ওমান নিয়ে ৩০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে চুনারুঘাটের বন্দর লস্করপুর গ্রামের আছমা খাতুন (২৫) নামের ১ গৃহবধুকে পাচার করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও বিদেশে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তার বোন সায়েরা খাতুন।
সায়েরা খাতুন জানান, গত ২০ মে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে আছমাকে ৩০ হাজার টাকা বেতনে ওমানে চাকরি দিবে বলে বিদেশে পাঠায় স্থানীয় দালাল ফুল মিয়া (৫০), ঢাকার বিসমিল্লাহ এজেন্সির মালিক হালিম (৪০) ও কর্মচারী সুজন মিয়া (৩৫) ।
আছমা ওমানে যাওয়ার পর তাকে একটি গৃহে আবদ্ধ রেখে তাকে পাশবিক নির্যাতন করতে থাকে। আছমা কোনো ভাবে বিষয়টি তার বোন সায়েরাকে বিষয়টি জানালে তারা আছমাকে ফেরত আনতে পাচারকারী চক্রের কাছে যান। তারা ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আছমাকে ফেরত এনে দিবেন বলে স্বীকার করেন। সায়েরা ১ লক্ষ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা সায়েরাকে অপমান করে বিদায় দেয়। সায়েরা ওই ট্রাভেলস ব্যবসায়ী আঃ হালিম এর হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করলে হালিম তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, চুনারুঘাটে তার অনেক লোকজন রয়েছে। তাদেরকে বললে সায়েরার অস্তিত্ব নষ্ট করে ফেলবে।
গত ৩ মাস ধরে আছমার কোনো খুঁজ খবর নাই বলেও জানান সায়েরা। এ মর্মে সায়েরা বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আছমা চুনারুঘাট উপজেলার বন্দর লস্করপুর গ্রামের আঃ লতিফের কন্যা। অভিযুক্ত দালাল ফুল মিয়া উপজেলার বাসুল্লা গ্রামের মৃত কাজী লেদু মিয়ার পুত্র। অভিযোগকারী সায়েরা খাতুন একই গ্রামের জামাল মিয়ার স্ত্রী। বিষয়ে অভিযুক্ত ফুল মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোণাগাও গ্রামের হেলাল আছমাকে বিদেশ পাঠিয়েছে। আমি শুধু ২ কথা মেতে দিয়েছি। বিসমিল্লাহ এজেন্সির মালিক আঃ হালিম এর ম্যানেজার আনোয়ার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা না বলে ফোন কেটে দেন।