হবিগঞ্জ ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে বিএনপির দুই প্রয়াত নেতা রাজন ও জলিলের করব জিয়ারত করলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম Logo মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিএনপি’র পতাকা তলে থেকেই মানুষের জন্য কাজ করতে চাই-সৈয়দ মোঃ ফয়সল Logo সিলেট রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ কোর্ট ইন্সপেক্টর হলেন হবিগঞ্জের শেখ নাজমুল হক Logo চুনারুঘাটে পিতা নিখোঁজ: জীবিত উদ্ধারের দাবিতে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন Logo সিলেট রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান আশিক Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দামী সেগুন গাছ চুরি Logo চুনারুঘাটে দোকানের কর্মচারীকে মারধর ও লুটপাট: মামলা Logo ইসলামী আন্দোলনের মিরাশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড শাখার সম্মেলন ও ঈদ পুনর্মিলনী Logo যুবলীগ নেতা ভূমিখেকো নাসিরের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ Logo চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্র জমিয়তের কর্মী সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন
প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের পাশাপাশি তিনি দেশের প্রথম কোন নারী দুটি ইউনিয়ন পরিষদেরের চেয়ারম্যান

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান শামছুন নাহার চৌধুরীর মৃত্যু 

চুনারুঘাটের দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুন্নাহার চৌধুরী (৬৩) মারা গেছেন।
আজ শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। শামছুন নাহার চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী ।
এছাড়াও তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউপির একবার ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন।
প্রথম স্বামী ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম চুনু চৌধুরীর মৃত্যুর পর ১৯৮৮ সালে প্রথমে মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। যাহা সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। পাশাপাশি তিনি দেশের প্রথম কোন নারী দুটি ইউনিয়ন পরিষদের তিনবার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
সেই থেকে রাজনীতিতে শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাটে বিএনপির দুই প্রয়াত নেতা রাজন ও জলিলের করব জিয়ারত করলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম

প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের পাশাপাশি তিনি দেশের প্রথম কোন নারী দুটি ইউনিয়ন পরিষদেরের চেয়ারম্যান

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান শামছুন নাহার চৌধুরীর মৃত্যু 

আপডেট সময় ১১:৪৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
চুনারুঘাটের দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুন্নাহার চৌধুরী (৬৩) মারা গেছেন।
আজ শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। শামছুন নাহার চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী ।
এছাড়াও তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউপির একবার ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন।
প্রথম স্বামী ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম চুনু চৌধুরীর মৃত্যুর পর ১৯৮৮ সালে প্রথমে মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। যাহা সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। পাশাপাশি তিনি দেশের প্রথম কোন নারী দুটি ইউনিয়ন পরিষদের তিনবার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
সেই থেকে রাজনীতিতে শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।