হবিগঞ্জ ০২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মাধবপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো মিলনের বেঁচে থাকার অবলম্বন Logo চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাচনে ১৭ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo বিদ্যুৎপৃষ্ঠে নিহতের পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার সুমন-এমপি Logo টেকনাফের ব্যাবসায়ী ৫শ’ পিছ ইয়াবাসহ চুনারুঘাটে গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে তীব্র দাবদাহে সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ Logo শেখ হাসিনার আধুনিক চিন্তা ধারায় বদলে গেল কৃষিখাত, ব্যারিস্টার সুমন Logo কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তাদের কাম কি? মানুষের টাকা মেরে দেয়া, ব্যারিস্টার সুমন Logo বাহুবলে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন, জরিমানা ৫০ হাজার টাকা Logo বাহুবলে রাতের আধারে প্রবাসীর ১৮ টি ফসলি গাছ কর্তন, লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি

পুষ্টিবিদের পরামর্শ রমজানে যা খাবেন, যা খাবেন না, জেনে নিন ইফতারে যা খেতে পারেন…

  • ডেস্ক নিউজ:
  • আপডেট সময় ০৩:১০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
  • ১২৪ বার পড়া হয়েছে

রমজান প্রায় ১৪ ঘণ্টা দীর্ঘ হবে এই বছর। দিনের অর্ধেকের বেশি সময় যেহেতু না খেয়ে থাকতে হবে তাই সারাদিন কর্মক্ষম থাকার জন্য ইফতার ও সেহরিতে খেতে হবে সুষম খাবার ও পর্যাপ্ত পানি। এ সময় মানুষ না জেনে বুঝে খাদ্য নির্বাচন করলে পেট ফাঁপা, বদহজম দেখা দিতে পারে। তাই সঠিক খাবার খেয়ে রোজা থাকা উচিত। কিছু না খেয়ে খালি পেটে বা শুধু পানি খেয়ে কিংবা অতিভোজন করে রোজা থাকা থেকে বিরত থাকা ভালো।

জেনে নিন ইফতারে যা খেতে পারেন…

রোজাদারের খাবারের পরিমাণ তার বয়স, স্বাস্থ্য ও শারীরিক কাজের ওপর নির্ভর করবে। ইফতারে তেলে ভাজা খাবার সবারই প্রিয়। যদিও সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। খাবারের দোকানগুলোর তেলে ভাজাগুলো স্বাস্থ্যের জন্য আরও ক্ষতিকর। কারণ একই তেল বারবার ব্যবহার করায় তা ট্রান্সফ্যাটে পরিণত হয়। যা ক্যানসারের কারণ হতে পারে। তাই তেলে ভাজা যদি একান্তই খেতে হয় তাহলে বাসায় বানিয়ে খাওয়া ভালো। অবশ্যই একই তেল বারবার না করে অল্প তেলে।

ইফতারে খাওয়া যেতে পারে.

শসা, কলা, খেঁজুর, খোরমা, মৌসুমী যে কোনো ফল। এখন কাঁচা আমও পাওয়া যেতে পারে তার শরবত বা তরমুজ দিয়ে শরবত বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। যা শরীরে খনিজ পদার্থ যোগানের সঙ্গে সঙ্গে পানিও যোগান দেবে। এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও হজম সহজে হয়। রুচি পরিবর্তনের জন্য জিলাপি, নুডুলসও অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।

তবে বিরিয়ানি, তেহারি, হালিম এসব ভারী খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। এশা ও তারাবির নামাজের পরে পরিমাণ মতো ভাত, সবজি, মাছ বা মাংস ও ডাল খেতে পারেন। তবে পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সেহরিতে যা খেতে পারেন..

সেহরিতে ভারী, তেল, চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। অধিক তেল, ঝাল খাবার না খেয়ে সহজপাচ্য, মুখরোচক ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে বলে আবার অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করবেন না। কারণ খাওয়ার ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে পাকস্থলী থেকে অন্ত্রে গিয়ে জমা হয়। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলে সেটাও ৪-৫ ঘণ্টাতেই অন্ত্রে যাবে। তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমাণমতো সুষম খাবার ও পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করুন। ভাত, সবজি, মাছ বা মাংস, ডিম, দুধ এগুলো খাওয়া যেতে পারে।

সারাদিনের পানির চাহিদা এ সময়ে পূরণ করতে হবে। তাই ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করতে হবে। ফল খেলেও পানির চাহিদা পূরণ হবে, এছাড়া লেবুর পানি বা ইসুবগুলের শরবত খাওয়া যেতে পারে। তবে চা, কফি, বেভারেজ জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলা ভালো এগুলো শরীর থেকে পানি বের করে দেয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

যারা শরীরচর্চা করে থাকেন তারা ইফতারের পরে হালকা শরীরচর্চা করতে পারেন এতে ক্লান্তি ভাব কম হবে। ডায়াবেটিস, রক্তচাপ ও অন্যান্য রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ও খাবার গ্রহণ করবেন।

শামসুন নাহার তাহিরা, পুষ্টিবিদ

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

মাধবপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো মিলনের বেঁচে থাকার অবলম্বন

পুষ্টিবিদের পরামর্শ রমজানে যা খাবেন, যা খাবেন না, জেনে নিন ইফতারে যা খেতে পারেন…

আপডেট সময় ০৩:১০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

রমজান প্রায় ১৪ ঘণ্টা দীর্ঘ হবে এই বছর। দিনের অর্ধেকের বেশি সময় যেহেতু না খেয়ে থাকতে হবে তাই সারাদিন কর্মক্ষম থাকার জন্য ইফতার ও সেহরিতে খেতে হবে সুষম খাবার ও পর্যাপ্ত পানি। এ সময় মানুষ না জেনে বুঝে খাদ্য নির্বাচন করলে পেট ফাঁপা, বদহজম দেখা দিতে পারে। তাই সঠিক খাবার খেয়ে রোজা থাকা উচিত। কিছু না খেয়ে খালি পেটে বা শুধু পানি খেয়ে কিংবা অতিভোজন করে রোজা থাকা থেকে বিরত থাকা ভালো।

জেনে নিন ইফতারে যা খেতে পারেন…

রোজাদারের খাবারের পরিমাণ তার বয়স, স্বাস্থ্য ও শারীরিক কাজের ওপর নির্ভর করবে। ইফতারে তেলে ভাজা খাবার সবারই প্রিয়। যদিও সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। খাবারের দোকানগুলোর তেলে ভাজাগুলো স্বাস্থ্যের জন্য আরও ক্ষতিকর। কারণ একই তেল বারবার ব্যবহার করায় তা ট্রান্সফ্যাটে পরিণত হয়। যা ক্যানসারের কারণ হতে পারে। তাই তেলে ভাজা যদি একান্তই খেতে হয় তাহলে বাসায় বানিয়ে খাওয়া ভালো। অবশ্যই একই তেল বারবার না করে অল্প তেলে।

ইফতারে খাওয়া যেতে পারে.

শসা, কলা, খেঁজুর, খোরমা, মৌসুমী যে কোনো ফল। এখন কাঁচা আমও পাওয়া যেতে পারে তার শরবত বা তরমুজ দিয়ে শরবত বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। যা শরীরে খনিজ পদার্থ যোগানের সঙ্গে সঙ্গে পানিও যোগান দেবে। এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও হজম সহজে হয়। রুচি পরিবর্তনের জন্য জিলাপি, নুডুলসও অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।

তবে বিরিয়ানি, তেহারি, হালিম এসব ভারী খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। এশা ও তারাবির নামাজের পরে পরিমাণ মতো ভাত, সবজি, মাছ বা মাংস ও ডাল খেতে পারেন। তবে পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সেহরিতে যা খেতে পারেন..

সেহরিতে ভারী, তেল, চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। অধিক তেল, ঝাল খাবার না খেয়ে সহজপাচ্য, মুখরোচক ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে বলে আবার অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করবেন না। কারণ খাওয়ার ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে পাকস্থলী থেকে অন্ত্রে গিয়ে জমা হয়। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলে সেটাও ৪-৫ ঘণ্টাতেই অন্ত্রে যাবে। তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমাণমতো সুষম খাবার ও পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করুন। ভাত, সবজি, মাছ বা মাংস, ডিম, দুধ এগুলো খাওয়া যেতে পারে।

সারাদিনের পানির চাহিদা এ সময়ে পূরণ করতে হবে। তাই ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করতে হবে। ফল খেলেও পানির চাহিদা পূরণ হবে, এছাড়া লেবুর পানি বা ইসুবগুলের শরবত খাওয়া যেতে পারে। তবে চা, কফি, বেভারেজ জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলা ভালো এগুলো শরীর থেকে পানি বের করে দেয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

যারা শরীরচর্চা করে থাকেন তারা ইফতারের পরে হালকা শরীরচর্চা করতে পারেন এতে ক্লান্তি ভাব কম হবে। ডায়াবেটিস, রক্তচাপ ও অন্যান্য রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ও খাবার গ্রহণ করবেন।

শামসুন নাহার তাহিরা, পুষ্টিবিদ