠন এবং তার সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন এবার একটি সুর্নিদিষ্ট আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে। অথচ আমরা দেখেছি, ২০০৫ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন অবস্থায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কীভাবে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় বিচারপতি এমএ আজিজকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন! গণতান্ত্রিক রীতিনীতি তো দূরের কথা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করা বিএনপির কাছে বর্তমান সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক ও আইনি প্রক্রিয়াকে তামাশা বলেই মনে হবে।

একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আশা রাখি- সার্চ কমিটির সদস্যরা তাদের নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে। সার্চ কমিটির অনুসন্ধান প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত রয়েছে।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রের নিখাদ শত্রু বিএনপি যতই পোশাকি গণতন্ত্রের আবরণে ছদ্মবেশ ধারণ করে নিজেদের লুকানোর চেষ্টা করুক না কেন, জাতির কাছে তাদের স্বরূপ অনেক আগেই উন্মোচিত। এদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংস হয়েছে অসাংবিধানিক ও অবৈধ উপায়ে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। বিপরীতে এদেশের মানুষের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের হাত ধরে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ দিনের স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ও অগণতান্ত্রিক চর্চার প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এদেশের জনগণ পুনরায় নসাৎ হতে দিবে না। সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে কোনো মূল্যে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর।

সূত্র: দৈনিক যুগান্তর।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়?

‘খালেদা জিয়া একজন দায়িত্বরত বিচারপতিকে কীভাবে সিইসি নিয়োগ দিয়েছিলেন!’

আপডেট সময় ১১:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আলোকিত ডেস্ক:সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কীভাবে আপিল বিভাগের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় বিচারপতি এমএ আজিজকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন- এমন প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় সার্চ কমিটি গঠন এবং তার সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন এবার একটি সুর্নিদিষ্ট আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে। অথচ আমরা দেখেছি, ২০০৫ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন অবস্থায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কীভাবে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় বিচারপতি এমএ আজিজকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন! গণতান্ত্রিক রীতিনীতি তো দূরের কথা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করা বিএনপির কাছে বর্তমান সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক ও আইনি প্রক্রিয়াকে তামাশা বলেই মনে হবে।

একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আশা রাখি- সার্চ কমিটির সদস্যরা তাদের নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে। সার্চ কমিটির অনুসন্ধান প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত রয়েছে।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রের নিখাদ শত্রু বিএনপি যতই পোশাকি গণতন্ত্রের আবরণে ছদ্মবেশ ধারণ করে নিজেদের লুকানোর চেষ্টা করুক না কেন, জাতির কাছে তাদের স্বরূপ অনেক আগেই উন্মোচিত। এদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংস হয়েছে অসাংবিধানিক ও অবৈধ উপায়ে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। বিপরীতে এদেশের মানুষের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের হাত ধরে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ দিনের স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ও অগণতান্ত্রিক চর্চার প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এদেশের জনগণ পুনরায় নসাৎ হতে দিবে না। সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে কোনো মূল্যে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর।

সূত্র: দৈনিক যুগান্তর।