হবিগঞ্জ ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হবিগঞ্জে খোয়াই এয়ার ট্রাভেলসের হজ্জ প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন  Logo আগামীকাল শায়েস্তাগঞ্জে খোয়াই এয়ার ট্রাভেলসের হজ্জ প্রশিক্ষণ কর্মশালা Logo চুনারুঘাটে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন Logo মাধবপুরে এনজিও নিশান গ্রাহকের ২শ’ কোটি টাকা নিয়ে ৩ পরিচালক উধাও ! Logo চুনারুঘাটে জোরপূর্বক রাস্তা নিমার্ণের অভিযোগে আদালত ১৪৪ ধারা জারি Logo মাধবপুরে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাঙ্গালির সর্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ Logo মাধবপুরে বর্ণিল আয়োজনে বিএনপি’র বর্ষ বরণ Logo নববর্ষ বরণে চুনারুঘাট সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের থাকছে পিঠা উৎসব সহ নানা আয়োজন Logo চুনারুঘাটে রাজার বাজার সরকারি স্কুলের শিক্ষককে যুবদল নেতার হুমকি, থানায় অভিযোগ Logo শারীরিক শিক্ষাঃ প্রয়োজনীয়তা ও মূল্যায়ন-সিনিয়র শিক্ষক সাইফুর রহমান

রেমা-কালেঙ্গায় শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণ

শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণ সম্পন্ন হয়েছে। তিনটি ভ্রমণ স্পট রেমা-কালেঙ্গা, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধে আয়োজন করা ভ্রমণ।

শুক্রবার দিনব্যাপী উল্লেখিত স্থানগুলো ভ্রমণ,মধ্যহৃভোজন ও অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের উপহার প্রদান করে আনন্দ ভ্রমণ উদযাপন কমিটি। কমিটির আহ্বায়ক ক্লাবের সহ-সভাপতি নওরোজুল ইসলাম চৌধুরী আনন্দ ভ্রমণ সফল করেন।

ওইদিন সকাল ১০টায় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে সাংবাদিক বহণের গাড়ীটি চলতে থাকে রেমা-কালেঙ্গা। দুপুর ১২টার আগেই রেমা-কালেঙ্গা পৌছে প্রধান ফটকে ফটোসেশন শেষে সাংবাদিকদের টিম বের হয় বনে। বনের ভিতর চলতে চলতে মোবাইলে সেলফি, কখনো গ্রুপ ফটোসেশনে ব্যস্ত সাংবাদিকরা।
বনের ভিতরে রাস্তার দুই পাশজুড়ে সারি সারি সুউচ্চ গাছ। শোঁ শোঁ শব্দে উঁচু সেই গাছের ছোট-বড় পাতার ফাঁক-ফোকড় দিয়ে বইছে হাওয়া। ঘুরতে ঘুরতে দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও রঙবেরংয়ের কীটপতঙ্গ। শোনা যায় অচেনা পাখি ও ব্যাঙের ডাক, আর ঝিঁ ঝিঁ পোকার গুঞ্জন।
বনের ভিতর দেখা মিলে কালেঙ্গা সীমান্ত ফাড়ি। আরো সামনে এগিয়েই দেখা মিলে শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধার সমাধি। নায়েক আব্দুল মান্নান (বীর উত্তম)। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরষ্কার। আমরা এখানে দাড়িয়ে সাংবদিকরা প্রথমে কবরস্থান জিয়ারত করেন পরে তাঁকে স্মরণ করে মুক্তিযুদ্ধে কথা বলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি আ স ম আফজল আলী সাবেক সভাপতি এডভোকেট হুমায়ূন কবীর সৈকত।
রেমা-কালেঙ্গা ঘুরতে আমাদের সাথে গাইড হিসেবে ছিলেন একজন। তার নাম সুরুজ আলী। রেমা-কালেঙ্গা থেকে আমরা চলে যাই সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে। যেতে যেতে মধ্যহৃভোজনের সময় চলে যাচ্ছে। সাতছড়িতে পৌছেই আমরা জনপ্রিয় এবং সুসাধু মোল্লা খাবার হোটেলে গিয়ে বসলাম আমরা। আমাদের খাবারের অর্ডার একদিন আগেই দেয়া ছিল। তাই যেতেই টেবিলে আমাদের খাবার প্রস্তু। দুপুরের খাবার খেয়ে কিছু ফটোসেশন হলো। সাতছড়িতে আমাদের সাথে যোগদেন মাধবপুর প্রেসক্লাবের তিন সাংবাদিক। তারা হলেন- সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন, সাবেক সভাপতি রোকন উদ্দিন লস্কর ও সাংবাদিক জামাল মোঃ আবু নাছের।
তারপর আমাদের বাহনটি চলতে থাকে তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধের দিকে। দুপুর গড়িয়ে শেষ বিকালে আমরা হাজির হলাম মুক্তিযুদ্ধের সূচনাস্থল তেলিয়াপাড়া ডাকবাংলো প্রাঙ্গলে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে। সেখানেও কিছুক্ষণ সাংবাদিকরা ফটোসেশন করে।
সর্বশেষে মাধবপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের আমন্ত্রণে জগদিশপুর একটি অভিজাত হোটেলে আমাদের সকলকে চা পান করানো হয়।## ছবি সংযুক্ত।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জে খোয়াই এয়ার ট্রাভেলসের হজ্জ প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন 

রেমা-কালেঙ্গায় শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণ

আপডেট সময় ০৮:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২

শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণ সম্পন্ন হয়েছে। তিনটি ভ্রমণ স্পট রেমা-কালেঙ্গা, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধে আয়োজন করা ভ্রমণ।

শুক্রবার দিনব্যাপী উল্লেখিত স্থানগুলো ভ্রমণ,মধ্যহৃভোজন ও অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের উপহার প্রদান করে আনন্দ ভ্রমণ উদযাপন কমিটি। কমিটির আহ্বায়ক ক্লাবের সহ-সভাপতি নওরোজুল ইসলাম চৌধুরী আনন্দ ভ্রমণ সফল করেন।

ওইদিন সকাল ১০টায় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে সাংবাদিক বহণের গাড়ীটি চলতে থাকে রেমা-কালেঙ্গা। দুপুর ১২টার আগেই রেমা-কালেঙ্গা পৌছে প্রধান ফটকে ফটোসেশন শেষে সাংবাদিকদের টিম বের হয় বনে। বনের ভিতর চলতে চলতে মোবাইলে সেলফি, কখনো গ্রুপ ফটোসেশনে ব্যস্ত সাংবাদিকরা।
বনের ভিতরে রাস্তার দুই পাশজুড়ে সারি সারি সুউচ্চ গাছ। শোঁ শোঁ শব্দে উঁচু সেই গাছের ছোট-বড় পাতার ফাঁক-ফোকড় দিয়ে বইছে হাওয়া। ঘুরতে ঘুরতে দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও রঙবেরংয়ের কীটপতঙ্গ। শোনা যায় অচেনা পাখি ও ব্যাঙের ডাক, আর ঝিঁ ঝিঁ পোকার গুঞ্জন।
বনের ভিতর দেখা মিলে কালেঙ্গা সীমান্ত ফাড়ি। আরো সামনে এগিয়েই দেখা মিলে শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধার সমাধি। নায়েক আব্দুল মান্নান (বীর উত্তম)। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরষ্কার। আমরা এখানে দাড়িয়ে সাংবদিকরা প্রথমে কবরস্থান জিয়ারত করেন পরে তাঁকে স্মরণ করে মুক্তিযুদ্ধে কথা বলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি আ স ম আফজল আলী সাবেক সভাপতি এডভোকেট হুমায়ূন কবীর সৈকত।
রেমা-কালেঙ্গা ঘুরতে আমাদের সাথে গাইড হিসেবে ছিলেন একজন। তার নাম সুরুজ আলী। রেমা-কালেঙ্গা থেকে আমরা চলে যাই সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে। যেতে যেতে মধ্যহৃভোজনের সময় চলে যাচ্ছে। সাতছড়িতে পৌছেই আমরা জনপ্রিয় এবং সুসাধু মোল্লা খাবার হোটেলে গিয়ে বসলাম আমরা। আমাদের খাবারের অর্ডার একদিন আগেই দেয়া ছিল। তাই যেতেই টেবিলে আমাদের খাবার প্রস্তু। দুপুরের খাবার খেয়ে কিছু ফটোসেশন হলো। সাতছড়িতে আমাদের সাথে যোগদেন মাধবপুর প্রেসক্লাবের তিন সাংবাদিক। তারা হলেন- সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন, সাবেক সভাপতি রোকন উদ্দিন লস্কর ও সাংবাদিক জামাল মোঃ আবু নাছের।
তারপর আমাদের বাহনটি চলতে থাকে তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধের দিকে। দুপুর গড়িয়ে শেষ বিকালে আমরা হাজির হলাম মুক্তিযুদ্ধের সূচনাস্থল তেলিয়াপাড়া ডাকবাংলো প্রাঙ্গলে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে। সেখানেও কিছুক্ষণ সাংবাদিকরা ফটোসেশন করে।
সর্বশেষে মাধবপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের আমন্ত্রণে জগদিশপুর একটি অভিজাত হোটেলে আমাদের সকলকে চা পান করানো হয়।## ছবি সংযুক্ত।