হবিগঞ্জ ১০:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে বিএনপির দুই প্রয়াত নেতা রাজন ও জলিলের করব জিয়ারত করলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম Logo মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিএনপি’র পতাকা তলে থেকেই মানুষের জন্য কাজ করতে চাই-সৈয়দ মোঃ ফয়সল Logo সিলেট রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ কোর্ট ইন্সপেক্টর হলেন হবিগঞ্জের শেখ নাজমুল হক Logo চুনারুঘাটে পিতা নিখোঁজ: জীবিত উদ্ধারের দাবিতে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন Logo সিলেট রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান আশিক Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দামী সেগুন গাছ চুরি Logo চুনারুঘাটে দোকানের কর্মচারীকে মারধর ও লুটপাট: মামলা Logo ইসলামী আন্দোলনের মিরাশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড শাখার সম্মেলন ও ঈদ পুনর্মিলনী Logo যুবলীগ নেতা ভূমিখেকো নাসিরের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ Logo চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্র জমিয়তের কর্মী সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন

রেমা-কালেঙ্গায় শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণ

শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণ সম্পন্ন হয়েছে। তিনটি ভ্রমণ স্পট রেমা-কালেঙ্গা, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধে আয়োজন করা ভ্রমণ।

শুক্রবার দিনব্যাপী উল্লেখিত স্থানগুলো ভ্রমণ,মধ্যহৃভোজন ও অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের উপহার প্রদান করে আনন্দ ভ্রমণ উদযাপন কমিটি। কমিটির আহ্বায়ক ক্লাবের সহ-সভাপতি নওরোজুল ইসলাম চৌধুরী আনন্দ ভ্রমণ সফল করেন।

ওইদিন সকাল ১০টায় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে সাংবাদিক বহণের গাড়ীটি চলতে থাকে রেমা-কালেঙ্গা। দুপুর ১২টার আগেই রেমা-কালেঙ্গা পৌছে প্রধান ফটকে ফটোসেশন শেষে সাংবাদিকদের টিম বের হয় বনে। বনের ভিতর চলতে চলতে মোবাইলে সেলফি, কখনো গ্রুপ ফটোসেশনে ব্যস্ত সাংবাদিকরা।
বনের ভিতরে রাস্তার দুই পাশজুড়ে সারি সারি সুউচ্চ গাছ। শোঁ শোঁ শব্দে উঁচু সেই গাছের ছোট-বড় পাতার ফাঁক-ফোকড় দিয়ে বইছে হাওয়া। ঘুরতে ঘুরতে দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও রঙবেরংয়ের কীটপতঙ্গ। শোনা যায় অচেনা পাখি ও ব্যাঙের ডাক, আর ঝিঁ ঝিঁ পোকার গুঞ্জন।
বনের ভিতর দেখা মিলে কালেঙ্গা সীমান্ত ফাড়ি। আরো সামনে এগিয়েই দেখা মিলে শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধার সমাধি। নায়েক আব্দুল মান্নান (বীর উত্তম)। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরষ্কার। আমরা এখানে দাড়িয়ে সাংবদিকরা প্রথমে কবরস্থান জিয়ারত করেন পরে তাঁকে স্মরণ করে মুক্তিযুদ্ধে কথা বলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি আ স ম আফজল আলী সাবেক সভাপতি এডভোকেট হুমায়ূন কবীর সৈকত।
রেমা-কালেঙ্গা ঘুরতে আমাদের সাথে গাইড হিসেবে ছিলেন একজন। তার নাম সুরুজ আলী। রেমা-কালেঙ্গা থেকে আমরা চলে যাই সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে। যেতে যেতে মধ্যহৃভোজনের সময় চলে যাচ্ছে। সাতছড়িতে পৌছেই আমরা জনপ্রিয় এবং সুসাধু মোল্লা খাবার হোটেলে গিয়ে বসলাম আমরা। আমাদের খাবারের অর্ডার একদিন আগেই দেয়া ছিল। তাই যেতেই টেবিলে আমাদের খাবার প্রস্তু। দুপুরের খাবার খেয়ে কিছু ফটোসেশন হলো। সাতছড়িতে আমাদের সাথে যোগদেন মাধবপুর প্রেসক্লাবের তিন সাংবাদিক। তারা হলেন- সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন, সাবেক সভাপতি রোকন উদ্দিন লস্কর ও সাংবাদিক জামাল মোঃ আবু নাছের।
তারপর আমাদের বাহনটি চলতে থাকে তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধের দিকে। দুপুর গড়িয়ে শেষ বিকালে আমরা হাজির হলাম মুক্তিযুদ্ধের সূচনাস্থল তেলিয়াপাড়া ডাকবাংলো প্রাঙ্গলে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে। সেখানেও কিছুক্ষণ সাংবাদিকরা ফটোসেশন করে।
সর্বশেষে মাধবপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের আমন্ত্রণে জগদিশপুর একটি অভিজাত হোটেলে আমাদের সকলকে চা পান করানো হয়।## ছবি সংযুক্ত।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাটে বিএনপির দুই প্রয়াত নেতা রাজন ও জলিলের করব জিয়ারত করলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম

রেমা-কালেঙ্গায় শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণ

আপডেট সময় ০৮:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২

শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণ সম্পন্ন হয়েছে। তিনটি ভ্রমণ স্পট রেমা-কালেঙ্গা, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধে আয়োজন করা ভ্রমণ।

শুক্রবার দিনব্যাপী উল্লেখিত স্থানগুলো ভ্রমণ,মধ্যহৃভোজন ও অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের উপহার প্রদান করে আনন্দ ভ্রমণ উদযাপন কমিটি। কমিটির আহ্বায়ক ক্লাবের সহ-সভাপতি নওরোজুল ইসলাম চৌধুরী আনন্দ ভ্রমণ সফল করেন।

ওইদিন সকাল ১০টায় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে সাংবাদিক বহণের গাড়ীটি চলতে থাকে রেমা-কালেঙ্গা। দুপুর ১২টার আগেই রেমা-কালেঙ্গা পৌছে প্রধান ফটকে ফটোসেশন শেষে সাংবাদিকদের টিম বের হয় বনে। বনের ভিতর চলতে চলতে মোবাইলে সেলফি, কখনো গ্রুপ ফটোসেশনে ব্যস্ত সাংবাদিকরা।
বনের ভিতরে রাস্তার দুই পাশজুড়ে সারি সারি সুউচ্চ গাছ। শোঁ শোঁ শব্দে উঁচু সেই গাছের ছোট-বড় পাতার ফাঁক-ফোকড় দিয়ে বইছে হাওয়া। ঘুরতে ঘুরতে দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও রঙবেরংয়ের কীটপতঙ্গ। শোনা যায় অচেনা পাখি ও ব্যাঙের ডাক, আর ঝিঁ ঝিঁ পোকার গুঞ্জন।
বনের ভিতর দেখা মিলে কালেঙ্গা সীমান্ত ফাড়ি। আরো সামনে এগিয়েই দেখা মিলে শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধার সমাধি। নায়েক আব্দুল মান্নান (বীর উত্তম)। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরষ্কার। আমরা এখানে দাড়িয়ে সাংবদিকরা প্রথমে কবরস্থান জিয়ারত করেন পরে তাঁকে স্মরণ করে মুক্তিযুদ্ধে কথা বলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি আ স ম আফজল আলী সাবেক সভাপতি এডভোকেট হুমায়ূন কবীর সৈকত।
রেমা-কালেঙ্গা ঘুরতে আমাদের সাথে গাইড হিসেবে ছিলেন একজন। তার নাম সুরুজ আলী। রেমা-কালেঙ্গা থেকে আমরা চলে যাই সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে। যেতে যেতে মধ্যহৃভোজনের সময় চলে যাচ্ছে। সাতছড়িতে পৌছেই আমরা জনপ্রিয় এবং সুসাধু মোল্লা খাবার হোটেলে গিয়ে বসলাম আমরা। আমাদের খাবারের অর্ডার একদিন আগেই দেয়া ছিল। তাই যেতেই টেবিলে আমাদের খাবার প্রস্তু। দুপুরের খাবার খেয়ে কিছু ফটোসেশন হলো। সাতছড়িতে আমাদের সাথে যোগদেন মাধবপুর প্রেসক্লাবের তিন সাংবাদিক। তারা হলেন- সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন, সাবেক সভাপতি রোকন উদ্দিন লস্কর ও সাংবাদিক জামাল মোঃ আবু নাছের।
তারপর আমাদের বাহনটি চলতে থাকে তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধের দিকে। দুপুর গড়িয়ে শেষ বিকালে আমরা হাজির হলাম মুক্তিযুদ্ধের সূচনাস্থল তেলিয়াপাড়া ডাকবাংলো প্রাঙ্গলে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে। সেখানেও কিছুক্ষণ সাংবাদিকরা ফটোসেশন করে।
সর্বশেষে মাধবপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের আমন্ত্রণে জগদিশপুর একটি অভিজাত হোটেলে আমাদের সকলকে চা পান করানো হয়।## ছবি সংযুক্ত।