হবিগঞ্জ ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শায়েস্তাগঞ্জে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন আজ Logo বুল্লা বাজারে লাখাই উপশাখায় আইএফআইসি ব্যাংক এর উদ্যাগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ Logo চুনারুঘাটে আইএফআইসি ব্যাংকের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ Logo চুনারুঘাটে হাজী মোহাম্মদ হাজির উদ্দিন ও আরব বাংলা গ্রুপের অর্থায়নে মাও: আব্দুল ওয়াব মসজিদের উদ্বোধন Logo চুনারুঘাটে লাভজনক পদ্ধতিতে সুগারক্রপ চাষাবাদ শীর্ষক কৃষক/কৃষাণী প্রশিক্ষণ Logo ক্লিন ফাউন্ডেশন চুনারুঘাট এর কমিটি, গঠন সভাপতি হাবিব ও সেক্রেটারী সাহেদ Logo চুনারুঘাটের আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালেহ উদ্দিন বাবরুর ৬০তম জন্মদিন পালন Logo চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্ত: আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি Logo চুনারুঘাটে বাড়ি রাস্তার বিরোধ নিয়ে একই পরিবারের বৃদ্ধসহ ৭ জনকে কুপিয়ে জখম Logo চুনারুঘাটে ইউপি সদস্যসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের উপর মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ওয়ার্ডবাসীর মানববন্ধন

মাধবপুর উপজেলায় বিএডিসির গভীর নলকূপ স্থাপনে বদলে গেছে কৃষকের জীবন যাত্রা

মাধবপুরের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা এক সময় দুই ফসল ধান চাষাবাদ করতে কৃষকদের অনেক কষ্ট হত। বর্তমানে তারা তিন ফসলও চাষাবাদ করেন। পানির সু-ব্যবস্থা না থাকায় এক বা দুই ফসল করতে হত। এখন মাধবপুর উপজেলায় বিএডিসি গভীর নলকূপ স্থাপনের কারনে বদলে গেছে কৃষির চিত্র। আগে যেখানে ১ ফসল হত এখন সেখানে ২ ফসল হচেছ। যেখানে ২ ফসল হত এখন সেখানে ৩ ফসল হচেছ। এতে কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে আনন্দ ।

উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে ৪০ হেক্টর জমিতে আগে এক ফসল হত। এখন বদলে গেছে সেখানকার কৃষির চিত্র। পর্যপ্ত সেচ সুবিধা থাকায় কৃষকরা এখন ওই সব জমিতে ৩ থেকে ৪ ফসল করছেন। বিএডিসি থেকে গভীর নলকূপ স্থাপন করে দেওয়ায় সেচ খরচও কম হচেছ। এতে করে ওই গ্রামের ৫ শতাধিক কৃষকের জীবন যাত্রা বদলে গেছে। আগে যেখানে এক ফসল করে সংসার চালানো কষ্ট হত এখন সেখানে ৩ ফসল করে সুখে দিন কাটছে তাদের।
কৃষক আব্দুল বাছির বদু মিয়া জানান, এই মাঠে আগে তাদের একটা ফসল হত। শুধু আমন ধান করতেন। এখন সেচ সুবিধার কারনে ২ থেকে আড়াই খানি জায়গা বোরো আবাদে এসেছে। বর্ষার সময় যখন সারা দেশে পানি থাকে তখন এখানে পানি থাকে না। এখন এখানে বিএডিসি সেচ সুবিধা হওয়ায় তারা তরমুজ, শশা, লাউ, চাষ করেন।
হবিগঞ্জ বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হক জানান, ২০১৬- ২০১৭ অর্থ বছরে গোপীনাথপুর একটি ডিপটিউবওয়েল স্থাপন করা হয়।এই এলাকাটি সেচের জন্য অনাবাদি ছিল। গভীর নলকূপ স্থাপনের করার ফলে এই এলাকার প্রায় ৪০ হেক্টর জমি বোরো ধানের আওতায় আসে। পূর্বে এই জায়গায় বোরো ধান হত না।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, ২০২১- ২২ অর্থ বছরে মাধবপুরে বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার ৭০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। বোরো আবাদ বাড়ার মূল কারণ হল কৃষকদের ৫০% ভতুকিতে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচেছ। কৃষকদের যন্ত্রকিনার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আগে কৃষকরা ধান কাটার শ্রমিক নিয়ে আশংকা থাকত। এই আশংকার কারনে কৃষকরা বোরো আবাদ কম করত।
বোরো মৌসুমে সেচের একটু সমস্যা হয়। বিএডিসি সহ কৃষি মন্ত্রনালয়ের যে প্রতিষ্টান গুলো আছে উনাদের সহযোগীতার কারনে আগে যেখানে ২ ফসল হত এখন সেখানে ৩ ফসল হচেছ। ১ ফসলি জমি গুলোতে এখন ২ ফসল , ২ ফসলি জমি গুলোতে ৩ ফসল হচেছ। সেচের সংকট দূর হওয়ার কারনে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

শায়েস্তাগঞ্জে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন আজ

মাধবপুর উপজেলায় বিএডিসির গভীর নলকূপ স্থাপনে বদলে গেছে কৃষকের জীবন যাত্রা

আপডেট সময় ০৬:০০:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০২২

মাধবপুরের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা এক সময় দুই ফসল ধান চাষাবাদ করতে কৃষকদের অনেক কষ্ট হত। বর্তমানে তারা তিন ফসলও চাষাবাদ করেন। পানির সু-ব্যবস্থা না থাকায় এক বা দুই ফসল করতে হত। এখন মাধবপুর উপজেলায় বিএডিসি গভীর নলকূপ স্থাপনের কারনে বদলে গেছে কৃষির চিত্র। আগে যেখানে ১ ফসল হত এখন সেখানে ২ ফসল হচেছ। যেখানে ২ ফসল হত এখন সেখানে ৩ ফসল হচেছ। এতে কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে আনন্দ ।

উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে ৪০ হেক্টর জমিতে আগে এক ফসল হত। এখন বদলে গেছে সেখানকার কৃষির চিত্র। পর্যপ্ত সেচ সুবিধা থাকায় কৃষকরা এখন ওই সব জমিতে ৩ থেকে ৪ ফসল করছেন। বিএডিসি থেকে গভীর নলকূপ স্থাপন করে দেওয়ায় সেচ খরচও কম হচেছ। এতে করে ওই গ্রামের ৫ শতাধিক কৃষকের জীবন যাত্রা বদলে গেছে। আগে যেখানে এক ফসল করে সংসার চালানো কষ্ট হত এখন সেখানে ৩ ফসল করে সুখে দিন কাটছে তাদের।
কৃষক আব্দুল বাছির বদু মিয়া জানান, এই মাঠে আগে তাদের একটা ফসল হত। শুধু আমন ধান করতেন। এখন সেচ সুবিধার কারনে ২ থেকে আড়াই খানি জায়গা বোরো আবাদে এসেছে। বর্ষার সময় যখন সারা দেশে পানি থাকে তখন এখানে পানি থাকে না। এখন এখানে বিএডিসি সেচ সুবিধা হওয়ায় তারা তরমুজ, শশা, লাউ, চাষ করেন।
হবিগঞ্জ বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হক জানান, ২০১৬- ২০১৭ অর্থ বছরে গোপীনাথপুর একটি ডিপটিউবওয়েল স্থাপন করা হয়।এই এলাকাটি সেচের জন্য অনাবাদি ছিল। গভীর নলকূপ স্থাপনের করার ফলে এই এলাকার প্রায় ৪০ হেক্টর জমি বোরো ধানের আওতায় আসে। পূর্বে এই জায়গায় বোরো ধান হত না।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, ২০২১- ২২ অর্থ বছরে মাধবপুরে বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার ৭০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। বোরো আবাদ বাড়ার মূল কারণ হল কৃষকদের ৫০% ভতুকিতে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচেছ। কৃষকদের যন্ত্রকিনার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আগে কৃষকরা ধান কাটার শ্রমিক নিয়ে আশংকা থাকত। এই আশংকার কারনে কৃষকরা বোরো আবাদ কম করত।
বোরো মৌসুমে সেচের একটু সমস্যা হয়। বিএডিসি সহ কৃষি মন্ত্রনালয়ের যে প্রতিষ্টান গুলো আছে উনাদের সহযোগীতার কারনে আগে যেখানে ২ ফসল হত এখন সেখানে ৩ ফসল হচেছ। ১ ফসলি জমি গুলোতে এখন ২ ফসল , ২ ফসলি জমি গুলোতে ৩ ফসল হচেছ। সেচের সংকট দূর হওয়ার কারনে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছে।