হবিগঞ্জ ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকের মৃত্যু Logo অসুস্থ সাবেক কৃতি ফুটবলার আকছিরের পাশে চুনারুঘাট উপজেলা ফুটবল একাডেমি  Logo আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন Logo শহীদ মিনারে আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের শ্রদ্ধা নিবেদন Logo সীমান্তের ত্রাস গণধর্ষণ মামলার আসামী আবুল গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে  স্ত্রীর যৌতুক মামলায় বিয়ে পাগল স্বামী গ্রেপ্তার Logo নবাগত ইউএনওর সাথে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের পরিচিত সভা ও মতবিনিময় Logo মাধবপুরে বিএনপির কর্মী সভা Logo ইউএনও’র পরিচিতি সভা বর্জন করলেন চুনারুঘাটে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ Logo শায়েস্তাগঞ্জে অর্থনৈতিক শুমারির কাজে জনপ্রতিনিধি ও আ’লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মী!

মাধবপুরে হাই স্কুলের সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক-সভাপতি ‍বিরুদ্ধে

মাধবপুরের জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির যোগসাজশে গত কয়েক বছর ধরে অবিলিকৃত বিপুলসংখ্যক বই বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গভর্নিং বডির কয়েকজন সদস্য এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন।

জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষার্থীদের দেওয়ার জন্য সরকারিভাবে এসব বই অবিলিকৃত থাকায় প্রতিষ্ঠানটির একটি কক্ষে সংরক্ষিত ছিল। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠান প্রধান নুরুল্লাহ ভুইয়া ও গভর্নিং বডির সভাপতি নাসির খান গোপনে এসব বই বিক্রি করে দেন।

অভিযোগকারীরা বলছেন, গত ৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী আলম মিয়া কয়েকজনের সহযোগিতায় ২টি পিকআপভ্যান ভর্তি করে অজ্ঞাত এক ক্রেতা এসব বই কিনে নিয়ে গেছেন। প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যে এসব বই বিক্রি করেছেন বলেও অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন।

জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বই বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কত টাকার বই বিক্রি করা হয়েছে বিষয়টি তারা ঠিক জানেন না বলেও জানিয়েছেন।

তবে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি নাসির খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আগের কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী কক্ষ পরিষ্কার করার জন্য করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের জমা দেওয়া অ্যাসাইনমেন্টের কাগজপত্র বিক্রি করেছেন। একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ সংক্রান্ত কুৎসা রটনা করছেন বলেও তিনি দাবি করেছেন।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুল্লাহ ভুইয়া জানান, বই বিক্রির প্রশ্নই আসে না। আগের কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী কিছু কাগজপত্র বিক্রি করেছি। কাগজপত্র বিক্রি বাবদ ৭০ হাজার টাকা তার প্রতিষ্ঠানের আয় হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। রেজুলেশন কপিটা দেখতে চাইলে তিনি তথ্য অধিকার আইনে আবেদন জমা দিতে বলেন।

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান জানান, এ সংক্রান্ত একটি মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকের মৃত্যু

মাধবপুরে হাই স্কুলের সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক-সভাপতি ‍বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ১০:৪১:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২

মাধবপুরের জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির যোগসাজশে গত কয়েক বছর ধরে অবিলিকৃত বিপুলসংখ্যক বই বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গভর্নিং বডির কয়েকজন সদস্য এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন।

জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষার্থীদের দেওয়ার জন্য সরকারিভাবে এসব বই অবিলিকৃত থাকায় প্রতিষ্ঠানটির একটি কক্ষে সংরক্ষিত ছিল। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠান প্রধান নুরুল্লাহ ভুইয়া ও গভর্নিং বডির সভাপতি নাসির খান গোপনে এসব বই বিক্রি করে দেন।

অভিযোগকারীরা বলছেন, গত ৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী আলম মিয়া কয়েকজনের সহযোগিতায় ২টি পিকআপভ্যান ভর্তি করে অজ্ঞাত এক ক্রেতা এসব বই কিনে নিয়ে গেছেন। প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যে এসব বই বিক্রি করেছেন বলেও অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন।

জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বই বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কত টাকার বই বিক্রি করা হয়েছে বিষয়টি তারা ঠিক জানেন না বলেও জানিয়েছেন।

তবে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি নাসির খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আগের কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী কক্ষ পরিষ্কার করার জন্য করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের জমা দেওয়া অ্যাসাইনমেন্টের কাগজপত্র বিক্রি করেছেন। একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ সংক্রান্ত কুৎসা রটনা করছেন বলেও তিনি দাবি করেছেন।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুল্লাহ ভুইয়া জানান, বই বিক্রির প্রশ্নই আসে না। আগের কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী কিছু কাগজপত্র বিক্রি করেছি। কাগজপত্র বিক্রি বাবদ ৭০ হাজার টাকা তার প্রতিষ্ঠানের আয় হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। রেজুলেশন কপিটা দেখতে চাইলে তিনি তথ্য অধিকার আইনে আবেদন জমা দিতে বলেন।

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান জানান, এ সংক্রান্ত একটি মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি।