হবিগঞ্জ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo টানা বৃষ্টিপাতে মাধবপুরে মহাসড়কসহ বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত Logo চুনারুঘাটে পানিতে ডুবে ভাইবোনের এক সাথে মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে তহশিলদার মইনুল ইসলামে সততার ঈর্ষান্বিত হয়ে সংবাদ প্রকাশ Logo চুনারুঘাটে ফের ২২ বাংলাদেশীকে পুশইন করেছে বিএসএফ Logo মাধবপুরে ৪টি লাইসেন্স বিহীন করাতকল উচ্ছেদ অভিযান” Logo চুনারুঘাটের কালেঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের পুশ-ইন: নারী শিশুসহ ১৯ বাংলাদেশী Logo মাধবপুরে রমীজ খাঁন আলিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার মান ও মাদ্রাসার উন্নয়নে আলোচনা ‎ Logo চুনারুঘাটে খেলাফত মজলিসের কর্মী ও সুধী সমাবেশ Logo মাধবপুরের হাট বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার, আইন থাকলেও প্রয়োগ নেই Logo মাধবপুরে ৪৭টি অবৈধ স’মিল, বৈধ মাত্র ১১টি, হুমকিতে বন ও পরিবেশ

মাধবপুর উপজেলায় বিএডিসির গভীর নলকূপ স্থাপনে বদলে গেছে কৃষকের জীবন যাত্রা

মাধবপুরের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা এক সময় দুই ফসল ধান চাষাবাদ করতে কৃষকদের অনেক কষ্ট হত। বর্তমানে তারা তিন ফসলও চাষাবাদ করেন। পানির সু-ব্যবস্থা না থাকায় এক বা দুই ফসল করতে হত। এখন মাধবপুর উপজেলায় বিএডিসি গভীর নলকূপ স্থাপনের কারনে বদলে গেছে কৃষির চিত্র। আগে যেখানে ১ ফসল হত এখন সেখানে ২ ফসল হচেছ। যেখানে ২ ফসল হত এখন সেখানে ৩ ফসল হচেছ। এতে কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে আনন্দ ।

উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে ৪০ হেক্টর জমিতে আগে এক ফসল হত। এখন বদলে গেছে সেখানকার কৃষির চিত্র। পর্যপ্ত সেচ সুবিধা থাকায় কৃষকরা এখন ওই সব জমিতে ৩ থেকে ৪ ফসল করছেন। বিএডিসি থেকে গভীর নলকূপ স্থাপন করে দেওয়ায় সেচ খরচও কম হচেছ। এতে করে ওই গ্রামের ৫ শতাধিক কৃষকের জীবন যাত্রা বদলে গেছে। আগে যেখানে এক ফসল করে সংসার চালানো কষ্ট হত এখন সেখানে ৩ ফসল করে সুখে দিন কাটছে তাদের।
কৃষক আব্দুল বাছির বদু মিয়া জানান, এই মাঠে আগে তাদের একটা ফসল হত। শুধু আমন ধান করতেন। এখন সেচ সুবিধার কারনে ২ থেকে আড়াই খানি জায়গা বোরো আবাদে এসেছে। বর্ষার সময় যখন সারা দেশে পানি থাকে তখন এখানে পানি থাকে না। এখন এখানে বিএডিসি সেচ সুবিধা হওয়ায় তারা তরমুজ, শশা, লাউ, চাষ করেন।
হবিগঞ্জ বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হক জানান, ২০১৬- ২০১৭ অর্থ বছরে গোপীনাথপুর একটি ডিপটিউবওয়েল স্থাপন করা হয়।এই এলাকাটি সেচের জন্য অনাবাদি ছিল। গভীর নলকূপ স্থাপনের করার ফলে এই এলাকার প্রায় ৪০ হেক্টর জমি বোরো ধানের আওতায় আসে। পূর্বে এই জায়গায় বোরো ধান হত না।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, ২০২১- ২২ অর্থ বছরে মাধবপুরে বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার ৭০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। বোরো আবাদ বাড়ার মূল কারণ হল কৃষকদের ৫০% ভতুকিতে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচেছ। কৃষকদের যন্ত্রকিনার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আগে কৃষকরা ধান কাটার শ্রমিক নিয়ে আশংকা থাকত। এই আশংকার কারনে কৃষকরা বোরো আবাদ কম করত।
বোরো মৌসুমে সেচের একটু সমস্যা হয়। বিএডিসি সহ কৃষি মন্ত্রনালয়ের যে প্রতিষ্টান গুলো আছে উনাদের সহযোগীতার কারনে আগে যেখানে ২ ফসল হত এখন সেখানে ৩ ফসল হচেছ। ১ ফসলি জমি গুলোতে এখন ২ ফসল , ২ ফসলি জমি গুলোতে ৩ ফসল হচেছ। সেচের সংকট দূর হওয়ার কারনে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

টানা বৃষ্টিপাতে মাধবপুরে মহাসড়কসহ বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত

মাধবপুর উপজেলায় বিএডিসির গভীর নলকূপ স্থাপনে বদলে গেছে কৃষকের জীবন যাত্রা

আপডেট সময় ০৬:০০:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২

মাধবপুরের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা এক সময় দুই ফসল ধান চাষাবাদ করতে কৃষকদের অনেক কষ্ট হত। বর্তমানে তারা তিন ফসলও চাষাবাদ করেন। পানির সু-ব্যবস্থা না থাকায় এক বা দুই ফসল করতে হত। এখন মাধবপুর উপজেলায় বিএডিসি গভীর নলকূপ স্থাপনের কারনে বদলে গেছে কৃষির চিত্র। আগে যেখানে ১ ফসল হত এখন সেখানে ২ ফসল হচেছ। যেখানে ২ ফসল হত এখন সেখানে ৩ ফসল হচেছ। এতে কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে আনন্দ ।

উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে ৪০ হেক্টর জমিতে আগে এক ফসল হত। এখন বদলে গেছে সেখানকার কৃষির চিত্র। পর্যপ্ত সেচ সুবিধা থাকায় কৃষকরা এখন ওই সব জমিতে ৩ থেকে ৪ ফসল করছেন। বিএডিসি থেকে গভীর নলকূপ স্থাপন করে দেওয়ায় সেচ খরচও কম হচেছ। এতে করে ওই গ্রামের ৫ শতাধিক কৃষকের জীবন যাত্রা বদলে গেছে। আগে যেখানে এক ফসল করে সংসার চালানো কষ্ট হত এখন সেখানে ৩ ফসল করে সুখে দিন কাটছে তাদের।
কৃষক আব্দুল বাছির বদু মিয়া জানান, এই মাঠে আগে তাদের একটা ফসল হত। শুধু আমন ধান করতেন। এখন সেচ সুবিধার কারনে ২ থেকে আড়াই খানি জায়গা বোরো আবাদে এসেছে। বর্ষার সময় যখন সারা দেশে পানি থাকে তখন এখানে পানি থাকে না। এখন এখানে বিএডিসি সেচ সুবিধা হওয়ায় তারা তরমুজ, শশা, লাউ, চাষ করেন।
হবিগঞ্জ বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হক জানান, ২০১৬- ২০১৭ অর্থ বছরে গোপীনাথপুর একটি ডিপটিউবওয়েল স্থাপন করা হয়।এই এলাকাটি সেচের জন্য অনাবাদি ছিল। গভীর নলকূপ স্থাপনের করার ফলে এই এলাকার প্রায় ৪০ হেক্টর জমি বোরো ধানের আওতায় আসে। পূর্বে এই জায়গায় বোরো ধান হত না।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, ২০২১- ২২ অর্থ বছরে মাধবপুরে বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার ৭০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। বোরো আবাদ বাড়ার মূল কারণ হল কৃষকদের ৫০% ভতুকিতে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচেছ। কৃষকদের যন্ত্রকিনার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আগে কৃষকরা ধান কাটার শ্রমিক নিয়ে আশংকা থাকত। এই আশংকার কারনে কৃষকরা বোরো আবাদ কম করত।
বোরো মৌসুমে সেচের একটু সমস্যা হয়। বিএডিসি সহ কৃষি মন্ত্রনালয়ের যে প্রতিষ্টান গুলো আছে উনাদের সহযোগীতার কারনে আগে যেখানে ২ ফসল হত এখন সেখানে ৩ ফসল হচেছ। ১ ফসলি জমি গুলোতে এখন ২ ফসল , ২ ফসলি জমি গুলোতে ৩ ফসল হচেছ। সেচের সংকট দূর হওয়ার কারনে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছে।