হবিগঞ্জ ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে যুবকের অর্থদণ্ড Logo চুনারুঘাটে ন্যাশনাল ট্রাভেলস্ ও আশরাফ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের উদ্যোগে পবিত্র হজ্ব সেমিনার Logo চুনারুঘাটে ৮ম শ্রেণির ছাত্রকে মারপিট করে বাইসাইকেল ছিনতাই করে একদল কিশোর গ্যাংক Logo সৃষ্টি নাকি ধ্বংস : শিক্ষাঙ্গন যাচ্ছে কোন পথে?  Logo হবিগঞ্জে ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি সারাদেশ ও হবিগঞ্জে খেলার মাঠ দখলমুক্ত-সুরক্ষার দাবি ক্রিকেটারদের Logo মাধবপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাশকতা মামলায় আসামী হলেন ৬ সাংবাদিক! Logo দৈনিক আমাদের দেশ পাঠক ফোরামের পক্ষে নির্বাসিত সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান কে সংবর্ধনা Logo সাংবাদিকতায় যদি সফলতা চান, তাহলে দিন শেষে ভাবেন-সিনিয়র সাংবাদিক আলমগীর হোসেন Logo গণবিপ্লবের মাধ্যমে আমরা মুক্ত হয়েছি- নির্বাসিত সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান Logo সহকারি শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার মাধবপুর উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত

মাধবপুরে হাই স্কুলের সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক-সভাপতি ‍বিরুদ্ধে

মাধবপুরের জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির যোগসাজশে গত কয়েক বছর ধরে অবিলিকৃত বিপুলসংখ্যক বই বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গভর্নিং বডির কয়েকজন সদস্য এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন।

জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষার্থীদের দেওয়ার জন্য সরকারিভাবে এসব বই অবিলিকৃত থাকায় প্রতিষ্ঠানটির একটি কক্ষে সংরক্ষিত ছিল। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠান প্রধান নুরুল্লাহ ভুইয়া ও গভর্নিং বডির সভাপতি নাসির খান গোপনে এসব বই বিক্রি করে দেন।

অভিযোগকারীরা বলছেন, গত ৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী আলম মিয়া কয়েকজনের সহযোগিতায় ২টি পিকআপভ্যান ভর্তি করে অজ্ঞাত এক ক্রেতা এসব বই কিনে নিয়ে গেছেন। প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যে এসব বই বিক্রি করেছেন বলেও অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন।

জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বই বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কত টাকার বই বিক্রি করা হয়েছে বিষয়টি তারা ঠিক জানেন না বলেও জানিয়েছেন।

তবে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি নাসির খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আগের কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী কক্ষ পরিষ্কার করার জন্য করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের জমা দেওয়া অ্যাসাইনমেন্টের কাগজপত্র বিক্রি করেছেন। একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ সংক্রান্ত কুৎসা রটনা করছেন বলেও তিনি দাবি করেছেন।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুল্লাহ ভুইয়া জানান, বই বিক্রির প্রশ্নই আসে না। আগের কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী কিছু কাগজপত্র বিক্রি করেছি। কাগজপত্র বিক্রি বাবদ ৭০ হাজার টাকা তার প্রতিষ্ঠানের আয় হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। রেজুলেশন কপিটা দেখতে চাইলে তিনি তথ্য অধিকার আইনে আবেদন জমা দিতে বলেন।

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান জানান, এ সংক্রান্ত একটি মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাটে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে যুবকের অর্থদণ্ড

মাধবপুরে হাই স্কুলের সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক-সভাপতি ‍বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ১০:৪১:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২

মাধবপুরের জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির যোগসাজশে গত কয়েক বছর ধরে অবিলিকৃত বিপুলসংখ্যক বই বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গভর্নিং বডির কয়েকজন সদস্য এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন।

জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষার্থীদের দেওয়ার জন্য সরকারিভাবে এসব বই অবিলিকৃত থাকায় প্রতিষ্ঠানটির একটি কক্ষে সংরক্ষিত ছিল। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠান প্রধান নুরুল্লাহ ভুইয়া ও গভর্নিং বডির সভাপতি নাসির খান গোপনে এসব বই বিক্রি করে দেন।

অভিযোগকারীরা বলছেন, গত ৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী আলম মিয়া কয়েকজনের সহযোগিতায় ২টি পিকআপভ্যান ভর্তি করে অজ্ঞাত এক ক্রেতা এসব বই কিনে নিয়ে গেছেন। প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যে এসব বই বিক্রি করেছেন বলেও অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন।

জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বই বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কত টাকার বই বিক্রি করা হয়েছে বিষয়টি তারা ঠিক জানেন না বলেও জানিয়েছেন।

তবে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি নাসির খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আগের কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী কক্ষ পরিষ্কার করার জন্য করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের জমা দেওয়া অ্যাসাইনমেন্টের কাগজপত্র বিক্রি করেছেন। একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ সংক্রান্ত কুৎসা রটনা করছেন বলেও তিনি দাবি করেছেন।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুল্লাহ ভুইয়া জানান, বই বিক্রির প্রশ্নই আসে না। আগের কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী কিছু কাগজপত্র বিক্রি করেছি। কাগজপত্র বিক্রি বাবদ ৭০ হাজার টাকা তার প্রতিষ্ঠানের আয় হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। রেজুলেশন কপিটা দেখতে চাইলে তিনি তথ্য অধিকার আইনে আবেদন জমা দিতে বলেন।

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান জানান, এ সংক্রান্ত একটি মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি।