বানিয়াচংয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক মহিলাকে গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে একদল গ্রাম্য দাঙ্গাবাজ। রোববার (১৭ এপ্রিল) উপজেলার প্রত্যান্ত হাওর এলাকার ৯নং পুকড়া ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফতেহপুর গ্রামের ওয়াহেদ মিয়া তার নিজস্ব ভিটের মাটি আটকানোর জন্য বাঁশের খুটি দিয়ে আঁড় বাধছিলেন। এসময় পাশের বাড়ীর আব্দুল খালিক এসে ওয়াহেদ মিয়া কে বলে এ বাঁশের খুটিগুলো তার বাড়ী থেকে চুরি করে নিয়ে আসা হয়েছে। এসময় বারবার ওয়াহেদ মিয়া এ খুটিগুলো তার দাবী করলেও তা মানতে নারাজ আব্দুল খালিক মিয়া। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক বির্তকের সৃষ্টি হলে আব্দুল খালিক মিয়া ও তার ছেলেরা এসে ওয়াহেদ মিয়াকে মারপিঠ করতে থাকে। এক পর্য্যায়ে আব্দুল খালিক তার দলবল নিয়ে ওয়াহেদ মিয়ার স্ত্রী সরলা বেগম (৪০) কে ঘর থেকে তুলে নিয়ে আব্দুল খালিক মিয়ার বাড়ীর কাঠাঁল গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। এক পর্য্যায়ে নির্যাতনের ভার সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সরলা বেগম। তার পরেও চলে নির্যাতন। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ শামরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছে মুমুর্ষবস্থায় সরলা বেগমকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হবিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে সরলা হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ দিকে বানিয়াচং থানায় ঘটনাটি অবগত হওয়ার পরপরই সেখানে ছুটে যান বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসাইন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ কবির হোসেনসহ একদল পুলিশ। এ বিষয়ে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন’র সাথে আলাপকালে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান। এ বিষয়ে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ কবির হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।