খন্দকার আলাউদ্দিনঃ
হবিগঞ্জ তথা বৃহত্তর সিলেটের কৃতি সন্তান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ও শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ আব্দুল হাই এর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। উপলক্ষে ৩ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।
২য় দিন ১৯ ফেব্রুয়ারী, শনিবার উনার নিজবাড়ী আইতনে এক দোয়া, মিলাদ ও শিন্নীর আয়োজন করা হয়। এতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজারের বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এসব অনুষ্ঠানে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল, চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির লস্কর, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাধবপুর উপজেলার প্রাক্তন চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. আকবর হুসাইন জিতু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহির, ১নং গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, ২ নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পলাশ, ৯ নং রানীগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ১০ নং মিরাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মানিক সরকার, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা হবিগঞ্জের সাধারন সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম আনোয়ার হোসেন, প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিচারপতি মোঃ আব্দুল হাই এর জীবন ও কর্ম নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারী হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত অন্ততঃ ১১ টি দৈনিক বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। বিশেষ ক্রোড়পত্রে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন।
উল্লেখ্য বিচারপতি মোঃ আব্দুল হাই সিলেট এমসি কলেজে অধ্যয়নকালীন পরপর ৪ মেয়াদে ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের একজন কৃতি এথলেটস ছিলেন। দেশের বড় বড় ফুটবল ক্লাবগুলোতে খেলেছেন।
তিনি ৫৩ বছর আইন ও বিচার পেশায় সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে এ উপমহাদেশে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে হবিগঞ্জ বারে আইন পেশায় কর্মজীবন শুরু। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ছিলেন।
বিচারপতি মোঃ আব্দুল হাই তাঁর নিজ এলাকা চুনারুঘাটের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। আইন সচিব ও বিচারপতি থাকাকালীন সরকারের উচ্চমহলে যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন করেন।
এছাড়া নিজ অর্থে তিনি মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, দাতব্য হাসপাতাল ও পোস্ট অফিসের ভবন ও ভূমি প্রদান করে এলাকার জনহিতকর কর্মকান্ডে নিজেকে আমৃত্যু জড়িয়ে রাখেন।
বিচারপতি মোঃ আব্দুল হাই এর বড় ছেলে প্রকৌশলী আরিফুল হাই রাজীব আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও ছোট ছেলে ব্যরিস্টার ইমরানুল হাই সজীব হাইকোর্টের প্রতিথযশা আইনজীবি।