হবিগঞ্জের মাধবপুরে মাজার কমিটির দ্বন্দ্ব নিয়ে পুনরায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের দুইজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ও ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
কিন্ত এই সংঘর্ষের ঘটনায় শাহজাহানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরীকে ২ নাম্বার আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। তিনি মারামারি ঘটনায় জড়িত না থেকে মামলা দেয়া এলাকায় আলোচনা সমালোচনা ঝড় সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সুরমা গ্রামের হযরত শাহ চাঁন মিয়া চৌধুরী (রঃ) মাজারের কমিটি নিয়ে চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী ও একই গ্রামের ইকবাল চৌধুরীর লোকজনদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
মাজারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের লোকজনদের মধ্যে হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটে।
গতকাল (১৮ মে) বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহজাহানপুর ইউনিয়নের দক্ষিন সুরমা গ্রামের মৃত মন্নাফ মিয়ার ছেলে আব্দুল আওয়াল মিয়া কৃষি জমিতে কাজ করার সময় ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও জয়নাল মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজ লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আব্দুল আওয়াল মিয়ার উপর হামলা করলে কৃষক আব্দুল আওয়াল গুরুতর আহত হয়।
এ সময় আব্দুল আওয়াল নিজেকে বাঁচাতে হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে অপর পক্ষের আকির মিয়া নামে একজন আহত হয়।
এ ঘটনায় আকির মিয়ার বোন হাবিবা খাতুন বাদি হয়ে শাহজাহানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী কে ২ নং আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- ৩৫) ।
কিন্তু ঘটনার দিন শাহজাহানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্য্যালয়ে একটি মিটিংয়ে ছিলেন ।
মাধবপুর বাজারের ব্যবসায়ী ও টিকাদার মোঃ এরশাদ আলী জানান, গতকাল ( বৃহস্পতিবার) তিনি একটি কাজে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি শাহজাহানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী কে বসে থাকতে দেখেছেন।
বিকেল পর্যন্ত তিনি জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয়ে ছিলেন।
এ ব্যাপারে পারভেজ হোসেন চৌধুরী জানান, তিনি একটি কাজে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয়ে গিয়েছিলেন। বিকেল পর্যন্ত তিনি সেখানে ছিলেন। সংঘর্ষে তিনি জড়িত না থাকলেও তাকে মামলায় আসামী করা হয়েছে। বিষয় টি অত্যান্ত দুঃখ জনক।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।