চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্যের একটি মায়া হরিণ জবাই করে ভাগবাটোয়ারার খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্য সহ কয়েকটি পরিবারের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে উপজেলার ছনখলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের আব্দুল করিম ও আব্বাস মিয়া একটি মায়া হরিণকে ধাওয়া করেন। হরিণটি একপর্যায়ে মকছুদ আলীর পুকুরে পড়ে যায়। আব্দুল করিম রড দিয়ে হরিণটির মাথায় আঘাত করেন।
এতে প্রাণীটি নিস্তেজ হয়ে পড়লে জবাই করে আজাদ মেম্বারের স্ত্রী, আব্দুল করিম, আব্বাস মিয়া, এংরাজ মিয়া, জাহির মিয়া, প্রবাসী তাহির মিয়ার স্ত্রী, করিমের স্ত্রীসহ আরও কয়েকজন মাংস ভাগবাটোয়ারা করে নেন।
খবর পেয়ে কালেঙ্গা ও রেমার বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তবে তারা সেখানে পৌঁছার আগেই হরিণ জবাইয়ের সব আলামত নষ্ট করে দেন অভিযুক্তরা।
এ বিষয়ে রেমা বিট কর্মকর্তা ছালেকিন নেওয়াজ বলেন, বনবিভাগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লোকমুখে শোনা ছাড়া আর কোনো আলামত পাইনি।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি খুব দুঃখজনক। বন্য প্রাণী হত্যা ও শিকার দুটিই দণ্ডনীয় অপরাধ। হরিণটি যারা শিকার করে জবাই করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।