চুনারুঘাট উপজেলা জুড়ে চরমভাবে লোডশেডিংয় হচ্ছে। এর ফলে কলকারখানা, চা-বাগানসহ উৎপাদনে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিদ্যুতের চলমান লোডশেডিংয় কারণে চা বাগানগুলোতে উৎপাদনে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। পাশাপাশি সময়মতো চা কারখানা চালু করতে না পারায় চায়ের গুণগত মান পড়ে যাওয়ারও আশংকা রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে এই কাঁচাপাতা প্রক্রিয়াজাত করতে সমস্যায় পড়ছেন বাগান মালিকরা। উপজেলার বাগান গুলোতে চায়ের উৎপাদন অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে চা শিল্প।নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় চা বাগানের কারখানাগুলো ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা যাচ্ছে না।
এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও গুণগত মান নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। যার প্রভাব পড়বে আগামী রফতানি বাজারে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে লোডশেডিং শিডিউল চালু হওয়ায় এই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দেশের অন্যতম অর্থকরী ও রফতানিযোগ্য ফসল।
এদিকে,লোডশেডিং কারণে খরচ বেড়ে গেছে।বিদ্যুৎ যখন চলে যায়, তখন চা বাগানের জেনারেটর চালানো হয়।জেনারেটর চালানো জন্য প্রয়োজন হয় ডিজেল। ডিজেল প্রতি লিটার ৮৫ থেকে ১শ টাকা করে ক্রয় করতে হচ্ছে,জানা গেছে।
অন্যদিকে,বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে সবগুলো বাগানেই চা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। চা উৎপাদন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত সব যন্ত্রপাতি জেনারেটর দিয়ে চালানো সম্ভব হয় না। তা ছাড়া সব কিছুর দাম বাড়লেও চায়ের দাম কিন্তু সেভাবে বাড়েনি। এখন এ সমস্যার জন্য গুণগত মান যদি কমে যায়, তাহলে চায়ের দামও কমে যাবে বলে মনে করেন বাগান মালিক ও সচেতন মহল।…..